পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজশাহীর খরচাকা সীমান্তের পদ্মা নদী থেকে চার জেলেকে ধরে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক নির্যাতন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গত বুধবার ভোরে রাজশাহী নগরীর উপকণ্ঠ পবা উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদী থেকে তিনটি নৌকাসহ চার জেলেকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। দিনভর আটকে রেখে ব্যাপক নির্যাতনের পর রাতে একটি নৌকায় করে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
নির্যাতনের শিকার জেলেরা হলেন- পবা উপজেলার গহমাবোনা গ্রামের মৃত জকিমুদ্দিনের ছেলে মো. আলম, আলমের ছেলে আনোয়ার, সাইদুর রহমানের ছেলে সিফাত এবং কসবা গ্রামের জুল্লুর ছেলে সোনারুল।
উপজেলার হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বজলে রেজবী আল হাসান মুঞ্জিল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মাছ ধরার সময়গত বুধবার ভোরে পদ্মা নদী থেকে ওই চার জেলেকে তিনটি নৌকাসহ ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। সীমান্ত এলাকায় মাছ ধরার কারণে তাদের ধরে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়। ওই চার জেলের শরীরের বিভিন্ন অংশে লাঠির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। দিনভর নির্যাতন করে বুধবার সন্ধ্যার পর বিএসএফ তাদের ছেড়ে দেয়। এরপর তারা বাড়ি ফিরে আসেন। বিএসএফ চার জেলেকে ছেড়ে দিলেও তাদের দুটি নৌকা দেয়নি বলেও জানান চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, মোট তিনটি নৌকাসহ চার জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে একটি নৌকায় করে জেলেদের পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু ভালো দুটি নৌকা বিএসএফ দেয়নি। ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, জেলেরা বেসরকারি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে নৌকা তৈরি করেন। একেকটি নৌকার দাম লাখ টাকা। নৌকা দুটি ফেরত পেলে ভালো হয়।
বিজিবির রাজশাহী-১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ চার জেলেকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতনের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সারাদিনের মধ্যে যে কোনো সময় বিএসএফের সঙ্গে তাদের এ বিষয়ে পতাকা বৈঠক হওয়ার কথা। সেখানেই তারা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাবেন। নৌকা ফেরত আনারও চেষ্টা করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।