পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে সরকার দেশকে ‘নিরাপত্তা’ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। গতকাল শনিবার সকালে এক আলোচনা সভায় দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, আজকে পত্রিকায় আছে পুলিশের হাতে সিটি করপোরেশনের একজন কর্মকর্তাকে নিগৃত করা হয়েছে, চাঁদা চাওয়া হয়েছে, মারদর করা হয়েছে। এই দম্ভোক্তি করেছেন সেই পুলিশ কর্মকর্তা যে, মাছের রাজা হচ্ছে ইলিশ আর দেশের রাজা হচ্ছে পুলিশ। আমরা যে কথাটা বলি, আজকে এই রাষ্ট্রটা সম্পূর্ণভাবে একটা নিরাপত্তা রাষ্ট্রে, সিকিউরিটি স্টেটে পরিণত করা হয়েছে। এখানে রাজনীতিবিদ বলেন, এখানে সাধারণ মানুষ বলেন, বুদ্ধিজীবী বলেন, কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষ বলেন, কারে কোনো অধিকার নেই। এখানে অধিকার একমাত্র যারা ক্ষমতায় আছে তাদের এবং তাদের যন্ত্রগুলোর।
গতশুক্রবার ভোরে যাত্রাবাড়ীর মীরহাজীর বাগ এলাকায় ডিএসসিসি পরিদর্শক (পরিষ্কারও পরিচ্ছন্ন) বিকাশ চন্দ্র সাহাকে যাত্রাবাড়ী থানার এসআই আরশাদ হোসেন আকাশ মারধর করেন বলে হাসপাতালে তার স্বজনরা অভিযোগ করেন। বর্তমানে রাব্বী ও বিকাশ দুজনেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। গত ৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা গোলাম রাব্বানীকে রাজধানীর জেনেভা ক্যাম্পের পাশের রাস্তা থেকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই আটক করে মারদোর করেন মোহাম্মদপুর খানার এসআই মাসুদ শিকদার।
এক সপ্তাহের মধ্যে রাজধানীতে পুলিশের হাতে এক ব্যাংক কর্মকর্তা ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) এক পরিদর্শক নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি হারুন উর রশিদকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে পুলিশ সদর দপ্তর।
পুরানা পল্টনে ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে যুব জাগপার ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে মাসুদ রায়হানসহ নিহতদের স্মরণে’ এই আলোচনা সভা হয়।
গত এক সপ্তাহে পুশিশের হাতে নিগৃত হওয়ার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তাকেও একইভাবে নিগৃত করা হয়েছে, তাকে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। এটাই দেশের প্রকৃত চেহারা। আমরা বলতে চাই, একদিন যখন জনগণ জেগে উঠবে, জনগনের সেই স্বস্ফুর্ত জাগরণ ঠেকাবার কোনো রাস্তা থাকবে না। এটাই বাস্তবতা। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে আমাদেকে রুখে দাঁড়াতে হবে। নইলে দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে।
সরকারের প্রতি আহবান রেখে তিনি বলেন, এখনো সময় আছে, দাম্ভিকতা ও অহংকার পরিহার করুন। আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে এখানে প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য কাজ করুন। একটা নির্বাচন দিন, যার মধ্যদিয়ে জনগনের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে। সত্যিকার অর্থে দেশের মানুষ তাদের পছন্দমত একটি রাষ্ট্র নির্মাণ করতে পারবে, সরকার গঠন করতে পারবে। আমরা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার পরিবর্তন চাই, শের মানুষও তা চায়।
নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গ মির্জা ফখরুল বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করার নীতি থেকে বেরিয়ে আসুন। ক্ষমতায় চিরদিন টিকে থাকার যে আশা তা থেকে বেরিয়ে এসে জনগনের যে চাহিদা তা পুরণ করবার জন্য কাজ করুন। তানাহলে বাংলাদেশ কঠিন দেশ। দেশে যে সংকটের মধ্যে নিপতিত হয়েছে, সেই সংকট থেকে কেউই পরিত্রাণ পাবেন না। আপনরাও তো পাবেনই না।
দেশের বর্তমান অর্থণৈতিক অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, অর্থনীতির অবস্থা অত্যন্ত ভঙ্গুর হয়েছে। যদিও সরকার প্রচার করছেন যে, দেশের উন্নয়ন এখন এমন পর্যায় পৌঁছেছে যে এটা নাকী একেবারেই ঈর্ষণীয় একটা অবস্থায় পরিণত হয়েছে পৃথিবীর কাছে। কিসের ভিত্তিতে তারা বলছেন জানি না। আমরা যেটা দেখছি, ব্যাংকিং ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। এমন একটা খাত নেই যেখাতে লুন্ঠন চলছে না, সরকারি লোকেরা লুন্ঠনের মধ্য দিয়ে দেশের সম্পদ বিদেশে পাঁচার করছে। কিছুদিন আগে আমরা পত্রিকায় দেখেছি, গত আর্থিক বছর ২০১৫ তে প্রায় ৭৭ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে পাঁচার হয়ে গেছে।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের জীবন ‘দুঃসহ’ হয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন কৃষক দলেল এই ভারপ্রাপ্ত সভাপতি।
যুব জাগপার সভাপতি সভাপতিত্বে ফাইজুর রহমানের আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার লুতফর রহমান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)‘র সভাপতি ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, কল্যাণ পার্টির সহ-সভাপতি সাহিদুর রহমান তামান্না, জাগপার মহিউদ্দিন বাবুল, এম এ মান্নান, এম এ ওয়াদুদ, আসাদুর রহমান খান, মজিবুর রহমান, শেখ কামাল উদ্দিন, যুব জাগপার শেখ ফরিদউদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।