পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে ‘জনগণ এখন ডাইরেক্ট অ্যাকশন দেখতে চায়’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, গণতন্ত্র যেখানে অনুপস্থিত যৌনতন্ত্র সেখানে প্রসার লাভ করছে। বিবেচিত হচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। বাংলাদেশে সবখানে ঘটনা হইছে। এমন কোনো স্থান নাই, যেখানে নারীর সম্ভমহানী হয় নাই। তাই বলতে চাই- আজকে জনগণ আর মানববন্ধন দেখতে চায় না। দেখতে চায় প্রাণবন্ধন, আজকে জনগণ মুখে শ্লোগান শুনতে চায় নাম, অ্যাকশন দেখতে চায়। আজকে আমাদেরকে এই অগণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক শক্তিকে ডাইরেক্ট অ্যাকশনের মধ্য দিয়েই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। গতকাল সোমবার নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক নারী ওপর নির্যাতনের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জনগণ দেখতে চায় আমরা কী করছি? আমাদের কথা বলার চেয়ে দায়িত্ব হলো কিছু করা। মানুষ এখন মুক্তি চায়, মানুষ এখন শেখ হাসিনার পদত্যাগ চায়। এরশাদের বিরুদ্ধে যেমন আন্দোলনে-মিেিছ্ল একটি বাক্য ছিলো এক দফা এক দাবি এরশাদ তুই করে যাবি, জনগণের দাবি এক, এরশাদের পদত্যাগ। সেই প্রতিবাদের শ্লোগান আজকে হতে হবে-জনগণের যে দাবি হাসিনা তুই কবে যাবি? জনগণের দাবি এক শেখ হাসিনা পদত্যাগ। তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে যদি পদত্যাগ করাতে পারেন তাহলে প্রতিদিন এমন এমন ঘটনা ঘটবে না, আর প্রতি ঘটনাই আমাদের ক্ষুব্ধ হতে হবে না। আর আমাদেরকে রোদ্রের মধ্যে কষ্ট স্বীকার করে রাস্তায় প্রতিবাদ করতে আসতে হবে না।
দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীনদের ইতিহাস বিকৃতির সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, জিয়াউর রহমানকে অপমান করা মানে মুক্তিযুদ্ধকে অপমান করা, মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা। একদিন তাদের বিচার বাংলাদেশের মাটিতে হবেই। সেই দিনটি আমাদের আনতে হবে। সেই দিনটি আনতে পারলে আজকের বিচারপতিরাই ন্যায় বিচার করতে পারবেন। আজকে যারা বিচার বিভাগে আছেন সেদিন তারা সঠিক বিচার করতে পারবেন। আজকে জজ সাহেবরা সেইদিন ন্যায় বিচার করতে পারবেন। তাদের মাথার ওপর যে খড়গ আছে- নাম তার হাসিনা। এটা সরাইয়ে দেন। তাদের (বিচারক) চাকরির ভয় আছে, তাদের জীবনের ভয় আছে। দেখেছেন না এসকে সিনহা (সাবেক প্রধান বিচারপতি) কে কিভাবে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশে চলছে ত্রাসের রাজত্ব।আজকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ফরাসী বিপ্লবের সময়ের মতো। ওই বিপ্লবের সময়ে যেমন শব্দবন্ধ চালু হয়েছিলো- ‘রেইন অব টেরর’ ত্রাসের রাজত্ব। আজকে এখানেও সেই ত্রাসের রাজত্ব বিরাজ করছে। ফরাসী বিপ্লবের সময় ফ্রান্সের নাগরিকরা কমিটি করেছিলেন- কমিটি ফর পাবলিক সেফটি। এখন বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ যারা যে যেখানে আছেন তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পাহারা দিতে হবে পাড়া-মহল্লা। তা নাহলে সরকার দলের যুব ও ছাত্র সংগঠনের এদের করাল গ্রাস থেকে আমার-আপনার প্রত্যেকের মা-বোন-কন্যা কেউ রক্ষা পাবে না। এদেরকে রক্ষা ও নিরাপত্তা দেয়ার জন্য এখন এই ধরনের ফরাসী বিপ্লবের মতো কমিটি করে যুবলীগ-ছাত্রলীগকে প্রতিহত করতে হবে। না হলে এই প্রশাসন দিয়ে কিছু করা যাবে না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার আইন তো নাৎসীবাদী আইন। অত্যন্ত ভয়ংকর ও খারাপ আইন। অর্থাৎ তিনি নিজের ছায়া দেখলেও ভয় পান। আজকে দেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে খাটো করতে বস্তাপচা নাটক তৈরি করছে কিছু লোভী সংস্কৃতিজীবী। মানে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে কেউ খারাপ কথা বললে সেটা হচ্ছে শেখ হাসিনার কাছে কবিরা গুনাহ মাফ!
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনামূলক নাটক নির্মাণের প্রতিবাদে এই মানববন্ধন হয়। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েলের পরিচালনায় মানববন্ধনে
বিএনপি নেতা হাবিব উন নবী খান সোহেল, ফজলুল হক মিলন, মীর সরফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের গোলাম সারোয়ার, আনু মোহাম্মদ শামীম আজাদ, ইয়াসীন আলী, সাদরেজ জামান, আখতারুজ্জামান বাচ্চু, নজরুল ইসলাম ও উত্তরের গাজী রেজওয়ানুল হোসেন রিয়াজ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।