Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ স্থগিতে ভারতের সাথে আলোচনার প্রস্তাব

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির ছায়া সংসদ

প্রকাশের সময় : ১৫ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ স্থগিত রাখার বিষয়ে ভারত সরকারের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ। তিনি সুন্দরবনকে মহাপ্রাণ উল্লেখ করে এর জীববৈচিত্র্য রক্ষায় রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ থেকে বিরত থেকে অন্যত্র স্থানান্তরের আহ্বান জানান। গত শনিবার এফডিসিতে ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট শিরোনামে ‘রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ’ বিষয়ে এক মক পার্লামেন্ট অনুষ্ঠানের অতিথির বক্তব্যে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ একথা বলেন। এই ছায়া সংসদে অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম এমপি। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন ডিবেট ফর ডিমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেন, সরকারের মধ্যেও অনেকে আছেন যারা রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করাকে সমর্থন করেন না। সুন্দরবনকে ঝুকির মধ্যে রেখে কোন উন্নয়ন প্রকল্পই গ্রহণযোগ্য হবে না। তিনি বলেন, রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হলে সুন্দরবনের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হবে। এর ফলে আশপাশের মৎস্যজীবী, বনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার চার কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তবে মো. তাজুল ইসলাম এমপি তার বক্তব্যে অধ্যাপক আনু মোহাম্মদকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ইউনেস্কোসহ কোন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এ পর্যন্ত রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতা করে তথ্যসমৃদ্ধ কোনো প্রতিবেদন বাংলাদেশ সরকারের নিকট দাখিল করেনি। তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে এবং এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে পানি দূষণের ঝুঁকিও সর্বনি¤œ পর্যায়ে। তিনি উল্লেখ করেন, পরিবেশ সুরক্ষা বিবেচনা করে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চুক্তি করা হয়েছে। তিনি অধ্যাপক আনু মোহাম্মদসহ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতাকারী সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদেরকে সংসদীয় কমিটিতে এ বিষয়ে আলোচনার আমন্ত্রণ জানাবেন বলে উল্লেখ করেন।
হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ তার বক্তব্যে সরকার এবং এর বিরোধীদের পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কারণে জাতীয় এই ইস্যুতে সংবিধান সংশোধন করে গণভোট দিয়ে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বিষয়টি নিস্পত্তির দাবি করেন। তিনি বলেন, আমাদের কলকারখানা, শিল্পায়নসহ কৃষি ব্যবস্থা উন্নতিতে বিদ্যুৎ যেমন জরুরি ঠিক তেমনি জরুরি হচ্ছে সুন্দরবন রক্ষা করা। রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পূর্বে তিনি পুনরায় সরকারকে এ বিষয়ে সকল শ্রেণী পেশার ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়ের আহ্বান জানান।
ছায়া সংসদীয় বিতর্কে সরকারি দলের বক্তারা বলেন, বিভিন্ন সুবিধার কারণে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে স্থানগত, কয়লা পরিবহন সুবিধা, প্রযুক্তিগত ও নির্মাণ সামগ্রীর সহজলভ্যতা। অন্যদিকে বিরোধী দলের বক্তারা বলেন, রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হলে পরিবেশের বাস্তুতন্ত্র নষ্ট হয়ে যাবে, বায়ু, পানি ও মাটিসহ পরিবেশের অন্যান্য উপাদান ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং সর্বোপরি সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে।
প্রতিযোগিতায় সরকারি দল হিসেবে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিকে পরাজিত করে প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতা শেষে অতিথিবৃন্দ অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ স্থগিতে ভারতের সাথে আলোচনার প্রস্তাব
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ