পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত মিয়ানমারকে ভারতের সাবমেরিনসহ সামরিক সরঞ্জাম দেওয়া বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতার জন্য গভীর উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সম্প্রতি খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, ভারত মিয়ানমারকে সাবমেরিন এবং সামরিক সরঞ্জাম দিতে যাচ্ছে। যা উস্কে দেয়ার নামান্তর।
মিয়ানমার প্রায়শই তার সামরিক শক্তিতে বাংলাদেশকে উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে। এ বাস্তবতা বিবেচনায় ভারতের এ সিদ্ধান্ত কোনক্রমেই বাংলাদেশ ভারত ‘রক্তের বন্ধন’ যুক্ত সম্পর্কের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
আবদুর রব বলেন, গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত এবং আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারাধীন মিয়ানমারকে ভারতের সাবমেরিনসহ সামরিক সরঞ্জাম দেওয়া বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতার প্রশ্নে গভীর উদ্বেগজনক। বাংলাদেশের সাথে মিয়ানমারের সম্পর্ক এখন খুবই নাজুক পর্যায়ে। মিয়ানমার তার দেশের ১১ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিককে হত্যা-ধর্ষণ এবং অস্ত্রের মুখে জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে।
এ মহাসংকটেও রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ ভারত বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ায়নি। তিনি আরো বলেন, মিয়ানমার প্রায়শই বাংলাদেশের সীমান্তে সামরিক মহড়ার প্রদর্শন করে থাকে। কখনো সামরিক হেলিকপ্টারগুলো বাংলাদেশের সীমান্ত অতিক্রম করার খবর শোনা যায়। কিছুদিন আগেও মিয়ানমার বাংলাদেশ সীমান্তে তার কয়েক হাজার সামরিক সেনা সমাবেশ করেছে।
স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক এ নেতা বলেন, সাম্প্রতিক কালে মিয়ানমারের উসকানিমূলক কার্যক্রম থেকে এটা প্রতীয়মান হয় যে, মিয়ানমার ভারতের এ সাবমেরিনসহ সামরিক সরঞ্জাম বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে কোনো মুহূর্তে ব্যবহার করতে পারে। সুতরাং বাংলাদেশের উচিত নতজানু নীতি পরিহার করে অবিলম্বে সরকারি পর্যায়ে ‘রাখি বন্ধন’ যুক্ত সম্পর্কের দেশ ভারতের কাছে এ প্রশ্নে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।