পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কক্সবাজার অফিস : কক্সবাজারের মহেশখালী থেকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা পর্যন্ত গ্যাস সঞ্চালন করতে পাইপ লাইন নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে পেকুয়ার লবণ ও মৎস্য চাষীরা। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার জমির মালিক, পত্থন ও বর্গা চাষীদের ক্ষতিপূরণ না দেয়ায় চাষীরা গ্যাস লাইন নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয় বলে জানা গেছে। পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক চাষী নিজ নিজ জমিতে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে। তাদের বক্তব্য হলো, ক্ষতিপূরণ না পাওয়া পর্যন্ত কাজ করতে দেয়া হবে না।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুবিধার্থে মহেশখালী-আনোয়ারা গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপনের টেন্ডার আহ্বান পূর্বক নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এই লাইন নির্মাণকালে ক্ষতিগ্রস্ত সিংহভাগ জমির মালিককে নোটিশ দেয়ার মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা থাকলেও অনেকেই ওই ক্ষতিপূরণ পায়নি। এছাড়া, জমির মালিক থেকে পত্থন ও বর্গা নিয়ে লবণ ও মাছ চাষ করা চাষীরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এসব চাষীদের কেউই কোন ধরনের ক্ষতিপূরণ পায়নি। এতে চাষীরা প্রথমে মৌখিকভাবে ক্ষতিপূরণ দাবী করেও না পেয়ে করিয়ারদিয়ায় গত ২ ও ৩ ফেব্রুয়ারী ক্ষতিপূরণ আদায়ের দাবীতে মানববন্ধন করে। এসময় এস্কেভেটর দিয়ে কাজ করার সময় চাষীরা বাঁধা দিলে ঠিকাদারের লোকজন পিছু হটে। ফলে, গ্যাস লাইন স্থাপনের কাজ সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়। উপজেলার করিয়ারদিয়া, নাপিতাঘোনা, লম্ববাইশ আড়িয়াঘোনা, কুমবাইশ আড়িয়াঘোনা, বিচাখালী আরএসঘোনার চিংড়ি প্রজেক্ট ও প্রান্তিক লবণ চাষীরা মানববন্ধন করেছে।
ইউপি সদস্য সিরাজুল মোস্তাফা, সাবেক ইউপি সদস্য জাফর আলম চৌধুরী, লবণ ও চিংড়ী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জকরিয়াসহ শতাধিক কৃষক ও জমির মালিক জানান, করিয়ারদিয়ায় গ্যাস লাইন স্থাপন কাজ শুরু হয়েছে গত ১২ জানুয়ারী থেকে। অথচ জমি অধিগ্রহণের কোন নোটিশ পাননি তারা। এমনকি ক্ষতিপূরণও তাদের দেয়া হয়নি। অপরদিকে করিয়ারদিয়ার শত শত লবণ চাষী গ্যাস লাইন স্থাপনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ক্ষতিপূরণ পাওয়ার দাবী জানিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেও কোন ফল হয়নি বলে জানান তারা।
এরপরও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ক্ষতিপূরণ না দিয়ে গ্যাস লাইন স্থাপন কাজ চালু রাখায় গত মঙ্গল ও বুধবার কাজ বন্ধের দাবিতে দ্বীপ এলাকায় লবণ চাষীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে। এক পর্যায়ে নিজেরাই কাজ বন্ধ করে দেন। এ সময় উত্তেজিত লবণ চাষিদের বিক্ষোভ থামাতে জিটিসিএল এর প্রজেক্ট ম্যানেজার সৌমেন ঘোষ ও সিনিয়র প্রকৌশলী মাহমুদুল আলমসহ বেশ ক’জন কর্মকর্তা তৎপর হন। স্থানীয় চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরীসহ ’জিটিসিএল’ প্রতিনিধিরা বুধবার সরেজমিনে পরিদর্শন করে চাষিদের ক্ষতিপূরণ না পাওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখা হবে বলে আশ্বস্ত করেন ।
একাধিক লবণ চাষী অভিযোগ করেন, তারা জমিদারের কাছ থেকে জমি পত্থন (আগাম টাকায়) নিয়ে লবণ উৎপাদন করেছেন। প্রতি কানিতে ৩৫-৪০ হাজার টাকা মূলধন দিয়েছেন। গ্যাস লাইন হচ্ছে লবণ মাঠের উপর দিয়ে। এতে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে, ব্যাহত হচ্ছে লবণ উৎপাদন।
উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম.শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, এত বড় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। অথচ, ভূমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণের বিষয়টি আমি নিজেও ওয়াকিবহাল নই। আমার পরিষদে এ সংক্রান্ত কোন ধরনের চিঠি কিংবা নোটিশ আসেনি। জনগণ সংশ্লিষ্ট কোন কাজ হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিকে অবহিত করার নিয়ম রয়েছে। এক্ষেত্রে তা হয়নি। তিনি আরো বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের অবশ্যই ক্ষতিপূরণ পাওয়া প্রয়োজন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।