পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির নিজেদের মধ্যে খেলা বন্ধ না হলে সরকার হটানোর আন্দোলন সফল হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, বিএনপি সরকারবিরোধী আন্দোলনের পরিবর্তে ঘরোয়া খেলায় ব্যস্ত। নিজেদের মধ্যে বিভেদ, একজন আরেকজনের পেছনে লেগে থাকছে। দলেরই লোকজন একজন আরেকজনকে খাটো করছে, একজন আরেকজনকে ব্যর্থ করতে কাজ করছে। এ কারণে গত ১২ বছরেও বিএনপির আন্দোলন সফল হয়নি।
গতকাল শনিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা জেলা কৃষক দলের এক প্রতিনিধি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য যে দল গঠন করেছিলেন, তার সেই রেখে যাওয়া দল ৪২ বছর পরে মানসিকভাবে খন্ড-বিখন্ড, সাংগঠনিকভাবে খন্ড-বিখন্ড। দল আছে, কারও সাথে কারও মিল নাই। আমরা ওপেন মাঠে খেলতে পছন্দ করি না, আমি ঘরোয়া খেলতে পছন্দ করি। ঘরোয়া খেলা মানে একজন আরেক জনের বিরুদ্ধে লাগা, একজন আরেকজনকে খাটো করা, একজন আরেকজনকে ব্যর্থ করা। এ কারণেই গত ১২ বছরে বিএনপি আন্দোলনে সফল হতে পারেনি বলে মনে করেন গয়েশ্বর।
বিএনপির অন্যতম এই শীর্ষ নেতা বলেন, আমাদের কারও সাথে কারও যদি মিল না হয়, তাহলে কর্মফল আদায় করা যায় না। যদি যেতে তাহলে আমরা ১২ বছর রাস্তায় থাকি না। ১২ বছর লাগার কথা না। বাংলাদেশের সিংহভাগ লোক বিএনপিকে পছন্দ করে, যে দল বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ দল, সেই দল পরনির্ভরশীল একটা সরকারকে কিছুই করতে পারতেছে না। বরং তারা (ক্ষমতাসীন) ব্যাঙ্গাত্মক ভাষায় কথা বলে। এটা আপনাদের সহ্য্ করতে ভালো লাগে? এই অবস্থা থেকে উত্তরণে ভেদাভেদ ভুলে পরস্পরেরে মধ্যে সহযোহিতার মনোভাব বাড়িয়ে সংগঠনকে আন্দোলনমুখী করার আহবান জানান তিনি।
গয়েশ্বর বলেন, আপনাদের মনে রাখতে হবে একজন ব্যক্তি যদি ব্যর্থ হয়, পুরো দলটাই ব্যর্থ হয়। সেই কারণে কাউকে ব্যর্থ না করে যদি সকলে একজন আরেকজনকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করি, তাহলে আমরা শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে এই সরকারের হাত থেকে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে পারবো। সবার মতামত নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে দল ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি গঠন করার পরামর্শ দেন তিনি।
কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক নাজিমউদ্দিন মাস্টারের সভাপতিত্বে ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এই সভায় কৃষক দলের সদস্য সচিব হাসান জাফির তুহিন, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, সহসভাপতি তমিজউদ্দিন আহমেদ, কেরানীগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতা মোজাদ্দেদ আলী বাবু ও আবদুল মান্নান রতন, কৃষক দলের শরীফুল ইসলাম মোল্লা, মেহেদি হাসান পলাশ, এম জাহাঙ্গীর আলম, মীর মোমিনুর রহমান সুজন উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।