পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে তৃতীয় শ্রেণি পাস শ্বশুরের নেতৃত্বে এসএসসি পাশ মেয়ে জামাইয়ের এক ডেন্টাল ক্লিনিকের সন্ধান পেয়েছে র্যাব। ভ্রাম্যমাণ আদালতে শ্বশুর-জামাইকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন। গতকাল সোমবার রাজধানীর খিলগাঁও তিলপাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ দুজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শ্বশুর নূর হোসেনকে ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও জামাই জাহিদুল ইসলামকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, তিলপাপাড়া ৭ নম্বর সড়কে একটি বাসার নিচতলায় এই ক্লিনিক খুলে ছিলেন নুর ও জাহিদ। তারা সম্পর্কে শ্বশুর-জামাই। এখানে এর আগে ডা. জিহান কবির নামে একজন চিকিৎসক ছিলেন। তিনি করোনায় চেম্বার ছেড়ে দেয়ার পর চেম্বার খুলেন নুর। সহযোগী হিসেবে ছিল তার মেয়ের জামাই। ডা. জিহানের প্যাড ব্যবহার করলেও ক্লিনিকের বাইরে থাকা সাইনবোর্ডের নাম পরিবর্তন করেছিল। প্যাডে লিখা ‘পঞ্চগড় ডেন্টাল ক্লিনিক’। আর বাইরে সাইনবোর্ডে লিখা ‘হাসাঈনী ডেন্টাল’। নুর হোসেন এর আগে একটি ক্লিনিকে সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। আর তার মেয়ের স্বামী পাথরের ব্যবসার হিসাবরক্ষক হিসেবে কাজ করতেন। নূর হোসেন বলেন, জরুরি রোগী আসলে চিকিৎসা দিতাম। ব্যথার ওষুধ দিতাম।
কিন্তু র্যাব অভিযান চালানোর আগে দেখা গেছে, একজন রোগীর রুট ক্যানেল করানোর কাজ শুরু করতে যাচ্ছিলেন নুর হোসেন। এভাবে দাঁতের সমস্যা নিয়ে আসলে সব চিকিৎসাই তিনি দিতেন। ভুক্তভোগী সোহাগ মিয়া জানান, তার এখানে চিকিৎসা করানোর পর সাময়িক ব্যথা কমেছিল। কিন্তু কোনও লাভ হয় নি।
অভিযান শেষে পলাশ বসু বলেন, দাঁত অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। তাদের নূন্যতম যোগ্যতা না থাকার পরও সাধারণ লোকজনকে চিকিৎসা দেয়ার নামে প্রতারণা করে আসছিল। এখনও রোগীদের এক্সরে করানোর জন্য অন্য একটা প্রতিষ্ঠানে পাঠাতো নুর হোসেন। ওই প্রতিষ্ঠানেরও মালিক নুর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।