পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, পাকিস্তানীরা নয় বঙ্গবন্ধুকে বাঙালিরাই হত্যা করেছে। একাত্তরের পরাজিত শত্রুরাই তাকে হত্যা করেছে। সেই পরাজিত শত্রু এখনো চক্রান্ত করে যাচ্ছে। তারা মানুষ হত্যা করছে, অন্তঃস্বত্তা বধূকে আগুনে পুড়িয়ে মারছে। গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, রাজধানীর গুলশানে জঙ্গি হামলা করে নির্মম ভাবে দেশী-বিদেশী মানুষ হত্যা করা হলো, শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে হামলা করে দু’জন পুলিশ হত্যা করা হলো। এসব দেখে খালেদা জিয়া বলেন- সরকারকে পদত্যাগ করে নির্বাচন দিতে হবে। তাহলে এসব বন্ধ হবে। এ থেকে প্রমাণ হয় জঙ্গিদের সঙ্গে তার যোগাযোগ আছে। তিনি ক্ষমতায় আসলেই এসব বন্ধ হয়ে যাবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশকে স্বাধীন করলেন, দেশ পূর্ণগঠনে মন দিলেন। তখনই বিপদ আসলো, তার পেছনে শত্রু লাগলো। তাকে হত্যা করা হলো। বর্তমানে শেখ হাসিনা যখন দেশকে সাফল্যের দারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন, অর্থনৈতিক ভাবে সক্ষমতা অর্জন করেছেন তখন তার দারপ্রান্তে বিপদ পৌঁছে গেছে। জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে, মানুষ হত্যা করে তাকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এসব করে লাভ হবে না। বঙ্গবন্ধুর খুনীরা এক সময় বুক ফুলিয়ে বলতো আমরা শেখ মুজিবকে হত্যা করেছি। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়ে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের, চার নেতার হত্যাকারীদের বিচার করেছেন। জাতীয় ঐক্য প্রসঙ্গে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, যারা ঐক্যের কথা বলে দেশকে বিভ্রান্ত করতে চায় তাদের জানা উচিত জাতীয় ঐক্য হয়ে গেছে। এই ঐক্য জনগণের সাথে। আর ঐক্য হয়েছে বলেই জঙ্গি সন্তানদের লাশ পিতা-মাতা নিতে আসেননি।
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচনা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এমিরেটাস প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ থেকে আমরা আনেক দূরে সরে এসেছি। দেশে আজ দিনের পর দিন সংখ্যালঘু নির্যাতন হয়, জঙ্গি হামলা হয়, নিরিহ মানুষকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশে এসব হওয়ার কথা ছিল না। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি অসাম্প্রদায়িক সমতার বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাই দেশের মানুষ তারচেয়ে প্রবীন, অভিজ্ঞ রাজনীতিবীদ থাকা স্বত্তেও তার হাতে দেশের নেতৃত্ব তুলে দিয়েছিল। তিনি বলেন, পাকিস্তানের সংবিধান করতে ৯ বছর লেগেছিল, বঙ্গবন্ধু মাত্র নয়মাসে জাতিকে একটি সংবিধান দিলেন। কিন্তু তার মৃত্যুর পর সেই সংবিধানও কাটা-ছেঁড়া করা হলো। তাই জাতীয় শোক দিবসে তাকে নিয়ে শুধু আলোচনা করলেই চলবে না। তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ৭২-এর সংবিধান পূণঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিএসএমএমইউ’র ভিসি প্রফেসর ডা. কামরুল হাসান খান এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সাংসদ ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জমান ভূইয়া ডাবলু, বিএমএ সভাপতি প্রফেসর ডা. মাহমুদ হাসান, বিএমএ মহাসচিব প্রফেসর ডা. এম ইকবাল আর্সলান, স্বাচিপ মহাসচিব প্রফেসর ডা. এম এ আজিজ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।