পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পহেলা বৈশাখে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকায় হতে যাচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। তবে এ মেলায় রাজধানী থেকে যাতায়াত ব্যবস্থায় বিড়ম্বনা শেষ হবে না বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। কারণ হিসেবে দেখা যায়, রাজধানীর কুড়িল ফ্লাইওভার এলাকা থেকে ৩শ’ ফুট সড়কের উন্নয়ন কাজ চলমান। এতে উভয়পাশে দীর্ঘদিন ধরে যানজটের কবলে পড়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন এ সড়কে যাতায়াতকারী পথচারী ও যানবাহন।
আবার পূর্বাচলের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া এশিয়ান হাইওয়ে বা ঢাকা বাইপাস রোডের ৪ লেনে উন্নীত হওয়ার কথা থাকলেও অগ্রগতি নেই কাজে। ফলে পুরানো ২ লেনের সড়কটিতে মালবাহী ট্রাক চলাচল করায় নিত্য যানজট এখানকার ভোগান্তির কারণ। এমন পরিস্থিতিতে পূর্বাচল ৪ নম্বর সেক্টরের চায়না বাংলা ফ্রেন্ডশিপ এক্সিভিশন অভ্যন্তরীণ প্যাভিলিয়ন প্রস্তুত হলেও প্রস্তুত নয় চারপাশের পরিবেশ। ইতোমধ্যে সড়কগুলো হয়ে পড়েছে খানা-খন্দে ভরপুর। সাধারণের অনেকটা অচলাবস্থা।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, ইংরেজি বছরকে ছাড়িয়ে বাংলা নববর্ষে আগামী পহেলা বৈশাখে বাণিজ্য মেলা শুরুর বিষয়টা খুব ভালো লেগেছে। প্রধানমন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। রূপগঞ্জবাসী মেলায় যাতায়াত পথ ও আগত দর্শনার্থী, ব্যবসায়ীসহ সকলকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা অব্যাহত রাখবো। তবে এখনো স্থানীয় রাস্তাঘাটের উন্নয়ন বাকি। খানা-খন্দ মেরামত জরুরি।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, রাজধানীর কুড়িল থেকে ৩শ’ ফুট সড়কটিতে সেনাবাহিনী পরিচালিত উন্নয়ন কাজ চলছে। উন্নয়ন কাজের মাটি সড়কে পড়ার পর বৃষ্টি হওয়ায় পুরো রাস্তা জুড়েই কর্দমাক্ত পরিবেশ। আবার দেশের অন্য জেলা থেকে যাতায়াতের জন্য এশিয়ান বাইপাস মহাসড়কটিও ২ লেনের থাকায় সবসময় যানজট লেগে থাকে। রূপগঞ্জের ভুলতা গাউছিয়া এলাকা দিয়ে সিলেট, নরসিংদী, চট্টগ্রামের মালবাহী গাড়ী প্রবেশ করে গাজীপুর দিয়ে দেশের উত্তরাঞ্চলে যায়। এ সড়কে সাধারণত যাত্রীবাহী গাড়ির সংখ্যা কম। তবে এ সড়কটিও পুরো নিরাপদ নয়। স্থানে স্থানে ভাঙাচোড়া ও বেহাল দশা। একইভাবে ডেমরা কালীগঞ্জ সড়কের রূপগঞ্জ অংশের বেশিরভাগই ভেঙে পড়েছে। ফলে স্থানীয় যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) উজ্জল মল্লিক বলেন, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ৩শ’ ফুট সড়কের উন্নয়ন কাজ চলছে তবে বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে জনসাধারণের যাতায়াতে কোন অসুবিধা হবে না। তবে বাণিজ্য মেলা শুরুর আগেই এসব সমাধান করা হবে। পরিবেশ নিরাপদ করার ব্যাপারে সব রকম পদক্ষেপ নিয়েছে রাজউক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এ প্রসঙ্গে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ নুসরাত জাহান বলেন, আগামী বৈশাখে রূপগঞ্জে বাণিজ্য মেলার স্থায়ী প্যাভিলিয়নে বসতে যাচ্ছে আসর। এতে আমরা আনন্দিত। তবে স্থানীয় রাস্তা-ঘাট বিষয়ে সুনজর দিয়েছি। এসব দ্রুত সমাধান করা হবে।
এদিকে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্র জানায়, এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পরিবর্তে পূর্বাচলে নিজস্ব স্থাপনায় অনুষ্ঠিত হবে। এখন থেকে অন্যান্য বছরের মতো ইংরেজি বছরের প্রথম দিনের বদলে মেলার উদ্বোধন হবে পহেলা বৈশাখে। অর্থাৎ ২০২১ সালের মেলা শুরু হবে ১৪ এপ্রিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাসব্যাপী এই মেলার উদ্বোধন করবেন। ২৬তম বাণিজ্য মেলা পূর্বাচল নতুন শহরে বাস্তবায়নাধীন বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিউশন সেন্টারে (বিসিএফইসি) অনুষ্ঠিত হবে।
ইপিবি সূত্র জানায়, দেশে করোনা পরিস্থিতির কারণে নির্ধারিত সময়ে এ মেলা করা যাচ্ছে না। কারণ গত ২৫ মার্চের পর থেকে দেশে লকডাউনে সব কাজকর্ম বন্ধ ছিল। নতুন ভেন্যু হওয়ার কারণে প্রস্তুতি কাজ কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। এছাড়াও আসন্ন শীতে করোনা দ্বিতীয় দফায় আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে। সব কিছু বিবেচনা করেই ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা পেছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর পরিচালনা পর্ষদ।
জানা গেছে, ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল নিউ টাউনের ৪ নম্বর সেক্টরের ৩১২ নম্বর রোডের ০০২ নম্বর প্লটে নির্মাণ করা হয়েছে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার। মোট ৩৫ একর জমির ওপর নির্মাণাধীন এই সেন্টারে আধুনিক কার পার্কিং, সম্মেলন কক্ষ, সভাকক্ষ, প্রেস সেন্টার, অভ্যর্থনা কক্ষ, বাণিজ্য তথ্যকেন্দ্র, আধুনিক সুবিধা সংবলিত ডরমিটরি থাকবে। এছাড়া এক্সিবিশন সেন্টারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সার্বক্ষণিক সিসি টিভি, আধুনিক ব্যবস্থাসহ বিদ্যুতের নিজস্ব সাব সেন্টার, সার্ভিস রুম, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, কালভার্ট ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে। এদিকে ইপিবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থায়ী বাণিজ্য মেলা কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ প্রায় ৯৮ শতাংশ শেষ। তাই শতভাগ শেষ করতে সময় কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।