পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জনগণের আস্থা হারিয়ে দিনের ভোট রাতে করা জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা প্রতিনিয়ত ধানের শীষের গণসংযোগে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি প্রার্থী এসএম জাহাঙ্গীর। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যতই বাধা আসুক আগামী ১২ নভেম্বর ফলাফল না হওয়া পর্যন্ত আমরা ভোট কেন্দ্রে থাকবো। বিজয়ই নিয়েই ঘরে ফিরব।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী এসএম জাহাঙ্গীর খিলক্ষেত থানার কুড়াতলি এলাকা থেকে গণসংযোগ শুরু করেন। এরপর কুড়িল বিশ্ব রোড, জোয়ার সাহারা, বসুন্ধরা গেইট হয়ে জগ্ননাথপুরে গণসংযোগের সমাপ্তি টানেন।
তিনি বলেন, জন¯্রােতই প্রমাণ করে দেশের মানুষ তথা ঢাকা-১৮ আসনের মানুষ খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও গণতন্ত্রের প্রতীক ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ আছেন। নির্বাচন কমিশনের সাথে বৈঠকের বিষয়ে বিএনপির এই প্রার্থী বলেন, নির্বাচন কমিশন বলেছে, আপনাদের নেতাকর্মীরা যখন ধানের শীষের ভোট চাইতে বের হয় তখন হাজার হাজার নেতাকর্মী গণসংযোগে বের হন। এলাকার রাস্তাঘাট ভালো না, এলাকার উন্নয়ন নেই, নেতাকর্মী কম করে নিয়েন। তখন আমি বলেছি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯১ সালের র্নির্বাচনে জয়ী হয়ে এই এলাকার যত উন্নয়ন তিনি করেছেন। আর কেউ উন্নয়ন করেনি। তাই আমরা বিশ্বাস করি, আাগামী ১২ নভেম্বর জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবেন। আর আমাদের নেতাকর্মীরা পোলিং এজেন্ট হিসেবে ভোট কেন্দ্রে থাকবেন, কেন্দ্রে থাকেবন। সকাল সকাল কেন্দ্রে যাব রেজাল্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রে অবস্থান করবো।
এস এম জাহাঙ্গীর বলেন, গত ১২ বছর ধরে জনগণ ভোট দিতে পারছেন না। এটা আমাদের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ফিরিয়ে দেয়ার জন্য আন্দোলন করে আসছেন। আমাদের নেত্রী বলেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে যে আমরা জীবন দিয়েছি, তেমনি গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আমরা প্রয়োজনের আবারো জীবন দিব। তারপরও গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনবোই আনবো ইনশাহ আলাহ।
দেশে দুর্নীতি, দুঃশাসন, চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বালিশ কেলেঙ্কারী, পর্দা কেলেঙ্কারী এ সব দেশের মানুষ ভুলে যায়নি। আওয়ামী লীগের ফরিপুরের দুই নেতা দুই হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে তা মানুষ ভুলে যায়নি। মা-বোনদের ইজ্জত লুটে নিচ্ছে, তারা হুমকির সম্মুখিন তা মানুষ ভুলে যায়নি। আমাদের বহু ভাই গুম হয়েছেন তা কী আপনারা ভুলে গেছেন? গায়েবি মামলা,আমাদের উপর যে নির্যাতন নিপীড়ন হচ্ছে তা ভুলে গেছেন?
আমরা চাকরি করতাম, ব্যবসা করতাম এখন তা পারি না-এসব কী আমরা ভুলে গেছি? ঘরে থাকতে পারি না, সন্তানের মুখ দেখ পারি না-এসব আমরা যদি ভুলে না যাই তাহলে এর প্রতিবাদ আমরা করবো। আমরা আর কিছুকে ভয় করবো না। আমরা আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো,আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার পরিবেশ সৃষ্টি করবো। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবো এবং জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করবো।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।