ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
আফতাব চৌধুরী
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ হার্বার্ট স্পেনসার শিক্ষার গূঢ়ার্থ বিশ্লেষণ করে মন্তব্য করেছেন, ‘শিক্ষা একটি শিশুকে প্রকৃত জীবন-যাপনের উপযোগী করে তুলতে পারে। শিক্ষা একটি শিশুকে প্রশিক্ষণ দেবে কিভাবে সে শরীর প্রতিপালন করবে, কিভাবে মনের উৎকর্ষ সাধন করবে, কিভাবে দৈনন্দিন বিবিধ সমস্যাকে যুক্তি ও বুদ্ধির সহায়তায় সমাধান করতে হবে, কিভাবে পরিবারের তথা পরিজনের ভরণ-পোষণ বা রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে এবং সর্বোপরি কিভাবে নিজেকে একজন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’ শিক্ষা হলো জীবন-দর্শন। জীবনকে সুপথে, সুকাজে এগিয়ে নিয়ে যাবার বিশল্যকরণী। মানুষ যেদিন থেকে সভ্যতার স্পর্শ লাভ করেছে সেদিন থেকে তারা বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে শিক্ষা লাভ করে আসছে । বিখ্যাত ইউরোপীয় শিক্ষাবিদ ও লেখক জর্জ বার্নার্ড শ তার এক প্রবন্ধে লিখেছেন- ‘Life is a bigger school’। জীবন আমাদের যা শিখিয়েছে তা হলো শিক্ষার প্রধান উপাদান। জীবনের মধ্য দিয়ে আত্মিক ত্রুটি শোধনের দ্বারা, সুস্থ-সবল ও সজাগ মানব গঠন শিক্ষার কারখানার মৌলিক উৎপাদন। জন ডিউয়ের মতে, শিক্ষার কাজ হলো, একটি অসহায় ক্ষুদ্র প্রাণীকে একজন সুখী ও নৈতিকভাবে সবল ও উপযুক্ত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করা।’
সমাজ পরিবর্তনশীল। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার আঙ্গিক যেভাবে ব্যাপ্তি লাভ করেছে, ঠিক সেভাবে এ বিষয়টির পরিধি এবং ব্যাপকতা প্রসারিত হয়ে উঠেছে। এর পিছনে যে সত্যটি নিহিত রয়েছে তা হলো, সভ্যতার আলো বিকিরণে মানুষ অজ্ঞানতার তমসা ভেদ করে যে নতুন উপলব্ধির অনুভূতি লাভ করে, তা গ্রথিত হতে থাকে শিক্ষার সিলেবাসে। অজানাকে জানার তাগিদ মানুষকে এ কাজে খুব বেশি উৎসাহী করে তোলে। তাই একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, শিক্ষাই জীবন, জীবনই শিক্ষা। শিক্ষাকে বলা চলে জীবনব্যাপী চলতে থাকা এক বিকাশমুখী প্রক্রিয়া। ভুল সংশোধন করে সত্যের উদঘাটন করা শিক্ষার মূল উপজীব্য।
ইংরেজীতে একটি প্রবাদ আছে-‘To err is human. একটি শিশু যখন স্বভাব দোষে কোন ভুল করে, তখন আমরা তাকে মারতে যাই, না হলে চড়া গলায় তাকে বকাঝকা দেই। পড়াশোনার প্রসঙ্গ হলে আর কথাই নেই। তখন মায়ের মা-গিরি আর বাপের বাবা-গিরির যে অন্তঃশূন্য বহির্প্রকাশ ঘটে তার প্রতিফলন শিশুর মননে প্রগাঢ় ছাপ ফেলে চলে যায়। ধীরে ধীরে তার মনের কোরকে বিষাক্ত পতঙ্গের মতো জন্ম নেয় এক ধরনের ফোবিয়া বা ভীতি। বিশেষত ছাত্র-ছাত্রীরা বিশেষভাবে এ ভীতির শিকার হয়।
আমার বাসা সিলেট শাহজালাল উপশহরে। পাশের বাসার একটি মেয়ে তিন বছর ধরে নবম শ্রেণিতে পড়ছে। এমনিতে চোখের দেখায় কারো এটি বোঝার সাধ্য নেই যে, সে একজন মনোরোগী। তার চাল-চলনে তার সমবয়সী আরো পাঁচটি ছেলেমেয়ের চেয়ে সে কোন অংশে কম নয়। সে বর্তমানে NIMHANS সায়ক্রিয়াটিক বিভাগের এক জটিল রোগী। বিশেষত পরীক্ষা এলে বা স্কুল ও স্যারের বাড়িতে পড়াশোনার অত্যধিক চাপে পড়লে তার মধ্যে অদ্ভুত সব প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়। গোটা শরীর কাঁপতে থাকে, অবাক বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যায়, চোখের কোণ বেয়ে অনবরত গড়িয়ে পড়তে থাকে পানি। বিশেষ যে উপসর্গ তার মধ্যে পরিলক্ষিত হয়-সেটি হলো, সে তখন একদম বাচ্চা মেয়ের মতো ব্যবহার করতে শুরু করে। সামনে যাকে পায় তার কোলে ঝাঁপিয়ে উঠতে চায়, ঘরের অতিথিকে কোন খাবার দিলে সে খাবারে ভাগ বসাতে চায় এবং এর কিছুক্ষণ পর সে মূর্ছিত হয়ে পড়ে। রোগটি যখন তাকে প্রথম আক্রান্ত করে, তখন তার মা-বাবা তার শিশুসুলভ মনোবৃত্তিতে বিরক্ত হয়ে তাকে বেশ গালাগাল দিয়েছেন। কোন কোন সময় অতিশয় রাগান্বিত হয়ে চড়-থাপ্পড় বসিয়েছেন। আসলে তারা বুঝতে পারেননি তার মনোজগতের জটিল রাসায়নিক সমীকরণ। এক সন্ধ্যাবেলা রোগে আক্রান্ত হলে মেয়েটিকে তারা এক অদ্ভুত মহিমায় দেখেন-সে দাঁড়িয়ে রয়েছে, আসলে সে শারীরিক বা মানসিক উভয় দিকে ঘুমিয়ে রয়েছে।
সেক্সপিয়রের ম্যাকবেথ নাটকের মূল নারী চরিত্র লেডি ম্যাকবেথের মধ্যে আমরা এমনতর ‘Somnambulism’ দেখতে পাই। পরীক্ষার ফল ঘোষিত হবার কয়েকদিন পূর্ব থেকে মেয়েটির মধ্যে মনোযোগের বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে, যার মধ্যে উপরোক্ত ঝড়সহধসনঁষরংস রয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো, সবার ক্ষেত্রে এ বিচিত্র রোগের লক্ষণ দেখা দেবে তা নয়। সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে বিচার করলে হয়তো দেখা যাবে এটি লাখের মধ্যে একজনের হয়েছে বা বেশি হলে পাঁচজনের। প্রশ্নটি এখানে নয়, প্রশ্নটি শিক্ষাদানের পদ্ধতির উপর। ‘তোতা কাহিনী’র পাখিটাকে যেভাবে শিক্ষিত করে তুলতে চাওয়া হয়েছে, সেভাবে শিক্ষিত করার যে অপচেষ্টা আজকালকার অধিকাংশ অভিভাবকের মধ্যে জাগরূক রয়েছে-সেটি বিষাদের বিষয়। তাদের মূল্যায়নটি অধিকাংশ ক্ষেত্রে অবমূল্যায়নে পর্যবসিত হচ্ছে।
শিক্ষাদানের পদ্ধতি সর্বদা সহজ, সরল ও প্রকৃতি নির্ভর হওয়া প্রয়োজন। প্রাচীন মুনি-ঋষিদের তপোবনের শিক্ষা যা প্রতিবিম্বিত হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাভ্যাসে, সদর্থকভাবে তা প্রকৃতি নির্ভর ছিল। তাই তাদের শিক্ষালাভ ও জীবনপথের চড়াই-উতরাইয়ে তা সতত সহায়ক ছিল। মাদার মন্টেসরি বা ফ্রোয়েবেলও সহজ, সরল পদ্ধতির মাধ্যমে শিশুমনে জ্ঞানের আলো প্রজ্বলিত করতে চেয়েছিলেন। ভীতির চোটে যে শিক্ষা আসে তা যেনতেন প্রকারে গলাধঃকরণ; কিন্তু সহজ, সরল পাঠে যে জ্ঞান আসে তা স্রোতস্বিনীর পানিরেণুর ন্যায় নিষ্কলঙ্ক, তাতে কোন ধরনের প্রদূষণ নেই। বিজ্ঞজনেরা শিক্ষার সংজ্ঞা নিরূপণ করতে গিয়ে বলেছেন, ‘যে শিক্ষা একটি শিশুর শরীর, মন ও আত্মার সমন্বিত বিকাশ নিশ্চিত করে, সে শিক্ষাই আসল শিক্ষা। শুধু সাক্ষরতা শিক্ষা নয়।’ চিন্তানায়ক সক্রেটিস শিক্ষাকে আরো সরলভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। তার মতে, ‘শিক্ষা একজন ব্যক্তির মধ্যে নিহিত থাকা যুক্তিসিদ্ধ ভাবধারাসমূহের যথার্থ বিকাশ নিশ্চিত করে।’
আমরা অভিভাবক, সমাজপতি, মা-বাবারা একদম শিশু অবস্থায় ছাত্র-ছাত্রীদের কোমল মনে এক অশুভ পরিবেশের চিত্র অঙ্কন করতে শুরু করি। যার প্রভাবে একটি নিষ্পাপ শিশু যে কোন উপায়ে আত্মপ্রতিষ্ঠার প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়। এতে অর্থনৈতিক অবস্থান একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে কিন্তু এর ফলস্বরূপ শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য অর্থাৎ ‘মানুষ গড়ার’ কাজ দারুণভাবে বাধাপ্রাপ্ত হয়। তাদের অন্তর থেকে এ প্রক্রিয়ায় ন্যায়-নিষ্ঠা, দয়া-মমতা, প্রেম-ভালবাসা, ক্ষমা-সহিষ্ণুতা, সত্য-অহিংসা, পরোপকার-উপকার, উদারতা প্রভৃতি সদগুণের মহাপ্রয়াণ ঘটে এবং তার ফলস্বরূপ আজকের সমাজ এত অস্থির। এত অশান্তি, হত্যা, লণ্ঠন, অপহরণ, ধর্ষণ, প্রবঞ্চনা প্রভৃতি নানা ধরনের অসামাজিক ও অমানবীয় ক্রিয়াকর্মের সমাহার।
শিশুমনের সুকোমল মনোবৃত্তিকে সদার্থক অর্থে বিশ্বের কাছে আশীর্বাদধন্য করে তোলার জন্য সদগুরুর প্রয়োজনীয়তা সর্বাধিক। গুরু-শিষ্যের মণিকাঞ্চনযোগে শিক্ষাদানে সাফল্য আসে। অন্যদিকে, আমাদের সমাজ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয় না। সার্টিফিকেটের শিক্ষা ব্যক্তির প্রয়োজনে যতটুকু আসে, ততটুকু সমাজের প্রয়োজনে আসে না। যে শিক্ষা ছাত্রের জন্মার্জিত সংস্কারের পরিবর্তন ঘটাতে পারে না, সেটি কি ধরনের শিক্ষা? ‘Education is the manifestation of perfection already in men . শিক্ষা হচ্ছে মানুষের অন্তর্নিহিত সদগুণের সঠিক প্রকাশ এবং এক্ষেত্রে সদগুরুর ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
আজকের যুগে গুরু চয়নের যে প্রক্রিয়া তা সত্যি মর্মন্তুদ। আজকাল অধিকাংশ নিয়োগের মধ্যে রাজনৈতিক কুশীলবদের প্রভাব চোখে পড়ে। এতে পুষ্টির কাজ করে অর্থ। অর্থাৎ আজকাল নিয়োগ বিচার করে হয় না, নিয়োগ কেনা-বেচা হয়। আমি রাজনৈতিক নেতাদের খাটো না করে বলছি, যতদিন শিক্ষাক্ষেত্রের মতো সংবেদনশীল সেবা ক্ষেত্রকে রাজনৈতিক নেতাদের ঘোড়া বেচা-কেনা করার বাজার হিসেবে বিবেচনা করা হবে, ততদিন পর্যন্ত সদগুরু লাভ করা অসম্ভব।
এক্ষেত্রে মা-বাবারও একটি বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। কেননা, একটি নিষ্পাপ শিশুর পক্ষে রাশভারি তত্ত্ব বুঝে ওঠা সম্ভব নয়। তাই মা-বাবাকে প্রকৃতপক্ষে শিশুদের প্রধান তথা প্রথম শিক্ষক হিসেবে কার্য পালন করতে হয়। শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য মানুষ গড়ার কাজে তারা প্রধান স্থপতি। মা-বাবা এ সমাজের সৃষ্টি। তারা নিজেরা ইঁদুর দৌড়ে অংশগ্রহণ করা একেকজন প্রতিযোগী। যতক্ষণ না তারা এ মোহময় বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসবেন, ততদিন ভাল প্রজন্ম উপহার দেয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই অভিভাবকদের আজ এ সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হবে তারা কি ধরনের শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে চান তাদের ছেলেমেয়ে বা নতুন প্রজন্মকে। তাদের মানুষ চাই না বিশ্বায়নের বিষায়নে শ্রীবৃদ্ধি লাভ করা ‘রোবট চাই’ যার শুধু একটি কাজ হবে ‘অর্থোপার্জন’। আজকাল কম্পিউটার নেই এমন বিদ্যালয়ে মা-বাবারা তাদের সন্তানদের ভর্তি করতে চান না। প্রাইভেট টিউটর প্রাচীন মূল্যবোধ নিয়ে কথা বললে অভিভাবকরা ক্ষেপে যান, বৃথা অর্থব্যয় হচ্ছে ধরে বেচারা বেকার শিক্ষকদের চাকরি খেয়ে ফেলেন।
আজ আমরা এমন একটি সময়ে উপনীত হয়েছি, যখন পরিবর্তনের ঝড়ো হাওয়া গোটা আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামোয়। পরিবর্তনের গতি অতি দ্রুত আমাদের শিক্ষা সম্বন্ধীয় সনাতন ভাবধারা থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। আমরা ক্রমশ নিজেদের সমর্পিত করে ফেলছি প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঁদুর দৌড়ে। সব চালক তো আর সমান নয়। তাই দ্রুতগতির কাছে যারা হেরে যায়, তারা হারিয়ে যায় কালের অতল তলে। কেউ কেউ থেমে যায় প্রবৃদ্ধ বটবৃক্ষের মতো গতিময় রাস্তার ওধারে-আর যে সামান্য ক’জন গতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পৌঁছতে পারে নিজ নিজ গন্তব্যে, তারা অর্থকরী দিক দিয়ে সাফল্য লাভ করে, বাড়ি-গাড়ি নিয়ে বসবাস করতে পারে বিলাসবহুল অঞ্চলে। সাফল্যবানদের কতজন ‘মানুষ’ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে? এটি বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার সম্মুখে প্রধান চ্যালেঞ্জ।
কিছুদিন পূর্বে আমির খানের ‘তারে জামিন পর’ নামে একটি সিনেমা দেখেছিলাম। যেখানে ঈশান আওয়াস্তি নামে এক আত্মভোলা কিশোর প্রত্যহ তার মা-বাবা ও সহপাঠীদের দ্বারা মানসিকভাবে লাঞ্ছিত হতে হতে অবশেষে প্রায় বিধ্বস্ত হয়ে যাবার পর করিমুল্লাহ নামক শিক্ষকের জাদুস্পর্শে তার মনোজগতে একটি আশার দ্যুতি বিকিরিত হয়েছিল। শিক্ষার উপযুক্ত রসদ এ বিশ্ব সংসারে ভরপুর রয়েছে। কিন্তু সে প্রসাদ বিতরণের উপযুক্ত মা-বাবা বা শিক্ষকের অভাব-যার কাছে আমরা আমাদের যথাসর্বস্ব সমর্পণ করে দিয়ে বলতে পারি- ‘শরণাগত কিংকর ভীত মনে দয়া কর দীন জনে’। অন্যথায় আমাদের পদস্খলন অবশ্যম্ভাবী। দিন দিন আরো বিষায়িত হতে থাকবে শৈক্ষিক পরিমন্ডল। একজন সদগুরু তা মা-বাবা বা শিক্ষক যিনিই হোন তার সান্নিধ্যে এলে তবে আমাদের মোক্ষলাভ সম্ভব। আমাদের কেউ কেউ মনে করেন এ বিশ্ব সংসার উপভোগের রঙ্গমঞ্চ। এটা বাস্তব নয়। এ উপভোগ-স্পৃহা পরিত্যাগ করে আমাদের প্রকৃত অর্থে সত্যানুসন্ধানী হতে হবে। প্রাকৃতিক কষাঘাত তখন আমাদের জর্জরিত করতে পারবে না, যখন আমরা প্রকৃত শিক্ষার শিক্ষার্থী হব। আর প্রজ্ঞানের বোধদয় তখনই ঘটবে যখন ব্যাপক অর্থে গণ-জাগরণ হবে কিংবা প্রজ্ঞানের বোধোদয়ই অজ্ঞানতার তমসাকে ভেদ করে নিয়ে আসবে গণ-জাগরণ।
লেখক সাংবাদিক-কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।