পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শূন্য পদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে জাতীয় কোটা বাতিলে সম্মতি দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। গতকাল এ তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম। তিনি জানান, সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে উন্নীত করায় সরকারি চাকরির কোটা পদ্ধতি বাতিলের শর্তে অভ্যন্তরীণ কোটা রাখতে জনপ্রশাসন থেকে সম্মতি এসেছে।
শিক্ষকদের গ্রেড উন্নীত হওয়ায় কোটা জটিলতা এড়াতে নিয়োগ বন্ধ রেখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সম্প্রতি মতামত চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এখন কোটা জটিলতা কেটে যাওয়ায় শিগগিরই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আসবে বলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রাক-প্রাথমিক স্তর এক বছর থেকে বাড়িয়ে দুই বছর করায় অধিক সংখ্যক শিক্ষকের প্রয়োজন তৈরি হয়। এজন্য প্রাক-প্রাথমিক স্তরে ২৫ হাজার এবং প্রাথমিক স্তরে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের অনুমতি রয়েছে।
গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ নারী কোটা, ২০ শতাংশ পুরুষ এবং ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা থাকছে। এসব কোটার মধ্যে বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগের জন্য থাকবে ২০ শতাংশ কোটা।
বিসিএস ছাড়া সরকারি চাকরিতে নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশসহ মোট ৫৬ শতাংশ পদ কোটার জন্য সংরক্ষিত ছিল।
কোটা সংস্কার দাবিতে ২০১৮ সালে জানুয়ারিতে ছাত্র আন্দোলনের পর সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা করতে তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বে ২ জুন একটি কমিটি করে দেয় সরকার।
সরকারি চাকরির ৯ম থেকে ১৩ গ্রেড পর্যন্ত (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে) কোটা বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য ২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ জমা দেয়া হয়। চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর সরকারি চাকরিতে অষ্টম থেকে তার উপরে অর্থাৎ প্রথম গ্রেড পর্যন্ত (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি) নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা বাতিল করে মন্ত্রিসভা। প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের পদটি উন্নীত করে ১৩তম গ্রেড হওয়ায় জাতীয় কোটা বাতিল করে শুধু অভ্যন্তরীণ কোটা রাখার অনুমোদন দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।