পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গোপন আঁতাতের মাধ্যমে জামিন করিয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রূপাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সংস্থার উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম তাকে তলবি নোটিশ দেন। আগামি ৪ নভেম্বর সকাল ১০টায় তাকে দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, সরকারি এই আইন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিতর্কিত ঠিকাদার জি. কে শামীমের আইনজীবীর সঙ্গে গোপন সমঝোতায় জামিন করানোর অভিযোগ রয়েছে। তলবি নোটিশে বলা হয়, রাষ্ট্রের এই আইন কর্মকর্তা ‘বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণ করে জি কে শামীমসহ বিভিন্ন আসামির সাথে আঁতাত করে জামিন করিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়াসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন’ বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের কপি সঙ্গে নিয়ে ৪ নভেম্বর দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে রূপাকে। চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানে ব্যর্থ হলে অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার কোনো বক্তব্য নেই মর্মে গণ্য করা হবে।
প্রসঙ্গত: গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের মধ্যে গুলশানের নিকেতনে জিকে শামীমের অফিসে অভিযান চালায় র্যাব। শামীমের সঙ্গে তার সাত দেহরক্ষীকেও সেদিন গ্রেফতার করা হয়। পরে এই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ বেরিয়ে আসতে থাকে। জানা যায়, যুবলীগ নেতা পরিচয়ে শামীম গণপূর্তের সব কাজের দরপত্র বাগিয়ে নিতেন। গ্রেফতারের পরদিন তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় তিনটি মামলা করে র্যাব। পরে দুদকও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করে। এরপর গত ৪ ফেব্রæয়ারি হাই কোর্ট থেকে মাদক মামলায় ৬ মাস এবং ৬ ফেব্রæয়ারি অস্ত্র মামলায় এক বছরের জামিন পান শামীম।
সেই জামিনের কাগজপত্র পরের মাসে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছালে বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। পরে গত ৮ মার্চ অস্ত্র ও মাদকের দুই মামলায় শামীমকে দেয়া জামিনের আদেশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে প্রত্যাহার (রিকল) করে নেয় হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ। যে বেঞ্চ থেকে জি কে শামীম মাদক মামলায় জামিন পেয়েছিলেন সেই বেঞ্চে সরকারপক্ষের আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন ডিএজি জান্নাতুল ফেরদৌসী রূপা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।