Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৬৮ কারাগারে কনডেম সেলে বন্দি ৮৮৮

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ অক্টোবর, ২০২০, ১২:১৮ এএম

সারাদেশের ৬৮টি কারাগারের ৮৮৮ জন বন্দি কারাগারের কনডেম সেলে রয়েছেন। বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে সর্বশেষ কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। বরগুনা কারাগারে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত অন্য কোনো নারী আসামি নেই। ফলে মিন্নি একাই কনডেম সেলে রয়েছেন। রিফাত হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত অপর ৫ আসামিকেও কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে ৪৯ জন নারী বন্দি রয়েছেন কনডেম সেলে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো নারীর ফাঁসি কার্যকর হয়নি। 

কারা অধিদফতর সূত্র জানায়, আদালতে ফাঁসির রায় ঘোষণার পর আসামিকে কারাগারের কনডেম সেলে নেয়া হয়। ফাঁসি কার্যকর হওয়ার আগ পর্যন্ত আসামিদের কনডেম সেলেই রাখা হয়। গত বছরের জুন মাসে বরগুনায় সংঘটিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী মিন্নিসহ ছয়জনকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। গত বুধবার বরগুনার আদালত রায় ঘোষণার পর ছয়জনকে চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী কারাগারের কনডেম সেলে নেয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কারাগারের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত বন্দিদের কনডেম সেলে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে রাখা হয়। তাদের সার্বক্ষণিক নজরদারিসহ কারা বিধি অনুযায়ী সব ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়। বর্তমানে সারাদেশের ৬৮টি কারাগারের ৮৮৮ জন বন্দি কনডেম সেলে রয়েছেন। এদের মধ্যে ৪৯ জন নারী বন্দি রয়েছেন।
কারা অধিদফতরের ডিআইজি প্রিজনস তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত ৪৯ জন নারী দেশের বিভিন্ন কারাগারের কনডেম সেলে আছেন। তবে দেশে এখন পর্যন্ত কোনো নারীর ফাঁসি কার্যকর হয়নি।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কারাগারের যে বিশেষ সেলে রাখা হয়, সেটিই কনডেম সেল। কারাগারে থাকা অন্য বন্দিদের তুলনায় কনডেম সেলের বন্দিদের জন্য ভিন্ন আচরণবিধি রয়েছে। অন্য বন্দিদের থাকার জায়গার সঙ্গেও কনডেম সেলের বেশ পার্থক্য আছে। একটি কনডেম সেলে সাধারণত একজন বা তিনজন বন্দি রাখা হয়। কনডেম সেলের ভেতরে আলো-বাতাস চলাচলের জন্য ছোট আকারের জানালা থাকে। আর এই সেলে থাকা বন্দিদের দিনে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সেলের বাইরে চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়। কারাবিধি অনুযায়ী মৃত্যুদন্ড পাওয়ার পর বন্দিকে কারাগারে সার্বক্ষণিক পাহারায় রাখা, দর্শনার্থীদের সঙ্গে দেখা করার বিষয়ে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হলেও আলাদা কক্ষে রাখার বিষয়টি আইনে নির্দিষ্ট করে উল্লেখ নেই।
একজন বন্দি থাকার কনডেম সেল সাধারণত ১০ ফুট বাই ৬ ফুট আয়তনের থাকে। আবার অনেক কারাগারে সেলের মাপ কিছুটা বড় থাকে। কনডেম সেলের মধ্যে বন্দির থাকা-খাওয়া, গোসল ও টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে।
ওই সূত্র আরো জানায়, আগে কনডেম সেলের বন্দিদের নিজেদের সেলের বাইরে যাওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল না। কিন্তু একটি ছোট ঘরের ভেতরে দীর্ঘ সময় থাকতে থাকতে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুঝুঁঁকি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হতে পারে। তাই বর্তমানে কনডেম সেলের বন্দিদের দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় বাইরে চলাফেরা করতে দেয়া হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কনডেম-সেল
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ