পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হাফ সেঞ্চুরি করেছে আলুর কেজি। মরিচের কেজিও তিনশ’ টাকা। আবার খাদ্য মন্ত্রণালয় মূল্য নির্ধারণ করে দেয়ার পরও লাগামহীন চালের বাজার। তেলের দাম বেড়েছে; পেঁয়াজের দামও কমেনি। মধ্যবৃত্ত-নিম্নবৃত্ত ও সীমিত আয়ের মানুষ চরম বিপাকে পড়ে গেছে।
গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা থেকে ৭ টাকা বেড়েছে। কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে বেড়েছে ১২০ টাকা পর্যন্ত। ডিমের দাম ডজনে বেড়েছে ৫ টাকা। মূলত দীর্ঘদিন ধরেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরণের সবজি। ৬-৭টি সবজির কেজি সেঞ্চুরি করেছে। ১৫০ টাকা ছুঁয়েছে শিমের কেজি। বাকি সবজির বেশিরভাগের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকার কাছাকাছি। সবজির এমন চড়া বাজারে নতুন করে দাম বেড়েছে ডিমের।
দেশের বিভিন্ন মিলগেটের (বৃহৎ আড়ত) মতো পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে চালের বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও চালের বাজার লাগামহীন। রাজধানীতে চালের পাইকারি ও খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৫১ টাকা ৫০ পয়সা করে ৫০ কেজির বস্তা ২ হাজার ৫৭৫ টাকা এবং মাঝারি মানের প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৪৫ টাকা দরে ৫০ কেজির বস্তা ২ হাজার ২৫০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। গত ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার খাদ্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত চালকল মালিক, পাইকারি ও খুচরা চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
পরবর্তী সময়ে কৃষি বিপণন অধিদফতর চালের পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে দাম নির্ধারণ করে দেয়। সংস্থাটির মহাপরিচালক মোহম্মদ ইউসুফ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মিলগেটে প্রতি কেজিতে নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত ২ টাকা বাড়িয়ে পাইকারি এবং পাইকারি পর্যায় থেকে প্রতি কেজিতে আরও আড়াই টাকা বাড়িয়ে খুচরা পর্যায়ে বিক্রির জন্য দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়। সেই মিনিকেট প্রতি কেজি ৫৩ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি করবেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। আর খুচরা ব্যবসায়ীরা তা বিক্রি করতে পারবেন ৫৬ টাকা কেজি। একইভাবে পাইকারি বাজারে মাঝারি মানের মিনিকেট বিক্রি হবে ৪৭ টাকা কেজিতে এবং খুচরা বাজারে তা ভোক্তার কাছে বিক্রি করা যাবে প্রতি কেজি ৪৯ টাকা ৫০ পয়সায়। কিন্তু কোথাও সেটা মানা হচ্ছে না।
জানতে চাইলে রাজধানীর বাদামতলী-বাবুবাজার চাল আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজামউদ্দিন বলেন, ‘মিলগেটে নির্ধারিত দামের অতিরিক্ত ২ টাকা খরচ হয়ে থাকে। এর সঙ্গে প্রতি কেজিতে ১ টাকা হোক আর ৫০ পয়সা হোক মুনাফা তো করতে হবে। এটুকু লাভ না করলে খাবো কী? কাজেই পাইকারি পর্যায়ে চাল প্রতি কেজি ৫৪ টাকার কম দামে বিক্রি করলে ক্ষতিগ্রস্ত হবো।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া আলুর দাম বেড়ে গতকাল বিক্রি হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। ১১০ থেকে ১১৫ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ডিমের দাম বেড়ে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর ৪০ থেকে ৫০ টাকা পোয়া (২৫০) বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। কোথাও কেজিতে কাঁচা মরিচের দাম ১২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
সেঞ্চুরি করেছে শিম, পাকা টমেটো, গাজর, বেগুন, করলা, বরবটির দাম। মিষ্টি কুমড়ার কেজি হাফ সেঞ্চুরি করেছে। এগুলোর মধ্যে পাকা টমেটো গত কয়েক মাসের মতো এখনো ১২০ থেকে ১৪০ টাকা এবং গাজর ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের মতো শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। আর করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে। বরবটির কেজি গত সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা। বেগুনও গত সপ্তাহের মতো ৮০ থেকে ১১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এর বাইরে পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। এক হালি কাঁচকলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ঝিঙা, কাঁকরোল, ধুন্দুলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। বাজারে নতুন আসা ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে মুলা ও পেঁপে। এর মধ্যে মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা।
পেঁয়াজের দামেও স্বস্তি মিলছে না। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। আমদানি করা বড় আকারের ভারতীয় পেঁয়াজের কেজির জন্যও গুনতে হচ্ছে ৮০ টাকা। গত মাসে ভারত রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই এমন চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ।
সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী মো. রাসেল হোসেন বলেন, বাজারে আগের তুলনায় শিম, গাজরের সরবরাহ বেড়েছে। কিন্তু অন্যান্য সবজির সরবরাহ তুলনামূলক কম। এ কারণে শীতের আগাম সবজি আসার পরও দাম কমছে না। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে শীতের সবজি ভরপুর না আশা পর্যন্ত দাম কমার সম্ভাবনা নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চড়া দাম নিয়ে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে ক্রেতারা বলছেন, অনেক দিন ধরেই সবজির দাম চড়া। এর মধ্যেই তেল, চিনি, আলু, পেঁয়াজ, ডিমের দাম বেড়ে গেল। আগে কখনো পুরাতন আলুর কেজি ৪০ টাকা কিনে খাইনি। এখন পুরাতন আলুর কেজি ৪৫ টাকা কিনে খেতে হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।