পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এসআর গ্রুপের তিনটি রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে ৩২ কোটি ২৫ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকির তথ্য পেয়েছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর। এ কারণে প্রতিষ্ঠান তিনটির বিরুদ্ধে মামলা করেছে সংস্থাটি। প্রতিষ্ঠান তিনটি হলো- বিজয়নগরের সুং ফুড গার্ডেন, ধানমন্ডির গার্লিক এন জিঞ্জার, ইম্পেরিয়াল এবং যমুনা ফিউচার পার্কের গার্লিক এন জিঞ্জার।
নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের (মূল্য সংযোজন কর) মহাপরিচালক ড. মইনুল খান গতকাল এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ভ্যাট গোয়েন্দার অনুসন্ধানে এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রায় ৩২ কোটি ২৫ লাখ টাকার গোপন বিক্রির তথ্য উদ্ঘাটন করা হয়। এর মাধ্যমে এসআর গ্রুপ তিনটি রেস্টুরেন্টে সাত কোটি ১৩ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা।
এর আগে একই গ্রুপের ফুড ভিলেজ ও ফুড ভিলেজ প্লাস নামক দুটি হাইওয়ে রেস্টুরেন্টের ২০০ কোটি টাকার বিক্রির তথ্য গোপন ও এর বিপরীতে ২৬ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির তথ্য উদঘাটন করা হয়।
ড. মইনুল খান বলেন, দি গ্রেট কাবাব ফ্যাক্টরির রাজধানীর গুলশান-২, যমুনা ফিউচার পার্ক ও ধানমন্ডি এলাকায় তিনটি অভিজাত রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধেও প্রায় ১৫ কোটি টাকার গোপন বিক্রির তথ্য উদ্ঘাটন করা হয়। এতে ওই ব্যবসায়ী গ্রুপটির বিরুদ্ধে প্রায় তিন কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির মামলা হয়।
ভ্যাট ফাঁকির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভ্যাট গোয়েন্দার একটি দল রাজধানীর নিকুঞ্জ-১ এর ৪৬ নম্বরের লেকড্রাইভের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ভ্যাট গোয়েন্দার উপপরিচালক নাজমুন নাহার কায়সার ও ফেরদৌসী মাহবুব নেতৃত্ব দেন। এতে এসআর গ্রুপের মালিকানাধীন এই তিনটিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত ও গোপনকৃত বিক্রয় তথ্য পাওয়া যায়। দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে এই তিনটি রেস্টুরেন্টের ভ্যাট ফাঁকির হিসাব চূড়ান্ত ও সেই সূত্রে ভ্যাট আইনে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্য এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গার্লিক এন জিঞ্জার ঢাকা উত্তর ভ্যাট কমিশনারেট এবং বাকি দুটি ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেটে পাঠানো হবে। এই তিনটিসহ এ পর্যন্ত মামলা দায়েরকৃত অন্য পাঁচটি রেস্টুরেন্টে মোট বিক্রির তথ্য গোপন পাওয়া গেছে ২৪৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা। আর এতে ভ্যাট ফাঁকি হয়েছে ৩৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।