পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাতের ব্যাথায় ১৯ শতাংশ মানুষ স্বাভাবিক কাজ করতে ব্যর্থ হয়। ২০১০ সালের এক গবেষণায় এই তথ্য পাওয়া গেছে। এক্ষেত্রে তাদের গড়ে প্রায় ১৮ দিনেরও বেশি কাজে অনুপস্থিত থাকতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আজ পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস’। প্রতি বছর এই দিনটি বাত ব্যাথা বা আর্থ্রাইটিস বিষয়ে সচেতনতার জন্য পালিত হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘বাত ব্যাথা নিয়ন্ত্রণের এখনই সময়’।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মো. নজরুল ইসলাম ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আবু শাহীন জানান, পৃথিবীতে বাত ব্যাথা বা আর্থ্রাইটিস মানুষের স্বাস্থ্য সমস্যার একটি অন্যতম কারণ। এই রোগে মানুষ শারীরিক অক্ষমতার জন্য কাজ করতে পারে না। আয়-রোজগার হতে বঞ্চিত হওয়ায় মানুষ ক্রমান্বয়ে গরীব হয়ে যায়। তারা জানান, বাংলাদেশে শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউমাটোলজি বিভাগে এই বিষয়ে চিকিৎসা, শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এই বিভাগ ২০০১ ও ২০১০ সালে বাংলাদেশে বাত ব্যাথা রোগের প্রকোপ নির্ণয়ের জন্য দুইটি গবেষণা করে।
২০০১ সালের গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের শতকরা ২৬ দশমিক ৩ শতাংশ জীবনের কোন না কোন সময় বাত ব্যাথায় ভুগে থাকেন। ২০০৫ সালে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৫ শতাংশে। পুরুষের তুলনায় নারীরা এ রোগে বেশি ভোগেন। এক্ষেত্রে পুরুষের হার ২১ দশমিক ১ ভাগ এবং নারীদের হার ৩১ দশমিক ৩ ভাগ। আশঙ্কার বিষয় ১০ বছরের ব্যবধানে নারীদের হার প্রায় ৩ শতাংশ বেড়ে ৩৪ দশমিক ৫ শতাংশ এবং পুরুষদের হার ১৮ দশমিক ৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
একই এলাকায় পরিচালিত গবেষণা দুটোতে দেখা গেছে, বাত ব্যাথার কষ্টগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রকোপ কোমর ব্যাথায়। ২০১০ সালের হিসাবে ২১ দশমিক ২ শতাংশ; হাটু ব্যাথা ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ। কাঁধের জোড়ার ব্যাথা ৭ দশমিক ৪ শতাংশ, কুঁচকি বা হিপ এর বাত ৭ দশমিক ১ শতাংশ, গোড়ালীর বাত ৬ শতাংশ।
এই দুই বিশেষজ্ঞ বলেন, এ পর্যন্ত ৫০ এর অধিক চিকিৎসক এই বিভাগ থেকে রিউমাটোলজিতে এমডি ডিগ্রি লাভ করেছে। কিন্তু সরকারি কোন প্রতিষ্ঠানে কোন পদ না থাকায় এই বিশেষজ্ঞদের চিকিৎসা সেবার বিস্তার করানো যাচ্ছে না। এদেশের অনেক মানুষ বাতব্যাথা রোগের জন্য পাশ্ববর্তী দেশে গিয়ে অনেক টাকা ব্যয় করেন। কিন্তু অপচিকিৎসা ও অন্যান্য কারণে তারা আরও দরিদ্র হয়ে পড়েন এবং শেষ পর্যন্ত সাধারণ চিকিৎসা চালানোর সক্ষমতা হারিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েন। বিশেষজ্ঞরা সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে রিউমটোলজি বিভাগ চালু ও পদ সৃষ্টি করতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।