Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজধানীর কাঁচাবাজার সবজিতে স্বস্তি ফেরেনি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০২ এএম

কয়েক মাস ধরে সবজির দামে ছিলো না স্বস্তি। অবশেষে শাক-সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবে সেই দাম এখনো ক্রেতাদের নাগালের বাইরে রয়েছে। বর্তমান দামেও সন্তুষ্ট নন ক্রেতারা। বৃষ্টি থাকলে সবজির দাম আরও বেড়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে মাছ, গোশত, চাল, ডাল, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন ও ভোজ্যতেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দুই দফায় আলুর দাম বেঁধে দেয়া হয়েছে। এরপরও দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। সরকার খুচরায় আলুর কেজি ৩৫ টাকা নির্ধারণ করলেও ৪৫ টাকার নিচে মিলছে না কোথাও। অনেক ব্যবসায়ী আলুর কেজি ৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, আলু ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করছি। এর নিচে বিক্রি করলে লোকসান গুনতে হবে। পাইকার থেকে নতুন করে কম দামে আলু কিনতে পারলে কম দামে বিক্রি করবো। আলুর দাম বাজারে তো দাম কমতে দেখি না। শ্যামবাজার পাইকারিতে আলুর দাম দুই দিন আগে যা ছিল তাই আছে। পাইকারিতে না কমলে কিভাবে কম দামে বিক্রি করবো। গত সপ্তাহের মতো এখনো শিম, পাকা টমেটো, গাজর, বেগুন ও উচ্ছের কেজি একশ’ টাকার ঘরে রয়েছে। এর মধ্যে পাকা টমেটো এখনো ১২০ থেকে ১৪০ টাকা এবং গাজর ৮০ থেকে ১১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে শিমের দাম কিছুটা কমে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। আর শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকা।

বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ থেকে ১১০ টাকা। বেগুন গত সপ্তাহের মতো ৮০ থেকে ১১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি উচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, গত সপ্তাহের মতো ঢেঁড়সের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ঝিঙা, কাঁকরোল, ধুন্দুল, কচুর লতি। ঝিঙার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, একই দামে বিক্রি হচ্ছে কচুর লতি। লাউয়ের পিস গত সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। এক হালি কাঁচা কলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। বাজারে আসা শীতের আগাম সবজি ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। স্বস্তি মিলছে না কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজের দামেও। এক কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। বর্তমানে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। প্রতিকেজি ডাবলী ও অ্যাংকর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, মসুর ডাল ৯০ থেকে ১২০ টাকা আর চিনি প্রতিকেজি ৬৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া চালের বাজারও আগের মতোই চড়া। খুচরায় প্রতিকেজি আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা, পায়জাম ৪৮ টাকা, মিনিকেট ৫৮ টাকা, জিরা মিনিকেট ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা, নাজিরশাইল ৫৫ টাকা, পোলাও চাল (খোলা) ৯৫ থেকে ১০০ টাকা। বাজারে প্রতিকেজি খাসির গোশত বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা, বকরির গোশত ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা আর গরু ও মহিষের গোশত ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি দরে। সোনালি মুরগির দাম প্রতি কেজি ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৪০ টাকায়। দেশি মুরগি ৫৮০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিকেজি শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৬০০ টাকা, প্রতিকেজি রুই বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা, মৃগেল ১৬০ থেকে ২৫০ টাকা, পাঙাস ১০০ থেকে ১৬০ টাকা, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, কৈ মাছ ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, সিলভার কর্প ১০০ টাকা, মিররর কাপ ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। আর প্রতিকেজি কাঁচকি ও মলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা, দেশি টেংরা ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, দেশি চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, হরিণা চিংড়ি ৬০০ টাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সবজিতে-স্বস্তি-ফেরেনি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ