পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মুজিববর্ষের আহ্বান, যুব কর্মসংস্থান এই স্লোগানে আজ পালিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবস। এ দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক ভাবে বাণী দিয়েছেন। অন্যদিকে সারা দেশে বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালনের উদ্যোগ নিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবস-২০২০ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে বলেছেন, দেশের যুবসমাজের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছরের মতো এ বছরও ১ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবস-২০২০ উদযাপিত হচ্ছে। জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এ বছর বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবসের প্রতিপাদ্য মুজিববর্ষের আহ্বান, যুব কর্মসংস্থান সময়োপযোগী ও যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, যুব সমাজ জাতির প্রাণশক্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রধান নিয়ামক। তারা সাহসী, বেগবান, প্রতিশ্রুতিশীল, সম্ভাবনাময় ও সৃজনশীল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে মুক্তিসংগ্রামের দীর্ঘ পথপরিক্রমায় এদেশের যুবসমাজ ত্যাগ, তিতিক্ষা ও আত্মোৎসর্গের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতার লাল সূর্য।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার বৃহৎ অংশই যুবসমাজ। আগামী ২০৪৩ সাল পর্যন্ত যুবসমাজের সংখ্যাগত আধিক্যের এ ধারা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তর ও জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ অর্জন করতে এ জনমিতিক সুবিধাকে কাজে লাগাতে হবে। দেশপ্রেমের মূলমন্ত্রে উজ্জ্বীবিত হয়ে যুবসমাজ দেশগঠনের কাজে নিজেদের আরো বেশি নিবেদিত করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি। যুবসমাজকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও প্রাণঢালা অভিনন্দন জানান এবং এ উপলক্ষে নেয়া সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন তিনি।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে বলেছেন, যুবসমাজকে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি কর্মসংস্থান, আত্মোন্নয়ন ও সমাজ বিনির্মাণে গতিশীল ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি মহিলা, শিশু, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিও যুবসমাজকে দায়িত্বশীল হয়ে সমাজ-রাষ্ট্র থেকে সন্ত্রাস, মাদক, দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদ নির্মূলেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বাণীতে আরো বলেন, সরকার যুবসমাজকে অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখবে। আমি আশা করি, প্রাণশক্তিতে ভরপুর আমাদের যুবসমাজ তাদের অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে আরও কার্যকর অবদান রাখবে। তিনি বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবস-২০২০ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে তিনি দেশের তারুণ্যদীপ্ত যুবসমাজকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। এবারের প্রতিপাদ্য মুজিববর্ষের আহ্বান ‘যুব কর্মসংস্থান’ অত্যন্ত যথার্থ হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনি ইশতেহারের অঙ্গীকার তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’কে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিটি উপজেলায় যুব প্রশিক্ষণ ও বিনোদন কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচির মাধ্যমে ইতোমধ্যে ২ লাখ ২৯ হাজার ৭৩৭ জন শিক্ষিত বেকার যুবক ও যুবনারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে এবছর ১ নভেম্বর জাতীয় যুব দিবসের নামকরণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবস, ২০২০। আজ রাববার সকাল ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষিত সফল যুবক ও যুব মহিলাদের মধ্য থেকে আত্মকর্মসংস্থান প্রকল্প স্থাপনে দৃষ্টান্তমূলক অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ২১ জন সফল আত্মকর্মী যুব ও ৫ জন যুব সংগঠককে এ বছর জাতীয় যুব পুরস্কার দেয়া হবে। এছাড়া যুব দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকেট ও খাম উন্মোচন করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।