পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
পটিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে এসকেএম নুর হোসেন : পটিয়ায় বায়োগ্যাসের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে, যার ফলে বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠছে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বায়োগ্যাস প্লান্ট। গবাদি পশুর ফেলে দেয়া বর্জ্যকে কাজে লাগিয়ে এ সমস্ত বায়োগ্যাস প্লান্ট করা হচ্ছে। এতে করে জ্বালানি হিসেবে এ গ্যাস ব্যবহার করায় এ গ্যাসের চাহিদা ও জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এর ফলে স্বল্প মূল্যে জ্বালানি হিসেবে এ গ্যাস পেয়ে এলাকার লোকজন যেমন উপকৃত হচ্ছে তেমনি খামারীরাও বেশ আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। কিছু সমস্যা আছে উৎপাদিত দুধের বেশির ভাগই যায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে। এর বাইরে পাঁচ হাজার লিটারের মতো যায় পটিয়ায় মিল্ক ভিটার দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রে। প্রতি লিটার দুধ ঘনত্বের তারতম্য অনুযায়ী ৪৬ থেকে ৫১ টাকায় বিক্রি হয়। তবে ঘণত্ব কম হলেও ওই দুধ লিটার প্রতি ৩৫ টাকার বেশি বিক্রি হয়। গ্রীষ্মকালে সমস্যায় পড়েন খামারিরা। ফলের মৌসুম হওয়ায় ওই সময় মিষ্টির চাহিদা কমে যায়। মিষ্টির দোকানগুলো ওই সময় দুধ কম কেনে। দুধের দাম পড়ে যায়। খামারিদের দাবি, ওই এলাকায় আরও কয়েকটি দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্র করা হলে এ সমস্যার মুখে পড়তে হবে না তাদের। আরেকটি সমস্যা হলো, পর্যাপ্ত পশু চিকিৎসক নেই। তাই গরু রোগাক্রান্ত হলে ভোগান্তিতে পড়েন খামারিরা। চিকিৎসা সেবার অভাবে গরু মারাও যায়। পটিয়া উপজেলার চরলক্ষ্যা, চরপাথরঘাটা, বড়উঠান, জুলধা, শিকলবাহা, কচুয়াই, হাইদগাঁও, জঙ্গলখাইন এলাকায় খামারের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। এ সকল খামারের গবাদী পশুর বর্জ্য থেকে উৎপন্ন করছে বায়োগ্যাস। জুলধা ইউনিয়নের হাজি মোঃ ইব্রাহিম বলেন, এল বায়োগ্যাস প্লান্ট অনেকের মতোই লাভের কথা ভেবে দুধের খামার করার উপর ঝুঁকে পড়ছে। বায়োগ্যাস প্রকল্প উৎপাদন বিষয়ে টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠান দেখে গরুর গোবর ও নানা ধরনের বর্জ্য দিয়ে বায়োগ্যাস প্রকল্প তৈরি করার নিয়ম জানতে পারি। সেই থেকে এ প্রকল্প করার কথা মাথায় আসে। তখন খামারের পাশাপাশি প্রায় আড়াই লাখ টাকা ব্যয় করে বায়োগ্যাস প্রকল্প করি। প্রথমে নিজের রান্নার কাজে এই গ্যাস ব্যবহার করি। পরে আশপাশের ২৫টি পরিবারে গ্যাসের সংযোগ দেন। তা থেকে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় হয়। এ ছাড়া প্রকল্পে ব্যবহার করা গোবর থেকে যে জৈব সার হয়, তা বিক্রি করে মাসে ১০ হাজার টাকার বেশি আয় হয। পটিয়ার পাঁচ শতাধিক দুধের খামারের মধ্যে অন্ত ৩৫০টিতে বায়োগ্যাস প্রকল্প করা হয়েছে। চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের খামারী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি গরুর খামার করার পর থেকে দুধ পাওযার পাশাপাশি খামারের গোবর দিয়ে বায়োগ্যাস প্রকল্প করে গ্যাস ও জৈব সার উৎপাদন করা হচ্ছে। অর্থাৎ একটি খামার মানে একের ভেতর তিন! পটিয়ায় এখন পাঁচ শতাধিক দুধের খামারের মধ্যে অনন্ত সাড়ে তিনশ’ খামারে বায়োগ্যাস প্রকল্প রয়েছে। এসব খামার অনেক গ্রামের জীবনচিত্র পাল্টে দিয়েছে। এ ব্যাপারে পটিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আলমগীর বলেন, আমাদের চিকিৎসক সংকট রয়েছে। এ উপজলায় প্রায় চার শতাধিক খামার আছে। এসব খামারে দৈনিক গড়ে ৬০ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হয়। ছোট খামারগুলো হয়তো আমাদের হিসাবে নেই।’ তবে খামারীদের সকল প্রকার পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করা হয়। পশ্চিম পটিয়া কর্ণফুলী ডেইরি অ্যাসোসিয়াশনের নেতা মুছা আদর্শ বলেন, ‘শুরুতে দু-একজন দেশের বাইরের গরু দিয়ে ঘরোয়াভাবে খামার করে। এখন প্রতিদিনই বাড়ছে খামারির সংখ্যা। পাঁচ শর বেশি খামার এখন রয়েছে। শিক্ষিত যুবকেরা এখন এই খামারের দিকে ঝুঁকছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।