Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিএসবি’র ভ্যাট ফাঁকি নিবন্ধন নেই ব্রিজের

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৫ এএম

বিদেশে উচ্চ শিক্ষা সংক্রান্ত পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান গুলশানের ‘বিএসবি গ্লােবাল নেটওয়ার্ক’-এর বিরুদ্ধে প্রায় দুই কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকি দেয়ার তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দারা। একই ধরনের প্রতিষ্ঠান উত্তরার ‘ব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল’-এর বিরুদ্ধেও ভ্যাট ফাঁকি দেয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়াই শিক্ষা সংক্রান্ত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠান দুটিতে অভিযান চালিয়ে অনিয়মের এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের (মূল্য সংযোজন কর-ভ্যাট) মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।
তিনি জানান, রাজধানীর উত্তরা ও গুলশানের দুটো এডুকেশন কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠানে ভ্যাট গোয়েন্দা অভিযান চালিয়েছে। অভিযানে গোয়েন্দারা বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকির তথ্য উদঘাটন করেছে। প্রতিষ্ঠান দুটির বিরুদ্ধে ভ্যাট আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এর মধ্যে উত্তরার ব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল কোনোরকম ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়াই শিক্ষা সংক্রান্ত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। তাদের সেবার মধ্যে রয়েছে- আইএলটিএস, টোয়েফল ও অন্যান্য কোচিং এবং বিদেশি ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি সংক্রান্ত সহায়তা।

উত্তর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ ও চীনের কতিপয় ইউনিভার্সিটির সঙ্গে তাদের সমঝোতা অনুযায়ী স্থানীয় ছাত্রদের ভর্তির কার্যক্রম পরিচালনা করে। এর বিনিময়ে তারা ফি ও কমিশন বাবদ টাকা গ্রহণ করে। কিন্তু এই সার্ভিস ভ্যাটযোগ্য হলেও তারা কোনো ভ্যাট নিবন্ধনই নেয়নি এবং ভ্যাট প্রদান করেনি বলেও উল্লেখ করেন ড. মইনুল খান।

অন্যদিকে গুলশান-২ এর বিএসবি গ্লােবাল নেটওয়ার্ক একই ধরনের শিক্ষা সহায়তা প্রদান করে। ক্যামব্রিয়ান স্কুল ও কলেজের ৭টি শাখার মাধ্যমে তারা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

ড. মইনুল খান জানান, বিএসবি ভ্যাটের নিবন্ধন নিলেও তারা প্রকৃত বিক্রির হিসাব গোপন করেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্যাট গোয়েন্দা দল প্রতিষ্ঠান দুটোতে ৩০ সেপ্টেম্বর অভিযান চালায়। ভ্যাট গোয়েন্দার উপপরিচালক তানভীর আহমেদের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে দেখা যায় ব্রিজ গত দুবছরে প্রায় ৪ লাখ টাকা ফাঁকি দিয়েছে। ভ্যাট আইনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করেনি। এই দুবছর তারা ২৮ লাখ টাকার সেবা বিক্রি করেছে। অপরদিকে, বিএসবি নিবন্ধন গ্রহণ করলেও গত তিন বছরে প্রকৃত ৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকার সেবা বিক্রয়ের তথ্য গোপন করেছে। এতে তারা প্রায় এক কোটি ৭০ লাখ টাকা ফাঁকি দিয়েছে।

ড. মইনুল খান বলেন, বিএসবি ছাত্রদের নিকট থেকে টিউশন ফি সংগ্রহ করে বিদেশে টাকা পাঠাতেন। এই টাকা লেনদেনে অন্য কোনো অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কি না- তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএসবি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ