পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের বিভিন্ন থানায় ৩০টির অধিক প্রতারণা মামলার আসামি তানিয়া সিকদারকে এক সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ও একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পশ্চিম থানার এসআই আবুল হাসান অভিযান চালিয়ে গতকাল ভোরে তাকে গাজীপুরের আমতলী এলাকা হতে গ্রেফতার করেন। এ সময় তানিয়ার সহযোগী আকাশকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে মুক্তা নাহার নামে এক মহিলা বাদী হয়ে প্রতারক তানিয়ার বিরুদ্ধে টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত প্রতারক তানিয়ার হেফাজত থেকে লুণ্ঠিত ২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ও একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৩০টির অধিক প্রতারণার মামলা রয়েছে। এর আগে প্রতারণার অভিযোগে তানিয়া একাধিকবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল। জামিনে বেড়িয়ে এসে সে আবার প্রতারণা শুরু করে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তানিয়া জানায়, এ পর্যন্ত ৫০টিরও বেশি প্রতারণা করেছে সে। রূপ-যৌবনকে পুঁজি করে অভিনব কায়দায় ফাঁদে ফেলে বাসা বাড়িতে ঢুকে অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেয়াই তার কাজ। তানিয়ার ছদ্মনামের অভাব নেই। নিজেকে কখনও ডাক্তার, কখনও আইনজীবী, কখনও মডেল, কখনও নায়িকা পরিচয় দিতো। সুন্দরী হওয়ায় তাকে প্রথম দেখায় যে কারোই চোখ আটকে যায়। আর এই সুযোগটাই কাজে লাগায় তানিয়া। পোশাকে আধুনিকতা, পরনে ব্রান্ডের দামি ঘড়ি, অলঙ্কার, জুতা, চোখে চশমা, রঙ্গিন বেশে আর হালের ফ্যাশন সব মিলিয়ে এক মোহনীয় উপস্থাপনা। বেশ কয়েক বছর ধরেই এমন চেহারার আড়ালে চলছে রমরমা চুরি।
পুলিশ আরো জানায়, গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার রাজেন্দ্রপুরের গজারিয়া গ্রামের হাসান শিকদারের মেয়ে তানিয়া শিকদার (৩০)। থাকেন উত্তরায় বাসা ভাড়া নিয়ে। বছর কয়েক আগে তার স্বামীর মৃত্যু হয়। এরপর তানিয়া তার দেবর ওয়ালিদ রহমানকে বিয়ে করেন। তার চলাফেরা দেখলে কেউ ভাবতেও পারবে না সে এত ভয়ঙ্কর চোর। তানিয়ার বিরুদ্ধে রাজধানীর আদাবর, দারুস সালাম, তেজগাঁও, নিউ মার্কেট, দক্ষিণখান, মোহাম্মদপুর, বিমানবন্দর, উত্তরা, মিরপুর, কাফরুল, শাহজাহানপুরসহ বিভিন্ন থানায় ৩০টিরও বেশি প্রতারণার মামলা রয়েছে।
তানিয়া সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন সূত্রে বিত্তশালী লোকজনের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলে। বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তাদের স্বজনদের তথ্য সংগ্রহ করে। সুযোগ বুঝে তাদের কাছের লোক কিংবা স্বজন পরিচয় দিয়ে বাসায় যায়। ডলার ভাঙানোর বা জমা রাখার ফাঁদ ব্যবহার করে, কখনও পানি খাওয়ার বাহানা, কখনও অন্য কোনো বাহানায় অর্থকড়ি নিয়ে সটকে পড়েন। চুরি করে নিয়ে যাওয়া স্বর্ণালঙ্কার প্রতারণা চক্রের সদস্যদের মাধ্যমে বিভিন্ন জুয়েলার্সে বিক্রি করেন। গত ২৬ মে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর তিনি পাঁচমাস কারাগারে ছিলেন। মাসখানেক আগে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারও প্রতারণা শুরু করেন।
টঙ্গী পশ্চিম থানার এসআই আবুল হাসান জানান, গত মাসে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মুক্তা নাহার নামে এক নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল ভোরে গাজীপুরের আমতলী এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। আটকের সময় তানিয়ার কাছ থেকে ২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ও একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।