পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্পোর্টস ডেস্ক : অবসর ভেঙে পঞ্চম অলিম্পিকে এসেছিলেন মাইেকেল ফেল্পস। রিও অলিম্পিকে নিজের ফেল্পস প্রথম সোনা পেয়েছিলেন গেমসের দ্বিতীয় দিনে সতীর্থদের সঙ্গে ৪*১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল রিলেতে। এতে প্রথম সাঁতারু হিসেবে অলিম্পিকের চারটি আসরে সোনা জেতা হয়ে যায় তার। চারটি ইভেন্টে নেমে চারটিতেই সোনা জয়ের পর হার মানতেই হলো মাইকেল ফেল্পসকে। সর্বকালের সেরা এই সাঁতারুকে তার প্রিয় ইভেন্ট ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে পেছনে ফেলে সোনা জিতেছেন সিঙ্গাপুরের জোসেফ স্কুলিং। রিও গেমসের সপ্তম দিনে ফেলপসেরই অলিম্পিক রেকর্ড ভেঙে ৫০.৩৯ সেকেন্ডের নতুন রেকর্ড গড়েন ২১ বছর বয়সী স্কুলিং। শুরুতে খানিকটা পিছিয়ে যাওয়া ফেলপস শেষেরদিকে ব্যবধান কমিয়ে আনেন। ৫১.১৪ সময় নিয়ে তিন জন পান রুপা! পোডিয়ামের একই ধাপে তাই তিন বিখ্যাত প্রতিদ্বন্দ্বী ফেলপস, দক্ষিণ আফ্রিকার চ্যাড লে ক্লজ ও হাঙ্গেরির লাজলো চেহ।
ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র সিঙ্গাপুর অলিম্পিক ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সোনার পদক জিতল। পুরস্কার হিসেবে স্কুলিং পাবেন ১০ লাখ সিঙ্গাপুর ডলার। বাছাইয়ে সবচেয়ে ভালো টাইমিং নিয়েই ফাইনালে ৪ নম্বর লেনে শুরু করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে পড়ালেখা করা স্কুলিং। গত তিন আসরে এই ইভেন্টে সেরা ফেলপস দুই নম্বর লেনে সাঁতরিয়ে শিরোপা ধরে রাখতে পারেনি। ১০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে দ্বিতীয়বার এই দৃষ্টান্ত দেখাতে না পারলেও তার কৃতিত্ব এতটুকুও ম্লান হচ্ছে না।
ক্যারিয়ারের শেষপ্রান্তে এসে ৩১ বছর বয়সী এই জলদানবের ঝুলিতে এখন অলিম্পিকের ২২টি সোনা, ৩টি রুপা ও ২টি ব্রোঞ্জ নিয়ে মোট ২৭টি পদক! সব পদক মেলালে ১৮টি পদক নিয়ে ফেলপসের পরে আছেন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের জিমন্যাস্ট লারিসা লাতিনিনা। আর সোনার পদকের হিসেবে তো তার ধারেকাছেই কেউ নেই। ৯টি করে সোনা লাতিনিনা, ফিনল্যান্ডের দূরপাল্লার দৌড়বিদ পাভো নুরমি, যুক্তরাষ্ট্রের সাঁতারু মার্ক স্পিতস ও স্প্রিন্টার কার্ল লুইসের।
স্কুলিং বিস্ময়ের দিন আরেক বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছেন কেটি লেডেকি। চার বছর আগে লন্ডন অলিম্পিকে এই ইভেন্টেই সোনা জিতে বিশ্বমঞ্চে প্রথম আলো ছড়িয়েছিলেন। ৮০০ মিটার বিশ্ব রেকর্ড তাঁর, তাও আবার নিজেই নিজের রেকর্ড ভেঙেছেন চারবার। লেডেকি রিওতেও বিশ্ব রেকর্ড গড়বেন, এ আর আশ্চর্য কী! তেনটাই হয়েছে গতকাল। বিশ্ব রেকর্ড গড়েই ৮০০ মিটার ফ্রি স্টাইলের স্বর্ণ জিতেছেন ১৯ বছর বয়সী যুক্তরাষ্ট্রের এই নারী সাঁতারু। সময় নিয়েছেন ৮ মিনিট ৪.৭৯ সেকেন্ড। ভেঙে দিয়েছেন এই বছর ১৭ জানুয়ারি অস্টিনে নিজের গড়া ৮ মিনিট ৬.৬৮ সেকেন্ডের রেকর্ড। কতটা দাপট ছিল লেডেকির, সেটি এই তথ্য থেকে বুঝে নিতে পারেন। রুপাজয়ী ব্রিটেনের জ্যাজ কার্লিন সময় নিয়েছেন ৮ মিনিট ১৬.১৭ সেকেন্ড। হাঙ্গেরির বোগলারকা কাপাস ব্রোঞ্জ জিততে সময় নিয়েছেন ৮ মিনিট ১৬.৩৭ সেকেন্ড।
এমনভাবে পুলে নেমে ঝড় তুলছেন, তাঁকে এখনই ঠারেঠোরে কেউ মেয়েদের ‘মাইকেল ফেল্পস’ বলতে শুরু করে দিয়েছেন। সেটি একটু বাড়াবাড়ি মনে হতে পারে। তবে রিও অলিম্পিকে যেন সে পথেই হাঁটছেন লেডেকি। ১০০ মিটার ফ্রি স্টাইলের রিলেতে রুপা জিতে শুরু হয়েছিল রিও অলিম্পিক অভিযান। এরপর ৪০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে সোনা জিতেছেন বিশ্ব রেকর্ড গড়ে। ২০০ মিটার ফ্রি স্টাইলেও সোনা জিতেছেন, যদিও বিশ্ব রেকর্ড হয়নি। ২০০ মিটার ফ্রি স্টাইলের রিলেতেও বলতে গেলে একাই দেশকে সোনা এনে দিয়েছিলেন। রিও অলিম্পিকেই সোনার সংখ্যাটাকে পাঁচে নিয়ে গেলেন লেডেকি।
তবে এসব বিশ্ব রেকর্ডেও ভিড়ে একটি খবর নজর কেড়েছে বিশ্ববাসীর। বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বের। মহিলাদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে অংশ নিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন সৌদি আরবের নারী দৌড়বিদ করিমন আবুল জাদায়েল। প্রিলিমিনারি হিটে অংশ নিয়ে তিনি শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে না পারলেও তার গ্রুপে সপ্তম স্থান লাভ করেছেন। এর ফলে চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে না পারলেও আদায় করে নিয়েছেন বিশ্বের অগনিত মানুষের সমর্থন। ২২ বছর বয়সী জাদায়েল ওই ইভেন্টে অংশ নিয়েছেন হিজাব পরে। এর আগে আরো এক সৌদি নারী অংশ নিয়েছিলেন ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে। তবে সারা আত্তার নামের ওই অ্যাথলেটও যথারীতি হিজাব পরেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৮০০ মিটার ইভেন্টে। তার পথ অনুসরণ করেই জাদায়েল ১০০ মিটার ইভেন্টে অংশ নিয়েছেন। এদিন হিজাব পরে আরেক আফগান নারী অ্যাথলেটও অংশ নিয়েছেন রিও অলিম্পিকে। তার নাম কামিয়া ইউসুফি। তবে হিটে তিনি সবশেষ স্থানটি অর্জন করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।