Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাড়ছে নিরাপত্তা কাটেনি উৎকণ্ঠা

প্রকাশের সময় : ১৫ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

উমর ফরুক আলহাদী : গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর রাজধানীসহ দেশব্যাপী বেড়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জাতীয় শোকের মাস এই আগস্টে বিভিন্ন স্তরে ঢেলে সাজানো হয়েছে আইন-শৃঙ্খলার নিরাপত্তা। বিশেষ করে গুলশান-বনানীতে বেড়েছে র‌্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দাদের তৎপরতা। তবু মানুষের মনে নানা ভয়-ভীতি। গুলশান-বনানীবাসীকে তাড়া করে এক অজানা আতঙ্ক। কখন কী ঘটে এই ভয়ে তারা হোটেল-রেস্টুরেন্টে যাচ্ছেন না। ওই এলাকার অভিজাত ও নামিদামি হোটেল-রেস্তোঁরাগুলোর ব্যবসা-বাণিজ্য লাটে উঠেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিদেশীরা তো আসছেনই না, স্থানীয় বাসিন্দারাও এখন তেমন একটা আসছেন না খাবার খেতে। বন্ধের পথে সকল পার্টি ও বড় বড় অনুষ্ঠান। ফলে, ডেকরেটর ও ফুলের ব্যবসায়ও ধস নামতে শুরু করেছে। তারা বলছেন, গত দুই মাসে প্রায় ১৫ হাজার বিদেশী পর্যটক তাদের ভ্রমণ ও হোটেল বুকিং বাতিল করেছেন। এ চিত্র শুধু রাজধানী ঢাকার গুলশান-বনানীতেই সীমাবদ্ধ নয়, কক্সবাজার, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলোতেও বিদেশী পর্যটকদের পদাচারণা নেই। ফলে পর্যটন বছরেও দেশের পর্যটন খাত ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। ওই ব্যবসায় হাজার কোটি টাকার বেশি লোকসান হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করছে। তাদের মতে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা যতই জোরদার করা হোক না কেন, বিদেশীরা এতে আস্থা রাখতে পারছেন না। এ ছাড়া ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়েই গেছে। তা খাটিয়ে উঠতে অনেক সময় লাগবে।
এদিকে পুলিশ সদর দফতর সূত্রমতে, দেশের সার্বিক নিরাপত্তায় ১ লাখ ৭০ হাজার পুলিশ সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়া সাড়ে ৭ হাজার র‌্যাব সদস্যসহ বিজিবির শতাধিক বিশেষ টহল টিম নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। এর বাইরে সীমান্তে বিজিবির বিশেষ টহল ও নজরদারি রয়েছে। এছাড়া জঙ্গি দমনের জন্য জরুরি ভিত্তিতে আরো ২০ হাজার পুলিশ সদস্য নিয়োগ দেয়া হচ্ছে বলে সদর দফতর থেকে জানানো হয়েছে। কিন্তু এত কিছুর পরেও নিরাপত্তা নিয়ে উৎকণ্ঠা রয়েই গেছে।
গত ৩ দিন সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে, রাস্তায় রাস্তায় চেকপোস্ট-তল্লাশি, র‌্যাব-পুলিশের ঘন ঘন টহল, লোকজনের চলাচলও কম। সব মিলিয়ে তৈরি হয়েছে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। জঙ্গি হামলার দেড় মাস পরেও আতঙ্ক কাটেনি। গুলশানের সর্বত্রই বিরাজ করছে থমথমে পরিবেশ। মার্কেটের দোকানপাট, রেস্তোরাঁগুলো প্রায় ক্রেতাশূন্য।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিটিয়া শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, নিরাপত্তার জন্য পুলিশকে যা কিছু করার প্রয়োজন তাই করতে হবে। জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থেই চেকপোস্ট ও ঘন ঘন তল্লাশি। তবে পুলিশ কাউকে হয়রানি করছে না। তিনি বলেন, হোটেল-রেস্তোরাঁসহ গুলশানে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে। কূটনৈতিক পাড়ায় নেয়া হয়েছে আরো অধিকতর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তিনি বলেন, হোটেল-রেস্তোরাঁতে ক্রেতার সংখ্যা কমে গেছে, এমন তথ্য আমাদের জানা নেই। এখন কোনো আতঙ্ক নেই। লোকজন অবাধে চলাচল করতে পারছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গুলশান একসময় ছিল পুরোপুরিই অভিজাত শ্রেণীর আবাসিক এলাকা। পরে এখানে বিদেশী মিশন ও দূতাবাস গড়ে ওঠায় এটি কূটনৈতিক পাড়া হিসেবে পরিচিতি পায়। হালে অবশ্য বহু বড় বড় মাল্টিন্যাশানাল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কর্পোরেট অফিসও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এ এলাকায়। দেশী-বিদেশী অভিজাত শ্রেণির মানুষের আনাগোনায় মুখর গুলশানে উচ্চবিত্ত মানুষের রসনা বিলাসের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে ছোট-বড় নানা ধরনের রেস্তোরাঁ। চাইনিজ, থাই, স্প্যানিশ, জাপানি ও ইন্ডিয়ান খাবারের জন্য এসব রেস্টুরেন্ট বিখ্যাত। মাঝারি মানের একটি রেস্তোরাঁয় প্রতিদিন গড়ে লাখ টাকার ওপরে বিক্রি হয়। হলি আর্টিজানে হামলা-জিম্মি ও হতাহতের ঘটনার পর এর প্রভাব পড়েছে ওই এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে। জঙ্গি হামলার ঘটনার পর এসব রেস্টুরেন্টে আসার পথ যেন ভুলে গেছেন অতিথিরা। লোক সমাগম হচ্ছে না বললেই চলে, ব্যবসা নেমে এসেছে প্রায় শূন্যের কোঠায়।
সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে নজিরবিহীন জঙ্গি হামলার পর বিদেশীরা বাংলাদেশে আসা কমিয়ে দেওয়ায় পর্যটন বছরেও খারাপ সময় পার করছে ঢাকার অভিজাত এলাকার হোটেলগুলো। জুলাইয়ের প্রথম দিন গুলশানের ওই ঘটনার পর দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের নির্ধারিত অনেক অনুষ্ঠান বাতিল করেছে, যেসব অনুষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন হোটেল ও সম্মেলন কেন্দ্রে বুকিং ছিল।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তৈরি পোশাক খাতের ক্রেতারাও বাংলাদেশে না এসে তৃতীয় কোনো দেশে তাদের আলোচনা সারতে চাইছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গুলশান হামলার পর গত দেড় মাসে প্রায় ১৫ হাজার পর্যটক ভ্রমণ বাতিল করেছেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সেবাখাতের অবদান ছিল জিডিপির ৫৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ; আর হোটেল-রেস্তোরাঁ খাতের অবদান ছিল জিডিপির ১ দশমিক ০৩ শতাংশ। আগের বছরের পরিসংখ্যানের সঙ্গে তুলনা করলে বোঝা যায়, দুই খাতেই বাংলাদেশের আয় বাড়ছিল। এ দুটি খাতকে আরও এগিয়ে নিতে গতবছর এক অনুষ্ঠানে ২০১৬ সালকে ‘পর্যটন বছর’ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ট্যুর অপারেটস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি তৌফিক উদ্দিন আহমেদ বলেন, এখন আর বিদেশীরা আসছেন না বললেই চলে। বিদেশী অতিথিরা এসে হোটেলে থাকেন। তারা সফর বাতিল করায় আমরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে গেছি। আস্থা ফেরাতে ইতিবাচক প্রচার চালানো ছাড়া কোনো উপায় নেই। কিন্তু বছরের মাঝামাঝি সময়ে এসে গুলশান হামলার ঘটনা ‘হসপিটালিটি’ খাতের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে। জঙ্গি হামলার পর গার্মেন্টস সেক্টরের অনেক বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা তৃতীয় একটি দেশে চলে যাচ্ছেন। এসব ক্রেতাদের ধরে রাখতে হলে তাদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করতে হবে এবং নিরাপত্তার ব্যাপারে তাদের আশ্বস্ত করতে হবে।
বনানীর ৭ নম্বর সড়কের ‘গোল্ডেন টিউলিপ দ্য গ্রান্ডমার্ক’ হোটেলেও বুকিং কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক খালেদুর রহমান সানি। তিনি বলেন, গুলশান হামলার আগে আমাদের হোটেলে অকুপেন্সি ছিল ৭০ ভাগ। আগস্ট মাসের জন্য ৫০টা বুকিং ছিল। এর মধ্যে ৩০টা বাতিল করে দিয়েছে ক্লায়েন্টরা।
হলি আর্টিজানের ঘটনায় জঙ্গিদের হাতে যে ২০ জনের মৃত্যু হয়, তাদের ১৭ জনই ছিলেন বিদেশী নাগরিক। ওই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্কতার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় তিনটি আন্তর্জাতিক সভাও ঢাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
হোটেল, গেস্টহাউজ অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার গুলশান, বনানী, বারিধারা ও উত্তরা এলাকায় ৬০টি হোটেল-গেস্ট হাউজ রয়েছে, যার প্রায় সবগুলোই কমবেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে গুলশান হামলার পর।
গুলশানের ‘ব্যাটন রজ’ রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপক কামরুল হাসান জানান, আমাদের এখানে সারা বছরই ব্যস্ত থাকে দেশী-বিদেশী প্রতিষ্ঠানের নানা আয়োজনে। সেখানে একসঙ্গে ৫০০ জন অতিথি নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যায়। হলি আর্টিজানের ঘটনার পর এক মাসে ব্যাটন রুজে নির্ধারিত একটি অনুষ্ঠানও হয়নি বলে। তিনি বলেন, গত ১০ বছর ধরে এখানে আছি। প্রতি বছরই রোজার ঈদের পর থেকে কোরবানির ঈদ পর্যন্ত নানা অনুষ্ঠান থাকে। কিন্ত এবার চিত্র উল্টো। জুলাই মাসে একটা অনুষ্ঠানও হয়নি। আগস্টের প্রথম সপ্তাহে মাত্র দুটো পার্টি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গুলশান হামলার পর ব্যবসার মারাত্মক ধস নেমেছে। তবে আমাদের কী পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে তা পলিসির কারণে টাকার অঙ্ক বলতে পারছি না। তবে অনুষ্ঠানের সংখ্যা কমে চার ভাগের এক ভাগে নেমে এসেছে।
লেইক শোর হোটেলের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শরীফ মোল্লা জানান, রোজার ঈদের পর থেকে কোরবানির ঈদের আগ পর্যন্ত ‘পিক সিজন’ থাকে। কিন্তু গুলশানের হামলা সব ‘ওলটপালট’ করে হয়ে গেছে। তিনি বলেন, হোটেলের ৬০টি কক্ষের প্রায় আশি শতাংশ বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানি, দাতা সংস্থা এবং বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে এদেশে আসা বিদেশী কর্মকর্তাদের জন্য ‘অকুপায়েড’ থাকত আগে। গুলশান হামলার পর তা ৩০ শতাংশে নেমে এসেছে; বাতিল হয়েছে হলের বেশ কিছু রিজার্ভেশন। তিনি আরো জানান, অগাস্টের ১২ ও ১৩ তারিখে দুটো কনফারেন্স হওয়ার কথা ছিল, সেগুলো বাতিল হয়েছে। ঈদের পরে ব্যাংক, দাতা সংস্থা এবং করপোরেট অফিসের বেশ কিছু অনুষ্ঠান ছাড়াও কয়েকটি বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিল হয়েছে।
রোজার ঈদের পর ঢাকা রিজেন্সি হোটেলে মানি লন্ডারিং ও টেলিযোগাযোগ বিষয়ে সম্মেলন এবং আমেরিকান দূতাবাসের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। এসব সম্মেলনের অতিথিদের জন্য ঢাকার বড় হোটেলগুলোতে ১২০০ কক্ষের রিজার্ভেশন নেওয়া হয়েছিল। কিন্ত তা বাতিল করে দেয়া হয়েছে। গুলশানের ঘটনার পর সম্মেলন বাতিল হওয়ায় রিজার্ভেশন বাতিল করা হয় বলে রিজেন্সির একজন কর্মকর্তা জানান।
একইভাবে জুলাই মাসে স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারের অন্তত নয়টি অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে যায়।
গুলশান হামলার পর তৈরি পোশাক ক্রেতাদের অনেকগুলো বৈঠকও বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এসব বৈঠক তৃতীয় কোনো দেশে আয়োজন করতে ক্রেতারা অনুরোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ নাসির। তিনি আরো বলেন, অনেক বায়ার তাদের শিডিউল ক্যানসেল করে রিশিডিউল করছে। থার্ড কান্ট্রিতে যাওয়ার জন্য আমাদের বলছে।
ক্রেতারা কোন কোন প্রতিষ্ঠানের কাছে এ ধরনের প্রস্তাব দিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সার্বিক পরিস্থিতি বলছি। স্পেসিফিক বলতে পারব না।
গুলশানের পাঁচতারকা হোটেল ওয়েস্টিনে আগেই বুকিং থাকায় গ্রাহক সমাগমে সরাসরি প্রভাব পড়েনি বলে জানালেন হোটেলটির পাবলিক রিলেশন অফিসার সেলিনা মোমেন। এর প্রভাব পড়তে পারে আরো ১৫ দিন পর, যদি বিদেশী ব্যবসায়ী ও পর্যটক আসা কমে যায়। তবে সেরকম আশা নেই বলে তিনি বলেন, ওয়েস্টিনে যারা থাকতে বা ভেন্যু ভাড়া করেন সেইসব গ্রাহক অনেক আগে থেকেই বুকিং দিয়ে থাকেন। তবে হ্যাঁ এই মৃহূর্তে আমরা নিরাপত্তার বিষয়টিতে খুব জোর দিয়েছি।
ওয়েস্টিনের মাত্র ১শ গজ দূরত্বে টপকাপি রেস্টুরেন্ট গিয়ে। কাস্টমার না থাকায় ভেতরের আলো নিভিয়ে রাখা হয়েছে। অন্যান্য দিন এখানে টেবিল ফাঁকা পাওয়া কঠিন। প্রতিদিন যেখানে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার ব্যবসা হয়, এই কয়েক দিনে সেখানে তা হয় কোনোদিন ৮ হাজার আবার কোনোদিন শূন্য বলে জানান রেস্টুরেন্টের জেনারেল ম্যানেজার নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিদেশীরা তো আসছেই না, উচ্চবিত্তরাও আসছে না, আবার আশপাশ থেকে কিছু গ্রাহক আসে, তারাও নেই। আতঙ্কের পাশাপাশি এ সময় হ্যারাসমেন্ট হওয়ার ভয়ও কাজ করছে মানুষের মধ্যে। তিনি শঙ্কার সঙ্গে বলেন, এভাবে আরো মাসখানেক চললে রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দিতে হবে।
এদিকে ডিসিসি মার্কেটের অবস্থাও একই রকম। বিকেল ৬টায় সুনসান নীরবতা। পাশাপশি দুটি ছোট স্নাকসের দোকান, যেখানে সব সময়ের জন্য উপচেপড়া ভিড় থাকে। সেখানে ৪/৫ জন করে ক্রেতা। কিউর অপটিকসের স্বত্বাধিকারী ফয়জুল ইসলাম ক্ষোভের সাথে বলেন, ৫ জন জঙ্গি ১৬ কোটি মানুষের পেটে লাথি মেরেছে। আমাদের এ সংকট কাটিয়ে উঠতে হলে জাতীয় ঐক্য দরকার। গরিবের পেটে লাথি। বেচা-বিক্রি না হলে চলব কীভাবে?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাড়ছে নিরাপত্তা কাটেনি উৎকণ্ঠা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ