পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : নিজেকে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সমর্থক উল্লেখ করে বলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান বলেছেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিবেশগত ঝুঁকি থাকলে তা আরও সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। আমি সেখানে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের শক্ত সমর্থক ছিলাম। তার মানে এই নয় যে, পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ থাকলে তা পুরোপুরি বিবেচনা করা হবে না। গতকাল শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত জ্বালানি খাতের মেগা প্রকল্পে অর্থায়নে প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই কার্যালয়ে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনটির সভাপতি হোসেন খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মসিউর রহমান।
তিনি বলেন, রামপাল এখন বিতর্কে পরিণত হয়েছে। এটা সঠিক কারণে হতে পারে, বেঠিক কারণেও হতে পারে। কিন্তু আমি অনেক দিন ধরেই সেখানে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সমর্থক ছিলাম। সমর্থনের কারণ হিসেবে মসিউর বলেন, খুলনা অঞ্চলে এক সময় অনেক পাটশিল্প ছিল। কিন্তু এখন খুলনা শিল্পহীন হয়েছে। খুলনা ও যশোরের মধ্যে ৬০ কিলোমিটার রাস্তার পাশে অনেক মাঝারি কারখানা আছে। গ্যাস-বিদ্যুতের অভাবে তারা তাদের উৎপাদন ক্ষমতার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ব্যবহার করতে পারে না। এসব কারখানায় বিদ্যুৎ-গ্যাস দেওয়া গেলে ভবিষ্যতে কোনো ধরনের অতিরিক্ত বিনিয়োগ ছাড়া উৎপাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ করা সম্ভব বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা।
মসিউর বলেন, আমার কাছে যে তথ্য আছে তা হলো, সুন্দরবনের সংরক্ষিত অঞ্চলের চার থেকে ছয় মাইল দূরে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি হবে। তবে সেখানে যদি কোনো ইস্যু (বিষয়) থাকে, তাহলে তা আরও সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সাবেক সচিব এম ফাওজুল কবির খান বলেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র জ্বালানি খাতকে সহায়তা করছে না, বরং অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছে। তাই এটি সরিয়ে নেওয়া উচিত। অবশ্য জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ক্ষেত্রে সরকার পরিবেশগত ঝুঁকির সকল বিষয় মূল্যায়ন করেছে এবং রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হলে সুন্দরবনের ক্ষতির কোনো সম্ভাবনা নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।