পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মা থেকেও নেই। পিতা মারা গেছেন সম্প্রতি। এই সুযোগে অসহায় দুই শিশুকে দাদার বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন তাদের চাচা। বিত্তশালী পরিবারের শিশু দু’টি। কিন্তু লালসা আর ক্ষয়িষ্ণু পরিবার প্রথার নির্মমতার শিকার তারা। একটি বেসরকারি টেলিভিশনের প্রতিবেদনে ঘটনাটি প্রসঙ্গ পায়। সেটিকে আমলে নিয়ে হাইকোর্ট তৎক্ষণাত নির্দেশ দিলেন শিশু দুটিকে তার পৈতৃক বাড়িতে প্রবেশ নিশ্চিত করার। ঘটনাটি শনিবার ৩ অক্টোবর দিবাগত রাতের। বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান এবং বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ রাতেই আদালত বসিয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে এ নির্দেশ দেন। এ সময় সরকারপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়ায়েস আল হারুনী ভিডিও লিংকের মাধ্যমে সংযুক্ত হন।
পরে জানা গেল, শিশু দু’টি আর কেউ নয়-বাংলাদেশের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মরহুম কে.এস. নবীর নাতি। কিছুদিন আগেই মারা যান তাদের পিতা। মায়ের সঙ্গে ছিল পিতার ছাড়াছাড়ি। বাবার সঙ্গেই থাকত তারা। বাবা মারা যাওয়ার পর ওয়ারিশসূত্রে পাওয়া শিশু দু’টির সম্পত্তি আত্মসাতের উদ্দেশ্যেই তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয় বলে জানায় শিশু দু’টি। আদালতের আদেশে আগামী ১১ অক্টোবর তাদেরকে আদালতের সামনে (ভার্চুয়ালভাবে) হাজির করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি মামলার পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ধানমন্ডি থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, রাজধানী ধানমন্ডির একটি চারতলা বাড়ির মালিক সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মরহুম কে.এস নবী। উত্তরাধিকার সূত্রে ওই বাড়িতে গত কয়েকদিন ধরে প্রবেশ করতে পারছিল না কে.এস নবীর ছোট ছেলে সিরাতুন নবীর দুই পুত্র কাজী আদিয়ান নবী ও কাজী নাহিয়ান নবী। এর আগে গত ১০ আগস্ট সিরাতুন নবীর মৃত্যুর পর তার দুই ছেলেকে গত কয়েকদিন আগে বাসা থেকে বের করে দেন শিশুদের চাচা কাজী রেহান নবী। আগেই শিশু দুটির বাবা-মায়ের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে। এরপর বাবার মৃত্যুর পর শিশু দুটি কিছুদিনের জন্য তাদের মায়ের আশ্রয়ে থাকে। পরে মায়ের কাছ থেকে নিজ পিত্রালয়ে ফেরার চেষ্টা করে ওই দুই শিশু। কিন্তু তাদেরকে আর বাড়িতে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। কয়েকবার চেষ্টা করেও শিশু দুটি ওই বাসায় প্রবেশ করতে পারেনি। বিষয়টি ধানমন্ডি থানাকে জানানো হলেও পুলিশের কথা আমলে নেননি শিশুদের চাচা ও সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট কাজী রেহান নবী।
এ বিষয়ে গত ৩ অক্টোবর বেসরকারি টিভিতে প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। এ সময় একাত্তর জার্নালে শিশু দুটির সঙ্গে তাদের ফুফু, সাংবাদিক রেজওয়ানুল হক ও সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ ভার্চুয়ালি আলোচনায় যুক্ত ছিলেন। প্রতিবেদনটি প্রচার চলাকালেই বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের দৃষ্টি কাড়ে। প্রচারিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে মাঝরাতেই বসান আদালত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।