Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরিকল্পনা সমন্বিত পদ্ধতিতে

এইচএসসির মূল্যায়ন ফল ডিসেম্বরের মধ্যে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৪ এএম

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে চলতি বছরের এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল করেছে সরকার। পরীক্ষার বদলে এবারের পরীক্ষার্থীদের জেএসসি-জেডিসি ও এসএসসি-দাখিল পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ণ করা হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই চলতি বছরের এইচএসসি-আলিম পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। 

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে এইচএসসি-আলিম পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতা ও অনিশ্চয়তা দূর হলেও এখন নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে। চলতি বছর যেসব শিক্ষার্থী এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন তারা উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির চেষ্টা করবেন। সেক্ষেত্রে আবারও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে কিভাবে তাদের ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে? পরীক্ষা নাকি অন্য কোন পদ্ধতিতে?

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এইচএসসির চূড়ান্ত মূল্যায়ন ফল ঘোষণা করা হবে, যাতে জানুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। তবে মহামারীর মধ্যে সেই পরীক্ষাও নেওয়া সম্ভব হবে কি না, সেই সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি সমন্বিত পদ্ধতিতেই আমরা সব ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিতে পারব। সেই পরীক্ষাগুলো কীভাবে হবে, গুচ্ছ পদ্ধতি কেমন হবে, তখনকার কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কারণ এখনও তিন মাস বাকি আছে। তিন মাস পরে সেই মূল্যায়নের জন্য কী পরিস্থিতি হয় তার উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পরীক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের পরীক্ষায় গিয়ে মেধা পুরোপুরি যাচাই হবে সে কথা যদি এখন আমি বলি, আমি কি এখন নিশ্চয়তা দিতে পারি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাও সশরীরে দেওয়ার মত পরিস্থিতি হবে? আমরা আশা করছি পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগুলো নেওয়া সম্ভব হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাগুলো কী পদ্ধতিতে নেওয়া হবে সেটি কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে। এ মুহূর্তে সেসব বিষয়ে নিশ্চিত কিছু বলতে যাওয়া ‘সমীচীন হবে না’ বলেও মত দেন শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, কোন পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকের সঙ্গে বিশেষজ্ঞ কমিটির আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। বর্তমানে দেশে ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০ হাজার আসনে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান উচ্চ মাধ্যমিক পার হওয়া শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আলাদা আলাদা পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয় বলে এইচএসসি পাস করা শিক্ষার্থীদের দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরে ঘুরে পরীক্ষা দিতে হয়। একই বিষয়ে ভর্তি হওয়ার পরীক্ষা দিতে শিক্ষার্থীদের ভিন্ন ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি নিতে হয়। আবার এক দিনে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার তারিখ পড়লে শিক্ষার্থীকে যে কোনো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেছে নিতে হয়। শিক্ষার্থীদের এ দুর্ভোগ ও অভিভাবকদের ব্যয় লাঘবের জন্য গত কয়েক বছর ধরেই সমন্বিত একটি পরীক্ষার মাধ্যমে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির চেষ্টা করছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আপত্তিতে তা সম্ভব না হওয়ায় গতবছর ইউজিসি কৃষি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও সাধারণ- এই চারটি গুচ্ছের আওতায় সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটসহ পাঁচ প্রতিষ্ঠানের বিরোধিতার কারণে সে উদ্যোগেও গতবার পুরোপুরি সফল হতে পারেনি ইউজিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিশ্ববিদ্যালয়-ভর্তি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ