পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : চরমোনাই কামিল মাদরাসা প্রিন্সিপাল ও জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেছেন, মুসলমানরা কোন সময়ই সন্ত্রাসবাদের সাথে জড়িত ছিল না, এখনও নাই। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ মুসলমানরা করেনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধও করেনি। এ সকল করেছে যুদ্ধবাজ সাম্রাজ্যবাদী মার্কিন ইহুদি ও পশ্চিম শক্তিগুলো। কাজেই মুসলমানদের জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসবাদে জড়িত করা ইহুদি ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির কারসাজি। আইএস, ওসামা বিন লাদেনের আল-কায়দা, আমেরিকা-রাশিয়ার সৃষ্টি। কাজেই ইসলাম সন্ত্রাসবাদ, উগ্রতা সমর্থন করে না। যারা ইসলামের নামে মানুষ হত্যা করছে তারা মুসলমান নয়, তারা জাহান্নামী।
জাতীয় শিক্ষক ফোরাম ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে সন্ত্রাসবাদ ও ধর্মের নামে মানুষ হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত বিশাল মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান। দক্ষিণ আহ্বায়ক মুহাম্মদ আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব হুমায়ুন কবীরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, জাতীয় তাফসির পরিষদ চেয়ারম্যান মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, দাওয়াতুস সুন্নাহ পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ফজলুল হক মৃধা, মাস্টার আব্দুস সবুর প্রমুখ।
অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতিতে পরিপূর্ণ ইসলামী শিক্ষার অনুপুস্থিতি গুলশান ট্রাজেডির অন্যতম কারণ। কেননা পরিপূর্ণ ধর্মীয় জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি কখনোই সন্ত্রাসবাদ এবং ধর্মের নামে মানুষ হত্যার মতো অমানবিক কর্মকা-ে লিপ্ত হতে পারে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।