পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতা : চাষিরা এখনো পুরনো পদ্ধতিতে পাট জাগ দিচ্ছেন। পুকুর, বিল ও ডোবায় কাদা মাটি দিয়ে পাট জাগ দেয়ায় একদিকে যেমন পাটের গুণগত মান কমে যাচ্ছে তেমনি পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১শ’ ৭০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়ায় পাটের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়। তবে চাষিদের পাট জাগ দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়ার পরও কোনো চাষি এ পরামর্শ মানছেন না। তারা সনাতন পদ্ধতিতে পাট জাগ দেয়ার কারণে পাটের রং কালো ও গুণগত মান কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে পাট পচা পানির দুর্গন্ধে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। কৃষি স¤প্রসারণ বিভাগ এ উপজেলার চাষিদের পাট চাষ ও পাট জাগ (পচানো) দেয়ার প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করলেও কৃষি বিভাগের পরামর্শ চাষিরা তা মানতে নারাজ বলে উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আবদুল কাইয়ূম মজুমদার স্বীকার করেছেন। উপজেলার এখলাছপুর গ্রামের পাটচাষি মোজাম্মেল হক জানান, কৃষি অফিস পলিথিন, বালি ও বস্তা ভর্তি ইট দিয়ে পাট জাগ দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। কিন্তু জায়গা ও সময় স্বল্পতা ছাড়াও এটি ব্যয়-বহুল হওয়ায় চাষিরা কেউ এ পরামর্শ মানছেন না। একই কথা জানালেন বাগানবাড়ির সিরাজ মাস্টার ও খাগুরিয়ার স্বপন। ছোট হলদিয়া গ্রামের চাষি শাহআলম সরকার জানান, যাদের দু’এক বিঘা জমিতে পাট রয়েছে তারা ইট বালি কিংবা পলিথিন ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু যাদের ১০-১৫ বিঘা জমিতে পাট রয়েছে তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি অফিসার আবদুল কাইয়ূম মজুমদার জানান, চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হলেও চাষিরা নানা অজুহাতে তা মানতে নারাজ। সনাতন পদ্ধতিতে পাট জাগ দেয়ায় পাটের রং বিবর্ণ হয়ে যাওয়ায় চাষিরা কাক্সিক্ষত মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিভিন্ন ইউনিয়নে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের পরামর্শ প্রদান করছেন। চাষিরা কেউ কোনো কথা শুনছেন না। বরং কৃষি অফিসের কাছে ইট বালু ও পলিথিন সরবরাহ করার দাবি জানাচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।