পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ভালো শেয়ারের যোগান দিতে পুঁজিবাজারে আসছে বিভিন্ন খাতের ১২টি কোম্পানি। কোম্পানিগুলো ফিক্সড প্রাইস ও বুকবিল্ডিং পদ্ধতির মাধ্যমে বাজারে আসতে চায়। প্রতিষ্ঠানগুলো পুঁজিবাজার থেকে টাকা নিয়ে কোম্পানির উন্নয়ন, ঋণ পরিশোধ ও আইপিও বাবদ ব্যয় করবে। বর্তমানে এসব কোম্পানির আইপিও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
জানা গেছে, বর্তমানে পাইপ লাইনে থাকা এ কোম্পানিগুলো হচ্ছে- আমরা নেটওয়ার্কস, এসটিএস হোল্ডিংস লিমিটেড (অ্যাপোলো হাসপাতাল), ইফকো গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড, ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেড, প্যাসিফিক ডেনিমস লিমিটেড, হ্যামপ্যাল রি ম্যানুফ্যাকচারিং বাংলাদেশ লিমিটেড, মারহাবা স্পিনিং, ভিএফএস থ্রেড ডায়িং লিমিটেড এবং শেফার্ড টেক্সটাইলস মিলস লিমিটেড। তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- বসুন্ধরা পেপার, ফরচুন সুজ, আমান কটন। কোম্পানিগুলো বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে স¤প্রতি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবেদন করেছে। আর কয়েকটি কোম্পানি তাদের রোড শো সম্পন্ন করেছে। এছাড়া স¤প্রতি আশুগঞ্জ পাওয়ার নামে একটি কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসার জন্য বিএসইসিতে যোগাযোগ করছে বলে জানা গেছে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলেছেন, পুঁজিবাজারে নতুন কোম্পানি আসবে এটা ভালো খবর। তবে যেসব কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করবে তাদের আর্থিকভিত্তি কেমন তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব বিএসইসি’র। কারণ, দুর্বল কোম্পানি যদি পুঁজিবাজারে আসার সুযোগ পায়, তবে তা বিনিয়োগকারী এবং বাজারে কারও জন্য ভালো হবে না। বিএসইসিকে সেই বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে হবে।
জানা গেছে, পুঁজিবাজারে আসতে ইচ্ছুক কোম্পানিগুলোর মধ্যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে বাজারে আসতে চায়। এ কোম্পানিগুলো হচ্ছে- এসটিএস হোল্ডিংস লিমিটেড (অ্যাপোলো হাসপাতাল), বসুন্ধরা পেপার মিল, আমরা নেটওয়ার্কস, আমান কটন এবং ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট। স¤প্রতি কোম্পানিগুলো বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে বাজারে আসার জন্য রোডশো সম্পন্ন করেছে।
সূত্রমতে, বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে এসটিএস হোল্ডিংস লিমিটেড ৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেড ৫৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা এবং ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেড ৬০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চায়। একইভাবে- বসুন্ধরা পেপার ২০০ কোটি এবং আমান কটন ৮০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে ইচ্ছুক। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে- প্যাসিফিক ডেনিমস্ লিমিটেড পুঁজিবাজার থেকে ৭৫ কোটি টাকা, হ্যামপ্যাল রি-ম্যানুফ্যাকচারিং বাংলাদেশ লিমিটেড ২০ কোটি টাকা, ইফকো গার্মেন্টস এ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড ২০ কোটি টাকা, মারহাবা স্পিনিং ৫০ কোটি টাকা, ভিএফএস থ্রেড ডায়িং লিমিটেড ২২ কোটি টাকা, শেফার্ড টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড তুলতে চায় ২০ কোটি টাকা ও ফরচুন সুচ ২২ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চায়।
গত সপ্তাহের পুঁজিবাজার: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গেল সপ্তাহে প্রথম কার্যদিবস রোববার (৭ আগস্ট) লেনদেন শুরুতে ডিএসই’র বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ২৩ হাজার ৩০১ কোটি ৯১ লাখ ৭৭ হাজার ৪১৫ টাকায় এবং শেষ কার্যদিবসে বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) লেনদেন শেষে বাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ২৩ হাজার ৯৩ কোটি ৯৫ লাখ ১৫ হাজার ৪৩৫ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ২০৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা বা শূন্য দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। গত সপ্তাহে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৩১৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা। যা এর আগের সপ্তাহের চেয়ে ১০১ কোটি বা ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ২১৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা। গত সপ্তাহে ডিএসইতে বেড়েছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ। গড়ে প্রতিদিন টার্নওভার দাঁড়িয়েছে হয়েছে ৪৬৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। যা তার আগের সপ্তাহে ছিল ৪৪৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
গত সপ্তাহে ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৫৭৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে এবং শরীয়া সূচক ডিএসইএস দশমিক ৪৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১২৩ পয়েন্ট এবং ডিএস ৩০ সূচক ১৪ পয়েন্টে কমে ১ হাজার ৭৮১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৯টির, কমেছে ১২১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির আর লেনদেন হয়নি ২টি কোম্পানির শেয়ার।
এদিকে গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক কমেছে শূন্য দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। সিএসই ৩০ সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৯২ শতাংশ, সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স কমেছে শূন্য দশমিক শূন্য ৩৭ শতাংশ, সিএসই ৫০ সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং শরীয়াহ সিএসআই সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ২৮ শতাংশ।
সিএসইতে গড়ে মোট লেনদেন হয়েছে ২৮০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৫টির, কমেছে ৯৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির। টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১২৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।