পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবশেষে পিরোজপুরে ‘৮ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু’র প্রকল্প এলাকা, চীনা নাগরিকদের কর্মস্থল ও আবাসিক এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ। অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নজরদারি জোরদার করেছে। গত বুধবার রাতে প্রকল্পের অফিস থেকে সাইটে যাবার সময় চীনা টেকনিশিয়ান প্যান ইউং জুনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে ছিনতাইকারীরা।
এ ঘটনায় ওই রাতেই পিরোজপুর সদর থানা পুলিশ সিরাজ শেখ ও রানা নামের দুই যুবককে আটক করেছে পুুলিশ। ইতোমধ্যে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। সহসাই হত্যাকাÐের মূল রহস্য উদঘাটন সম্ভব হবে বলে জানান পিরোজপুরের এসপি হায়াতুল ইসলাম।
এ হত্যাকাÐের পরে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথেষ্ট তৎপর। চীনা নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্ব নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও ইতোমধ্যে পুলিশের রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স দিয়ে একটি পুলিশ চৌকি প্রকল্প এলাকায় বসানো হয়েছে। যেখানে ৩৮ বিদেশি নাগরিক কর্মরত, সেখানের নিরাপত্তার বিষয়ে যতটা নজরদারি প্রয়োজন ছিল তাতে কিছুটা ঘাটতি ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
তবে প্রকল্প এলাকায় একটি সশস্ত্র আনসার ক্যাম্প ছিল। কিন্তু নিহত প্যান ইউং জুন নিয়মিতভাবেই সন্ধ্যার পরে একাই সাইট অফিস থেকে শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধের জন্য বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা বহন করতেন বলে জানা গেছে। এ কারণেই স্থানীয় ছিনতাইকারী চক্রটি দীর্ঘদিন বিষয়টি অনুসরণ তার ওপর হামলা চালায় বলে মনে করা হচ্ছে।
পিরোজপুরের এসপি পুলিশের নজরদারি ঘাটতির বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, নিয়মিতভাবে ওই এলাকায় পুলিশি টহল অব্যাহত ছিল। প্রকল্পে দায়িত্বরত প্রকৌশলীদের সাথেও পুলিশ নিয়মিত যোগাযোগ রাখত। বিষয়টিকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে দাবি তার। দ্রæততম সময়ের মধ্যে হত্যাকাÐের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত ও মূল মোটিভ উদঘাটনের কথাও জানিয়েছেন। পাশাপাশি ভবিষ্যতে বিদেশি নাগরিকদের নিñিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথাও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।