পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে ধর্ষণ যিনা ব্যভিচার বৃদ্ধি পাওয়ায় জনগণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ধর্ষণ যিনা ব্যভিচার এবং সামাজিক অবক্ষয় রোধে কোরআনের আইন চালু করতে হবে। পাঠ্যসূচিতে ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। অশ্লীলতা বেহায়াপনা বন্ধ করতে হবে। গতকাল শনিবার বিকেলে পিরোজপুর উলামা পরিষদের উদ্যোগে রাজধানীর ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন মিলনায়তনে আল্লামা শাহ আহমাদ শফী (রহ.) এর জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি মুফতি ওয়াহিদুল আলমের সভাপতিত্বে মাওলানা রিয়াজুল ইসলাম মুনির ও মুফতি আবুল হাসানের যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য আরো বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী আব্দুর রহীম কাসেমী, সাত কাছেমিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান মুমতাজী, ফরিদাবাদ মাদরাসার প্রবীণ শিক্ষক মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন, মুফতি মুহিব্বুল্লাহ কাসেমী, হাফেজ মাওলানা কামরুজ্জামান, মাওলানা ফেরদাউস আহমাদ, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন, মুফতি আব্দুল কুদ্দুস ফিরোজী, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মুফতি কবির আহমাদ ও মুফতি মিরাজুল ইসলাম।
নেতৃবৃন্দ বলেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর আমীর শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.) ছিলেন আকাবিরে দেওবন্দের যোগ্য উত্তরসূরি। আত্মশুদ্ধির মেহনতে জগত বিখ্যাত ও দরসে হাদীসের মসনদে তিনি জীবন্ত কিংবদন্তি। তিনি জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত বাতিল বিরোধী আন্দোলন করে গেছেন। খতমে নবুওয়াতের রাজসিংহাসনের মর্যাদা রক্ষায় তিনি ছিলেন অকুতোভয় এক সিপাহসালার। হাইয়াতুল উলইয়া, বেফাক, হেফাজতসহ তার রেখে যাওয়া মিশন এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব আমাদের সবার।
আজ তিনি না থাকলেও তার আদর্শ বুকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে ইসলাম ও মুসলমানদের কল্যাণে কাজ করতে হবে। অনুষ্ঠান শেষে আল্লামা শফীর রূহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।