পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর অনুসারী, জাতীয় নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়ার ঘনিষ্ঠ সহকর্মী-সহযোদ্ধা, বরেণ্য রাজনীতিক, সাংবাদিক ও সাবেক মন্ত্রী জননেতা আনোয়ার জাহিদের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (১৩ আগস্ট)।
দেশ বরেণ্য এই নেতা ছাত্রজীবনে নিখিল পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ছাত্রলীগের ঝিনাইদহ মহকুমার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ৫২-এর ভাষা আন্দোলনে ঝিনাইদহে ছাত্র আন্দোলন গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ৫৪ সালে পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নে যোগদান করেন। ৫৬ সালে রাজশাহী সরকারী কলেজের ভিপি নির্বাচিত হন। ৫৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান যুবলীগের সেক্রেটারী পৃঃ ২ কঃ ৭
রাজনীতিক-সাংবাদিক আনোয়ার জাহিদের
নির্বাচিত হন। ৬১ সালে রাজবন্দি হিসেবে গ্রেফতার হন। ৬২ সালে ছাত্র রাজনীতি থেকে বিদায় নেন এবং সাংবাদিকতা জীবনে প্রবেশ করেন। প্রখ্যাত আইনজীবী কামরুন নাহার লাইলীর সাথে রাজবন্দি অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে এই মহান নেতার বিবাহ কার্য সম্পাদন করা হয়। কারণ বিবাহের দিন-তারিখ ঠিক হলেও তাকে জামিন দেয়া হয়নি। ৬৫ সালে তিনি জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। একই সালে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্ব¡াধীন ন্যাপের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ৬৮ সালে ন্যাপের যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। ৬৯-এর গণআন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ৭৮ সালে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট গঠন ও জাতীয়তাবাদী রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদান রাখেন। ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সরকারের তথ্যমন্ত্রী, শ্রম ও কর্মসংস্থান, ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপির চেয়ারম্যান ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের তথ্য উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। ৭ দলীয় এবং ৪ দলীয় জোট গঠনে গুরুত্বপূর্ণ রূপকারের ভূমিকা পালন করেন।
সাংবাদিক হিসেবেও আনোয়ার জাহিদ অত্যন্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ১৯ বছর বয়সে দৈনিক ইত্তেহাদের সহকারী সম্পাদক, ৫৮ সালে অর্ধ সাপ্তাহিক ধূমকেতুর সহকারী সম্পাদক, ৫৯ সালে দৈনিক সংবাদের সহকারী সম্পাদক, ৬০ সালে দৈনিক ইত্তেফাকের সহকারী সম্পাদক, ৬৩ সালে ইংরেজি সাপ্তাহিক হলিডের উপ-সম্পাদক, ৭০ সালে সাপ্তাহিক গণবাংলার নির্বাহী সম্পাদক, ৭২ সালে ইংরেজি ডেইলী পিপলস-এর বার্তা সম্পাদক এবং বাংলাদেশ টাইমস-এর গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি দৈনিক ইনকিলাব টেলিভিশন (আইটিভি)-প্রধান নির্বাহী ও দৈনিক ইনকিলাবের উপদেষ্টা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাংবাদিক জীবনে আনোয়ার জাহিদ শুধু সাংবাদিকতাই করেননি সাংবাদিকদের নেতৃত্বও দিয়েছেন। ৬২, ৬৩, ৬৪ সালে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)-এর সাধারণ সম্পাদক, ৬৫, ৬৬ সালে সহ-সভাপতি ও ৭৮, ৮৩ সালে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
জননেতা আনোয়ার জাহিদের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁর কবরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন। মরহুমের কর্মময় জীবন নিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপের উদ্যোগে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে।
ফজলুর রহমান পটলের মৃত্যুতে ন্যাপের শোক
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, সাবেক মন্ত্রী ও এককালের তুখোর ছাত্রনেতা ফজলুর রহমান পটলের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। গতকাল (শুক্রবার) এক শোক বার্তায় নেতৃদ্বয় মরহুম ফজলুর রহমান পটলের রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে বলেছেন, দেশের রাজনীতি যখন দুর্বৃত্তায়নে ক্ষতবিক্ষত, গণতন্ত্র যখন নিয়ন্ত্রিত তখন তার মত একজন রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যু সমগ্র রাজনীতিতেই শূন্যতা সৃষ্টি করেছে। ফজলুর রহমান পটলের মৃত্যুতে রাজনীতির ময়দানে যে শূন্যতা সৃষ্টি হলো তা পূরণে অনেক সময় লাগতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।