পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ছাত্র রাজনীতিতে সুস্থ ধারার অভাবে দেশের গণতন্ত্র আজ বিপন্ন। সুস্থ ধারার রাজনীতি ফিরে পেতে নির্বাচিত ছাত্র সংসদের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। গতকাল এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক খন্দকার মোশাররফ বলেন, গণতন্ত্র চর্চায় জাতীয় রাজনীতিতে ছাত্র রাজনীতির ভূমিকা অপরিহার্য। অতীতে ছাত্র সংসদের মাধ্যমে জাতীয় রাজনীতির সাথে একটি চমৎকার সেতুবন্ধন রচিত ছিল। দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষায় প্রতিটি আন্দোলনে ছাত্রদের অংশগ্রহণ ছিল প্রশংসনীয়। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৯’র ছাত্র আন্দোলন, ৭১’এ স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং ৯০’র স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র সমাজের অগ্রণী ভূমিকা ছিল। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ দমন এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অতীতের ন্যায় আবারো সেই গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকায় অবতীর্ণ হবার জন্য ছাত্রদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান বিএনপির এই সিনিয়র নেতা। জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গণতন্ত্র রক্ষায় ছাত্র রাজনীতির ভূমিকা : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে ঢাকাস্থ বৃহত্তর দাউদকান্দি ছাত্র কল্যাণ পরিষদ। ড. মোশাররফ বলেন, বহু বছর ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নেই। সরকার এই বিষয়ে উদ্যোগ নিচ্ছে না। রাজনীতির নামে ছাত্ররা এখন টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ও দখলবাজিসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে। ফলে ছাত্র রাজনীতির সেই অতীত ঐতিহ্য মøান হয়ে গেছে। অতীতে এমনটি ছিল না। এটি জাতির জন্য চরম হতাশা ও দুর্ভাগ্যজনক। তিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সুস্থ ধারার রাজনীতি ফিরে পেতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের গুরুত্বারোপ করেন এবং দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা নিতে সরকারের কাছে দাবি জানান। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ছাত্র রাজনীতির গুরুত্ব অপরিসীম। এখনই ছাত্রদের সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরাতে না পারলে দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের সমূহ ক্ষতি হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
দলের নতুন কমিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের চেয়ারপার্সন যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের নিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করেছেন। বিএনপির মতো একটি বিশাল ও জনপ্রিয় দলে হয়তো সকল ত্যাগী নেতাদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। আমি আশা করি বিষয়ভিত্তিক উপ-কমিটিতে অনেক ত্যাগী নেতাকর্মীকে যুক্ত করা হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মোঃ সফিউল বাশারের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেন, কৃষিবিদ ইব্রাহীম খলিল, এডভোকেট আবেদ রেজা, আজহারুল হক শাহীন, ডাঃ শাহিদুল হাসান বাবুল, মাজহারুল ইসলাম, ইয়াহিয়া খাঁন, মামুন হোসেন ভূঁইয়া, সাখাওয়াত হোসেন, আল আমিন সিদ্দিকী আকাশ, মোঃ জহিরুল ইসলাম, এনামুল হক সফর, শরীফ চৌধুরী, রোমান খন্দকার, আসাদুজ্জামান লিমন ও আবু তালেব প্রমুখ। সংগঠনের সহ-সভাপতি সাকিব মিয়াজী ও সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান খন্দকার অনিক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।