পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বিকৃত করার অভিযোগে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য এমএ লতিফের বিরুদ্ধে এক হাজার কোটি টাকার মানহানি মামলা হয়েছে।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুদ্দিন আহমেদ রবি চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম ফরিদ আলমের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে উপ পুলিশ কমিশনার মর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বিকৃত করায় সাইফুদ্দিন আহমেদ রবি দ-বিধির ৫০০, ৫০১ ও ৫০২ ধারায় মামলাটি দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
৩০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম-১১ আসনের (বন্দর, হালিশহর ও পতেঙ্গা) এমপি এম এ লতিফ বন্দরনগরীর পতেঙ্গা শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার বিশাল ছবিসহ ফেস্টুন লাগিয়ে দেন। অভিযোগ উঠেছে, ফেস্টুনে ব্যবহার করা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির মুখম-ল বঙ্গবন্ধুর হলেও শরীর তার নয়। এম এ লতিফের নিজের শরীরে কম্পিউটার কারসাজির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর মুখম-ল যুক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে সরকারি দল আওয়ামী লীগে শুরু হয় তোলপাড়। এই প্রেক্ষাপটে তার বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলা হলো।
মামলার আরজিতে বাদী অভিযোগ করেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে অপমান করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে তার শরীরে অবাঙালি পাকিস্তানিদের পোশাক জুড়ে দিয়ে বিকৃত ছবি উপস্থাপন করেছেন এম এ লতিফ। বাদী এম এ লতিফের একান্ত সচিবকে ফোন করে এ ব্যাপারে ক্ষমা চেয়ে ছবি সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু আসামি এম এ লতিফ ক্ষমা চাওয়ার কোনো উদ্যোগ নেননি।
মামলা দায়েরের পর আদালত প্রাঙ্গণে সাইফুদ্দিন আহমেদ রবি সাংবাদিকদের বলেন, জামায়াত থেকে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী এম এ লতিফ বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃত করে বাঙালি জাতি এবং আওয়ামী লীগের আপামর নেতাকর্মীর মনে যে আঘাত দিয়েছেন তা পূরণ হওয়ার নয়। আমরা অবিলম্বে এম এ লতিফকে বহিষ্কার, তার আসন শূন্য ঘোষণা করা এবং তাকে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, জাতির জনকের মানহানির ক্ষতিপূরণ হিসেবে আমি এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছি। তবে সেটা বড় বিষয় নয়। জাতির জনকের সম্মান টাকার অঙ্কে বিবেচ্য নয়। সাইফুদ্দিন রবি ১৯৯১ সালে ঘোষিত কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন।
ছবি বিকৃতি লতিফ-বিরোধীদের কাজ!
এদিকে বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতি এমপি লতিফ-বিরোধীদের ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা। লতিফের পক্ষ নিয়ে গতকাল এক বিবৃতিতে তারা এ দাবি করেন। এক যুক্ত বিবৃতিতে তারা বলেন, জনপ্রিয় সংসদ সদস্য এমএ লতিফের রচিত বিভিন্ন শ্লোক উদ্ধৃত করে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনকের ছবি বিকৃত করে ফেস্টুন বানিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগে তোলপাড় সৃষ্টি করা এমএ লতিফকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার ষড়যন্ত্র। তারা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
তারা বলেন ঐতিহ্যবাহী চিটাগাং চেম্বার কর্তৃক নির্মিত দেশের প্রথম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের সফল বাস্তবায়ন ও ৫ দিনব্যাপী জাতীয় অর্থনীতির উন্নয়নসংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে দেশের অতীত গৌরব, সম্ভাবনা ও সামর্থ্যকে তুলে ধরে সব মহলের প্রশংসা অর্জন করাটাই যেন এমএ লতিফের জন্য এখন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলের প্রতি অনুগত একজন মানবিক ও সংবেদনশীল সহকর্মীকে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করার জন্য কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে ফেস্টুনে জাতির পিতার এডিটিং ছবি ব্যবহার করার মতো তারা যে গর্হিত কাজ করছে, তা সত্যিই খুবই দুঃখজনক এবং নিন্দনীয়। বিবৃতিদাতারা হলেন মো. শফর আলী, নোমান আল মাহমুদ, বখতেয়ার উদ্দিন খান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।