পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানি করা নতুন ১০টি লোকোমোটিভের (ইঞ্জিন) ট্রায়াল শুরু হয়েছে। কোরিয়া থেকে আগত প্রতিনিধিদল লোকোমোটিভগুলো কমিশনিং করছেন। রেলওয়ে সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে একটি লোকোমোটিভের ট্রায়াল শেষ হয়েছে। বাকি ৯টির ট্রায়াল শেষ হলে লোকোমোটিভগুলো রেলের বহরে যুক্ত হবে। এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় মিটারগেজ এসব ইঞ্জিন কোরিয়ার হুন্দাই রোটেন কোম্পানির কাছ থেকে কেনা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ রেলওয়েতে এখন পর্যন্ত ১৭৮টি মিটারগেজ এবং ৯০টি ব্রডগেজ মোট ২৬৮টি ইঞ্জিন বা লোকোমোটিভ রয়েছে। এসব ইঞ্জিন দিয়েই বিভিন্ন রুটের ট্রেন পরিচালনা করা হচ্ছে। ট্রেনের তুলনায় ইঞ্জিনের সংখ্যা কম হওয়ায় যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলে সমস্যা অনেক দিনের। এ কারণে যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী ট্রেনে মেয়াদোত্তীর্ণ ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়। তাতে পথিমধ্যে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাতায়াতে ব্যাঘাতের ঘটনাও ঘটছে প্রতিনিয়ত। এজন্যই রেলওয়ে নতুন ইঞ্জিন আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়।
সূত্র জানায়, নতুন ইঞ্জিন আমদানি করতে বিভিন্ন প্রকল্প চলমান আছে রেলওয়েতে। তারই ধারাবাহিকতায় দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ১০টি মিটারগেজ ইঞ্জিন (লোকোমোটিভ) বাংলাদেশে এসেছে। বর্তমানে ইঞ্জিনগুলো পাহাড়তলী ডিজেল লোকোমোটিভ শপে রাখা হয়েছে। পাহাড়তলী ডিজেল লোকোমোটিভ কারখানার তত্ত¡াবধায়ক রাজীব কুমার চক্রবর্তী জানান, কোরিয়া থেকে গত ৩১ আগস্ট চট্টগ্রাম বন্দরে লোকোমোটিভগুলো আসার পর সেগুলো আমাদের পাহাড়তলী কারখানায় আসে ২ সেপ্টেম্বর। এখন পর্যন্ত একটি লোকোমোটিভের লাইট এবং লোড ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, কোরিয়া থেকে প্রতিনিধিদল এসেছে তারা এসব ইঞ্জিনের কমিশনিং করছেন। তাছাড়া ইঞ্জিনগুলোর সম্পূর্ণ পরীক্ষা করে ট্রায়াল শেষে চলাচলের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে। এক একটি ইঞ্জিন কমিশনিং করতে আনুমানিক এক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে বাকি আরও ৯টি লোকোমোটিভের ট্রায়ল শেষে আমরা একটি প্রতিবেদন জমা দিব। তার পরিপ্রেক্ষিতে এই নতুন দশটি মিটারগেজ ইঞ্জিন বিভিন্ন রুটে চলাচল শুরু হবে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, সদ্য আমদানি করা নতুন এই মিটারগেজ লোকোমোটিভগুলো তুলনামূলকভাবে অন্যগুলোর চেয়ে কিছুটা উঁচু। লোকোমোটিভের হর্স পাওয়ার দুই হাজার । এসব ইঞ্জিন যাত্রীবাহী ট্রেন ছাড়াও পণ্যবাহী ট্রেনেও যুক্ত হবে।
ইঞ্জিন সঙ্কটে এর আগে ভারত বাংলাদেশকে উপহার হিসাবে দিয়েছে ১০টি লোকোমোটিভ। চলতি বছরের জুলাই মাসে ভারতের উপহার দেওয়া ১০টি ব্রডগেজ রেল ইঞ্জিন (লোকমোটিভ) আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে ভারতের দেয়া লোকোমোটিভগুলো পার্বতীপুরের ক্যালোকাতে রেখে মেরামতের কাজ করা হচ্ছে ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।