পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া মিলিয়ে দেশে কোরবানিযোগ্য গবাদি পশুর সংখ্যা এক কোটি পাঁচ লাখ বলে জানিয়েছে সরকার। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় গতকাল রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গত বছর কোরবানির সময় ৯৬ লাখ ৩৫ হাজার পশু প্রয়োজন হয়েছিল। আর এবার কোরবানিযোগ্যে ৩৩ লাখ গরু ও মহিষ এবং ৭২ লাখ ছাগল ও ভেড়া রয়েছে। বর্তমানে দেশে গবাদিপশুর সংখ্যা চার কোটি ৯০ লাখ। এর মধ্যে গরু ও মহিষ দুই কোটি ৩৫ লাখ এবং ছাগল ও ভেড়া দুই কোটি ৫৫ লাখ।
ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে কোরবানির পশু মোটাতাজা করা হয়েছে কি না তা পরীক্ষা করতে এবার সিটি করপোরেশনসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে পশুর হাটগুলোতে এক হাজার মেডিকেল টিম নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে গতকাল রোববার ‘কোরবানির পশুর হাটে সুস্থ-সবল গবাদিপশু সরবরাহ ও বিক্রয় নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
সভা শেষে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক অজয় কুমার রায় সাংবাদিকদের জানান, এবার গরুর হাটে এক হাজার ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করবে। প্রতিটি টিমে একজন পশু চিকিৎসক এবং দুজন সহকারী থাকবেন। গত বছর পশুর হাটগুলোতে পর্যবেক্ষণ চালানোর জন্য ৮৯৪টি মেডিকেল টিম কাজ করেছিল বলে জানান তিনি।
অজয় রায় বলেন, পশু চিকিৎসক দল হাটে একটি বুথে চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে অবস্থান করবে। পশুর শরীরে ক্ষতিকর উপাদান পরীক্ষাসহ কোনো অসুস্থ প্রাণী পেলে শনাক্ত করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে। মেডিকেল টিমগুলো কোরবানি ঈদের আগের দিন পর্যন্ত তিন দিন পশুর হাটে অবস্থান করবে। উপজেলা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি করে হাটে মেডিকেল টিম থাকবে।
আদালতের নির্দেশে ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো সিটি করপোরেশনসহ দেশের জেলা-উপজেলায় কিছু কিছু হাটে পশু পরীক্ষায় চিকিৎসক দল নিয়োগ দেয় প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। কোরবানি ঈদের আগে পশু মোটাতাজাকরণের ওষুধ বিক্রি বন্ধের ব্যবস্থা নিতে সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানোরও সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া পশু মোটাতাজাকরণে স্টেরয়েড ও হরমোন ব্যবহারের কুফল তুলে ধরে এবং কোরবানির অযোগ্য অসুস্থ ও ত্রুটিযুক্ত গবাদি পশু যাতে বিক্রি না হয় সেজন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মসজিদে মসজিদে প্রচার চালানোরও সিদ্ধান্ত হয় সভায়। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১২ বা ১৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের মুসলমানেরা কোরবানির ঈদ উদযাপন করবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মাকসুদুল হাসান খানের সভাপতিত্বে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।