পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, অর্থনীতির চাকাকে সচল করে যখন রাষ্ট্র এগিয়ে চলছে তখনই জঙ্গি হামলা হচ্ছে। নানাভাবে আঘাত আসছে। আমরা দেশ ও মানুষের প্রতি দায় থেকে জঙ্গি নির্মূলের জন্য নেমেছি। আমরা আগুনে হাত দিয়েছি। আগুন নেভাতে হবে, না হয় হাত পুড়ে যাবে।
গতকাল শুক্রবার বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু হল আয়োজিত বঙ্গবন্ধু হল মিলনায়তনে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বলেন, বাংলাদেশ যখন উন্নয়নমুখী হয়, তখনই দেশ ও তার নেতৃত্বের ওপর আঘাত আসে, হত্যাযজ্ঞ চলে। ১৯৭৫ সালের শোকাবহ ১৫ আগস্ট এবং এর পরবর্তী সময়ে প্রগতিশীল শান্তিকামী মানুষের উপর আঘাত এটাই প্রমাণ করে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে খন্দকার মোস্তাকের উত্তরসূরি আখ্যায়িত করে নাসিম বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের পুনর্বাসিত করে বর্তমানে জঙ্গিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে মোস্তাক, জিয়া ও এরশাদের উত্তরসূরির পরিচয় দিচ্ছেন।
ছাত্রলীগের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সিনিয়র এ নেতা বলেন, পরাধীন দেশে ছাত্রলীগেই ছিল শেখ মুজিবুর রহমানের আস্থাভাজন ও বিশ্বস্ত সহচর। তারা সংখ্যায় কম থেকেও কিন্তু স্বাধিকারের প্রশ্নে তারা কোনো প্রকার আপস করেনি বলেই বৃহৎ বলয় তৈরি করতে পেরেছিল। আমি আশা করব আজকের পরীক্ষিত ছাত্রলীগ সেভাবেই এগিয়ে চলবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের জরাজীর্ণ অবস্থা দেখে মন্ত্রী বলেন, আমি খুব হতাশ হয়েছি জাতির জনকের স্মৃতিবিজড়িত এই হলটির অবস্থা দেখে। কেন এই হলটিকে নান্দনিক করে তোলা হলো না? শিগগিরই এই হলটির প্রতি নজর দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এএম আমজাদ, বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ মফিজুর রহমান, আওয়ামী লীগের সহসম্পাদক রাশেক রহমান, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি আবিদ আল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স প্রমুখ। বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সভাপতি দারুস সালাম শাকিল এতে সভাপতিত্ব করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।