পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১৭ অক্টোবরের মধ্যে স্কুল খোলা দাবি জানিয়েছে কিন্ডারগার্টেন ও সমমান স্কুল রক্ষা জাতীয় কমিটি। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৪০ হাজার কিন্ডারগার্টেনে কর্মরত প্রায় ৮ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা বরাদ্দ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয় খুলে দেয়া ও স্ব স্ব স্কুলে বার্ষিক মূল্যায়ণ পরীক্ষা নেয়ার সুযোগ দানের দাবি জানানো হয়।
২১টি সংগঠনের যৌথ প্রয়াসে গঠিত এই জাতীয় কমিটির আহবায়ক মো. মিজানুর রহমান সরকারের সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ও নানা প্রশ্নের উত্তর দেন সদস্য সচিব জিএম কবির রানা।
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার সাফল্যের ক্ষেত্রে কিন্ডারগার্টেনের অবদান প্রায় অর্ধেক। অথচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ স্কুল বন্ধের মধ্যেও সরকারি বেতন পাচ্ছেন আর কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকগণ একই বই পড়িয়ে এবং পিইসি পরীক্ষায় তুলনামূলক ভালো ফলাফল অর্জন করেও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা থেকে বঞ্চিত। এই বৈষম্য একটি সফল রাষ্ট্রে চলতে পারে না। তারা বলেন, বর্তমানে দেশের অফিস আদালত, মার্কেট, গার্মেন্টস, বাস, ট্রেন, লঞ্চ, পার্ক সর্বত্র লোক সমাগম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। কওমী মাদরাসা খুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানে সংক্রমণের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ও লেভেল এবং এ লেভেল পরীক্ষার অনুমতি দেয়া হলো। কিন্ডারগার্টেন রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, আর্থিক অনটনে পড়ে ইতোমধ্যে ১৪ জন শিক্ষক হৃদরোগ, আত্মহত্যাসহ নানা কারণে মারা যান। অধিকাংশ স্কুল ভাড়াবাড়িতে অবস্থিত হওয়ায় ভাড়ার চাপে হাজারো স্কুল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষকরা মানবেতর জীবন থেকে উত্তরণে কেউ কেউ পেশা পরিবর্তন করছেন। এটা রাষ্ট্রের জন্য অশনি সংকেত।
কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মদ আবদুল অদুদের উপস্থাপনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা নুরুজ্জামান কায়েস, সদস্য ইস্কান্দার আলী হাওলাদার, উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম খন্দকার, যুগ্ম আহবায়ক হাবীবুর রহমান, এম এইচ বাদল, লায়ন তাজুল ইসলাম, উপদেষ্টা আহসান সিদ্দিকী, এম এ ছিদ্দিক মিয়া, ফারুক আহমেদ, সদস্য আবদুল হাই, সফিকুল ইসলাম স্বপন, শেখ মিজানুর রহমান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।