Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ছুটে যাবার চেষ্টা করছে ‘বঙ্গবাহাদুর’

প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

জামালপুর জেলা সংবাদদাতা : বঙ্গবাহাদুর’ নামের হাতিটিকে একনজর দেখতে শনিবার দুপুরে ঢাকা থেকে সরিষাবাড়ীর কয়রা গ্রামে গিয়েছেন প্রধান বনসংরক্ষক অসিত রঞ্জন পাল। সেখানে এসে তিনি পিছনের দুই পা শিকলে বাঁধা দেখেও হাতিটি নিরাপদ নয় ভেবে সামনের দুই পায়ে শিকলের বাঁধন লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন। তবে সামনের পায়ে শিকল লাগানোর জন্য হাতিটিকে আবারও অচেতন করা হবে বলে জানান বন্যপ্রাণী পরিদর্শক অসিম মল্লিক।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে বঙ্গবাহাদুর এর সামনের দুই পায়ে আরেকটি রশি লাগানোর চেষ্টা করে উদ্ধার কর্মীরা। এসময় হাতিটি উত্তেজিত হয়ে গাছের সাথে লাগানো রশিটি ছিড়ে ফেলে কাছের জলাশয়ে নেমে পড়ে। পেছনের দুই পায়ে শিকল ও শিকলের সাথে লম্বা রশি থাকায় আবারও সেটিকে আমগাছের সাথে আটকানো হয়। তবে পেছনের দুই পায়ে শিকল বাধা হাতিটি পাশের একটি ডোবায় নেমে অবস্থান নিয়েছে। হাতিটিকে পানি থেকে উঠনোর চেষ্টা করছে বন বিভাগের উদ্ধারকর্মীরা।
বনপ্রাণী পরিদর্শক অসিম মল্লিক আরও জানান, বর্তমানে হাতিটি সুস্থ আছে। তাকে আখসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার দেয়া হচ্ছে। আজ সকালে হাতিটির সামনের পায়ে রশি লাগানোর সময় হাতিটি উত্তেজিত হয় এবং গাছের সাথে বাঁধা রশিটি ছিড়ে ফেলে। সাথে সাথে আরেকটি লম্বা রশি দিয়ে পাশের আরেকটি গাছের সাথে বেঁধে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও হাতিটির সামনের পায়ে শিকল লাগানোর জন্য রোববার যেকোন সময় হাতিটিকে আবারও অচেতন করা হতে পারে।
জামালপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ শাহাবুদ্দিন খান জানান, হাতিটি ভাল আছে। তবে যেখানে আছে সেখান থেকে গাইড করে বের করা কঠিন। হাতিটি দেখতে উৎসুক জনতার ভীড়ের কারণে স্থানান্তরের প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। এর জন্য কয়ড়া এলাকায় বহিরাগতদের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। হাতি ও এলাবাসীর নিরাপত্তায় সরিষাবাড়ির কয়ড়া গ্রামে কাজ করছে র‌্যাব, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
বন্যার পানি দেড় মাস ভেসে বেড়ানো হাতিটি পর গত বৃহস্পতিবার ট্যাঙ্কুলাইজার গান দিয়ে অচেতন করে উদ্ধার করে বনবিভাগ। উদ্ধারের পর সুস্থ করতে তার চিকিৎসা দেয়া হয়। ১০ ঘন্টা পর হাতিটির চেতনা ফিরে আসে। কয়েকদিন কয়ড়া গ্রামে রাখার পর হাতিটিকে গাজীপুর বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কে নেয়া হবে। গত ২৮ জুন ভারতের আসাম থেকে পাহাড়ি ঢলে বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে ভেসে আসে বুনো হাতিটি। এর পর হাতিটি কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে বানের জলে ভেসে বেড়ায়। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার হাতিটি উদ্ধার করে বনবিভাগ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ছুটে যাবার চেষ্টা করছে ‘বঙ্গবাহাদুর’
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ