পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719793162](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাক্ষর ছাড়াই আসামির পক্ষে ওকালতনামায় পাঠানোর ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার খন্দকার আল মামুন। গতকাল সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ডিভিশন বেঞ্চে তিনি আবেদনের মাধ্যমে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
ওই বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক জানান, এনআরবি ব্যাংকের ১১ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে জিওলোজাইজ সার্ভেয়ার কর্পোরেশনের প্রোপাইটর অ্যান্ড চিফ সার্ভেয়ার মিজানুর রহমান কনকের বিরুদ্ধে ২টি মামলা করে দুদক। এ মামলায় গত ১৫ জুন হাইকোর্ট থেকে জামিন পান তিনি। তবে সে সময় করোনার কারণে এফিডেফিট শাখা বন্ধ থাকায় আদালত বলেছিলেন, নিয়মিত আদালত চালু হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে এফিডেফিট করে দাখিল করতে। পরবর্তীতে নিয়মিত আদালত চালু হলে এফিডেফিট করতে গিয়ে দেখে তার একটি মামলার ওকালতনামায় জেলারের স্বাক্ষর নেই। বিষয়টি তখন আদালতের নজরে আনা হয়। পরে আদালত ওকালতনামায় স্বাক্ষর নিয়ে পরবর্তী দিনে এফিডেফিট আদালতে দাখিল করতে বলেন। এরপর আসামিপক্ষ ডেপুটি জেলারের স্বাক্ষর সংবলিত ডকুমেন্ট দাখিল করে। বিষয়টি দেখে আদালতের সন্দেহ জাগে, আসামি জামিন নিয়ে বাইরে থেকে ডেপুটি জেলারের স্বাক্ষর কীভাবে নিলেন?
আদালত তখন ডেপুটি জেলার খন্দকার মো. আল মামুনকে তলব করে ১১ অক্টোবর হাজিরের আদেশ দেন। আদালতের দেয়া আদেশে ১১ অক্টোবর হাজির হয়ে জবাব দাখিলের জন্য সময় চায় ডেপুটি জেলারের আইনজীবী। পরে আদালত ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেন। পরে তিনি হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে তার ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আদালতকে তার আইনজীবী জানান, জেলখানায় এক সঙ্গে ৩০০-৪০০ ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতে হয়। তখন বিষয়টি দেখে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি বিধায় এ ভুল হয়েছে। পরে এ বিষয়ে আদেশের জন্য গতকাল (১৯ সেপ্টেম্বর) ঠিক করেন আদালত। এ সময় মামলাকারী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। ডেপুটি জেলারের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. আলী আজম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।