Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

চাকরি রাজস্বকরণের দাবি

কমিউনিটি ক্লিনিক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

বেতন বৃদ্ধি ও চাকরি রাজস্ব করণের দাবি জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ারে (সিবিএইসসি) কর্মরত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের (সিএইচসিপি) সংগঠন বাংলাদেশ সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েসশনের যুগ্ম মহাসচিব মো. মাসুদুর রহমান জিলাদার। তিনি বলেন, সিএইচসিপি হিসেবে শুরুতে ১৩ হাজার ৫০০ জন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার নিয়োগ দেয়া হলেও বর্তমানে প্রায় ১৪ হাজার জন কর্মরত আছেন। যার মধ্যে ৪ হাজার ৫০০ জনের অধিক মুক্তিযোদ্ধা সন্তান। এদের মধ্যে ৬০ শতাংশ নারী স্বাস্থ্য কর্মী রয়েছেন।

মো. মাসুদুর রহমান জিলাদার জানান, ২০১১ সালে চাকরিতে যোগদানের পর থেকে এখন পর্যন্ত আমরা অত্যন্ত সততা, একাগ্রতা ও বিচক্ষণতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু অত্যন্তু দুঃখের বিষয় এখন পযন্তু আমাদের চাকরি রাজস্ব করা হয়নি। এমনকি ৯ বছর চাকরি করলেও কোনো ইনক্রিমেন্ট পাইনি। আমাদের কোন ভবিষ্যৎ তহবিল নেই। এমনকি সিএসসিপি অসুস্থ হলে চিকিৎসার খরচ বাবদ কোন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছিনা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কমিউনিটি ক্লিনিকে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারা ২০১১ সাল থেকে কর্মরত আছেন। তাদের নিরলস প্রচেষ্টায় দেশে মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমেছে। নবজাতকের চিকিৎসা, স্বাস্থ্য শিক্ষা, প্রাথমিক চিকিৎসা ও জন্মনিয়ন্ত্রণে পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান জরিপের কথা উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাড়ির পাশের কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ওষুধ আর পরামর্শ নিয়ে ৮০ শতাংশ মানুষ সন্তুষ্ট। জাতীয় রোগ প্রতিরোধে সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) জরিপে উঠে এসেছে কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা নিয়ে ৯৮ শতাংশ মানুষ সন্তুষ্ট।
তিনি জানান, চাকরির জনিত দুশ্চিন্তুা ও দুর্ঘটনায় এ পর্যন্তু আমাদের ৫৬ জন সহকর্মী মৃত্যুবরণ করেছে। এরমধ্যে চারজন করোনায় আক্রান্তু হয়ে মারা গেছেন। পাঁচ শতাধিক সহকর্মী বৈশ্বিক মহামারী করোনা মোকাবেলায় দায়িত্ব পালনকালে কোভিড-১৯ পজিটিভ হলেও কোনো ক্ষতিপূরণ কিংবা কোন প্রণোদনা পাইনি। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সিএইসসিপি স্বাস্থ্যকর্মীদের কোন অর্জিত ছুটি নেই। প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। নিয়মিত মাসিক বেতনও হচ্ছে না। এমন অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই কমিউনিটি ক্লিনিক তার জৌলুস হারাবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মো. ফখরুল ইসলাম, মো. সুমন মাদবর, শেখ মহিবুল হাসান, মো. কাইয়ুম হোসেনসহ সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়শনের নেতৃবৃন্দ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাজস্বকরণ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ