পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন, সেদিন বঙ্গবন্ধুকে যারা নিষিদ্ধ করেছিল তারাই আজ জনগণ কর্তৃক নিষিদ্ধ হয়েছে। একসময় রাষ্ট্রীয় প্রচার সংস্থা ও বেসরকারি গণমাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর নাম নেয়া যেত না। এসব নিষেধাজ্ঞা পেরিয়ে বঙ্গবন্ধু আজ বাংলাদেশের মানুষের চিন্তা ও মননের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে।
গতকাল রোববার সকালে ডিপোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ’৭৫-এর ১৫ই আগস্টের সকল শহীদদের স্মরণে জাতীয় শোক দিবসে যুবলীগের উদ্যোগে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শোকের মাস আগস্টকে ঘুরে দাঁড়াবার মাস উলে¬খ করে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতীক, সমাজতন্ত্রের প্রতীক, ধর্ম নিরপেক্ষতার প্রতীক। বঙ্গবন্ধু মানেই বাঙালির অফুরান শক্তি। এ শক্তিকে কেউ কোনোদিন পরাজিত করতে পারবে না।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর ১৮ই আগস্ট লন্ডনের একটি বিখ্যাত পত্রিকা বলেছিল, শেখ মুজিব রাষ্ট্রীয়ভাবে জনগণের হৃদয়ে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। তাদের এই ভবিষ্যৎ বাণীটি সত্য বলে আজ সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেদিনের সেই ঘাতকরাও জানত বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে ওমর ফারুক বলেন, জিয়া ’৭৫-এর পরে যুদ্ধাপরাধীদের আবির্ভাব ঘটান। তাদের প্রধানমন্ত্রী বানান এবং দেশে ফিরিয়ে এনে নাগরিকত্ব দেন। জিয়া বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছেন আর তার স্ত্রী বেগম খালেদ জিয়া জঙ্গিদের পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রশংসা করে বলেন, বেগম মুজিব ইতিহাসের সাহসী মানুষ। তিনি আমাদের জীবনের একজন অনুকরণীয় দৃষ্টান্তের মানুষ। বেগম মুজিবকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস রচনা করা যাবে না।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সামছুল আবেদীন, শহীদ সেরনিয়াবাত, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক আতিক, আসাদুল হক আসাদ, ফারুক হাসান, সম্পাদক সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, মহানগর উত্তর সভাপতি মাইনুল হোসেন নিখিল, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, মহানগর দক্ষিণ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সোহরাব হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।