পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, ‘বিচার বিভাগ কোনো দিন পিছপা হননি। রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে বিচার বিভাগ এগিয়ে এসেছে। যেখানে অন্যায় দেখেছে, সেখানে হস্তক্ষেপ করেছে।’ এর সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের মধ্যে সব সময় বিচার বিভাগকে হেয় করা হয়। এটাকে রাষ্ট্রের অঙ্গ হিসেবে অনেকে স্বীকৃতি দিতেও পিছপা হচ্ছেন। আমরা আগে কোনো দিন এই কথা প্রকাশ করিনি।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু খুনের পর তখনকার বিচার বিভাগের সমালোচনা করা হতো। কিন্তু এর মধ্যেও আমাদের সিনিয়র বিচারপতিরা পিছপা হননি।’ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় দিয়েছিলেন ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ কাজী গোলাম রসূল। এ মামলায় সাক্ষী পাওয়া যাচ্ছিল না। রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বিচারিক আদালত রায় দিলেন। হাইকোর্টে ডেথ কনফারমেশনের জন্য আসে। এ নিয়ে প্রতিকূলতা ছিল। তা আমি বলতে চাচ্ছি না।’ বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচারপ্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকায় নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।
বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারে বিভাগের অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর তৎকালীন সরকার ইনডেমনিটি অরডিন্যান্স জারি করেছিল। পরে সরকার যখন ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করল। আপিল বিভাগ তা বহাল রাখেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার বিচার হলো।’ তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগ কেবল বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেনি, জেলহত্যা মামলার বিচারও করেছেন। আমরা অষ্টম সংশোধনী ও পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করেছি। আমরা ত্রয়োদশ সংশোধনী রায় দিয়েছি। ষোড়শ সংশোধনীর বিষয়টি বিচারাধীন। তাই এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করব না।’
অনেক বিচারপতিই এই মামলায় বেঞ্চে অন্তর্ভুক্ত হতে চাননি উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, একটা ঘটনা নিয়ে জাজেস লাউঞ্জে কনফাইন (আটকা) ছিলাম। আমাদের সাবেক প্রধান বিচারপতি উনি এদিকে কর্ণপাত করেননি। জাজেস লাউঞ্জের পেছনের দরজা দিয়ে আমাদের ব্রাদার জাজেস একজন একজন করে মতামত নিচ্ছেন। কেউ রাজি ছিলেন, কেউ রাজি ছিলেন না। বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞা এ ঘটনার সাক্ষী। এরপর বিচার সম্পন্ন হলো। আমি সৌভাগ্যবান ওই প্রক্রিয়ায় আমি একজন সদস্য ছিলাম।
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের পাশাপাশি আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ ও আদালতের কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন।
১৫ আগস্ট শোক দিবসকে ঘিরে এসময় রক্তদান কর্মসূচি ও বৃক্ষরোপণ করেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। রক্তদান কর্মসূচিতে সহায়তা করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। এ সময় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন ও আইনজীবীদের পাশাপাশি চার বিচারপতিও স্বেচ্ছায় রক্ত দেন। স্বেচ্ছায় রক্ত দেয়া বিচারপতিরা হলেন, বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস, বিচারপতি আশরাফুল কামাল, বিচারপতি ভীস্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবির।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।