পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যানজট আবার রাজধানীবাসীর পিছু নিয়েছে। গতকাল রাজধানীর তেজগাঁও, কাওরান বাজার, ফার্মগেট, শাহবাগ, পল্টন ও গুলিস্তানসহ বিভিন্ন এলাকায় ছিল ভয়াবহ যানজট। সকাল ১০টারদিকে সউদী প্রবসাীরা টিকিটের প্রত্যাশায় কাওরান বাজারে হোটেল সোনার গাঁ’র সামনে জড় হলে ওই এলাকায় যানজটের সৃষ্টিহয়। এর পর এটা নগরীর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন পর নগরবাসী এমন যানজট প্রত্যক্ষ করলো। করোনাভাইরাসের কারণে গত মার্চ থেকে অঘোষিত লকডাউনে সারাদেশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ঢাকা নগরীও কিছুদিন যানজট মুক্ত ছিল। গত জুলাই থেকে নগরীতে যান চলাচল শুরু হলেও যাত্রীর অভাবে রাস্তায় গাড়ি ছিল অনেক কম। তবে ধীরে ধীরে রাস্তায় গাড়ি চলাচল বৃদ্ধি পেয়ে তা আবার আগের সেই পুরানো রূপে ফিরেছে। নগরবাসী আবার সেই ভয়াবহ যানজটের কবলে পড়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, নগরীর এই ভয়াবহ যানজটের পেছনে বড় কারণ হচ্ছে সড়কের লেনগুলোতে লাগামহীনভাবে ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোরিকশা আর লেগুনার চলাচল। ঢাকাকে যানজট মুক্ত করতে তিনি এসব অবৈধ যান রাস্তায় চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। আজ থেকে এসব অবৈধ যানের বিরুদ্ধে অভিযানের তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। এর সঙ্গে যত্রতত্র পার্কিংয়ের কারণে অনেক স্থানেই সংকুচিত হয়ে পড়ছে যানচলাচলের স্থান। এ কারণেও যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া মেগা প্রজেক্ট মেট্রোরেলের কাজও বিভিন্ন স্থানে যানজটের সৃষ্টি করছে।
হাইকোর্টের সামনে যানজটে আটকে থাকা এক যাত্রী বলেন, করোনাভাইরাস শুরুর পর রাজধানীতে কিছুদিন শান্তিতে চলাফেরা করা গেছে। এখন দিন যত যাচ্ছে, যানজট আবার সেই পুরানো রূপে ফিরছে। সব কিছু আবার যেন লাগামছাড়া হয়ে পড়ছে। পরিস্থিতি আবার এমন হয়েছে যে ৯টার অফিস ধরতে ঘন্ট দুই আগে বেরিয়েও সময়মতো পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।
গতকাল রাজধানীর বেশ কয়েকটি পয়েন্টে দেখা গেছে, কোথাও গাড়ি থমকে আছে আবার কোথাও ছুটছে। ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে বাড়তি জনবল মাঠে কাজ করেও অনেক স্থানে যানজট কমাতে পারছে না। যত্রতত্র পার্কিং, লাগামহীন লেগুনা আর রিকশার দৌরাত্ম্যে একাকার হয়ে গেছে দৈনিক বাংলা মোড়। কেউ কাউকে মানছে না, নেই লেন মানার বালাই, যে যার মতো গাড়ি ঢুকিয়ে দিচ্ছে। কর্তব্যরত পুলিশও যেন অসহায়।
এ ছাড়া মেট্রোরেলের কাজ চলমান থাকার কারণে বিভিন্ন স্থানে যানজট তৈরি হচ্ছে বলে জানান যাত্রী-চালকরা। এ ধরনের মেগাপ্রজেক্টের জন্য এটুকু ভোগান্তিকে মেনে নিচ্ছেন তারা। পাশাপাশি অভিযোগ করে বলছেন, যেসব স্থানে মেট্রোরেলের কাজ চলছে, সেসব স্থানে যদি ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ঠিকমতো করা যায়, তাহলে মেট্রোরেলের কাজও এতটা প্রভাব ফেলবে না। সে কারণে তারা রিকশা-লেগুনা নিয়ন্ত্রণসহ লেন মেনে যানচলাচলে গুরুত্ব দিয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা চালানোর আহবান জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি রাজধানীজুড়েই বিভিন্ন স্থানে রাস্তার একটি বড় অংশই প্রাইভেট কারের দখলে থাকতে দেখা যায়। বিশেষ করে কোনো শপিং মলকে ঘিরে সড়ক দখলের প্রবণতা বেশি। যদিও পুলিশ বলছে, সড়কে পার্কিংয়ের প্রবণতা আগের চেয়ে কমেছে। তবে ভুক্তভোগীরা বলছেন, যত্রতত্র পার্কিংয়ের ফলে ভোগান্তি খুব একটা কমেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।