পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সার্বিকভাবে কনজ্যুমার কনফিডেন্স বা ভোক্তাদের আস্থা অটুট বা স্থিতিশীল রয়েছে। চলতি বছরের প্রথমার্ধে এই অঞ্চলের ১৭টি মার্কেট বা দেশের ওপর পরিচালিত মাস্টারকার্ডের জরিপে ৯টি দেশেই স্থিতিশীলতার তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল মাস্টারকার্ড ইনডেক্স অব কনজ্যুমার কনফিডেন্স বা মাস্টারকার্ড ভোক্তা আস্থা সূচক এ জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। আলোচ্য ছয় মাসেও এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভোক্তা আস্থা সূচকে অগ্রগতি অব্যাহত ছিল। তবে তা খুবই নগণ্য। যেমন, এই সময়ে সূচকটি বেড়েছে শূন্য দশমিক শূন্য পাঁচ পয়েন্ট। আবার এটি ৬০ পয়েন্টের কাছাকাছি একটি নিরপেক্ষ আশাব্যঞ্জক পর্যায় বলেও বিবেচিত।
প্রকাশিত প্রতিবেদন মতে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে মাস্টারকার্ড ভোক্তা আস্থা সূচকে সর্বোচ্চ ১৬ দশমিক ৩ পয়েন্ট বেড়েছে তাইওয়ানের। এর ফলে দেশটির স্কোর বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ৪৫ দশমিক ৩ পয়েন্টে। এর আগের অর্থাৎ ২০১৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধের জরিপে ১৭টি দেশের মধ্যে তাইওয়ানের অবস্থান ছিল সবার নিচে। সব ক্ষেত্রেই অগ্রগতির সুবাদে তাইওয়ানের চিত্র এমন পাল্টে গেছে। বিশেষ করে শেয়ারবাজারের প্রতি মানুষের অগাধ আস্থা ও অবিচল আশাবাদই তাইওয়ানকে মাস্টারকার্ড সূচকে সামনের দিকে অনেকটা এগিয়ে নিয়েছে। ফিলিপাইনও গত মে মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর মাস্টারকার্ড সূচকে যথেষ্ট এগিয়েছে। এই দেশটির স্কোর ১২ দশমিক ৯ পয়েন্ট বেড়ে ৯৫ দশমিক ২ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। ১৯৯৫ সালে প্রথম ফিলিপাইনকে এই জরিপের আওতায় আনার পরে এটিই মাস্টারকার্ড সূচকে দেশটির সর্বোচ্চ পয়েন্ট। এর ফলে ফিলিপাইন এখন সেখানকার মানুষের কাছে ভীষণ আশাবাদের দেশ হয়ে উঠেছে বলা যায়।
অন্যদিকে জরিপে ১৭টি দেশের মধ্যে ৭টিতে ২০১৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধের তুলনায় এ বছরের প্রথমার্ধে ভোক্তাদের আস্থা কমেছে বলে প্রতীয়মাণ হয়েছে। এর মধ্যে আস্থা বা আশাবাদ সবচেয়ে বেশি কমেছে ইন্দোনেশিয়ায়। এর পেছনেই রয়েছে হংকং ও সিঙ্গাপুর। এসব দেশে কর্মসংস্থানের দুর্বল সম্ভাবনাই ভোক্তাদের আস্থা কমিয়ে দিয়েছে।
গত জুন ও জুলাই মাসে মাস্টারকার্ড এই জরিপ চালায়। এতে ১৭টি দেশের ১৮ থেকে ৬৪ বছর বয়সী মোট ৮ হাজার ৭৪৬ জন লোকের মতামত নেয়া হয়। এসব মানুষকে তাদের নিজ নিজ দেশের পাঁচটি অর্থনৈতিক বিষয়ে ছয় মাসের পূর্বাভাস জানাতে বা ভবিষ্যতবাণী করতে বলা হয়। বিষয়গুলো হচ্ছেÑ অর্থনীতি, কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা, নিয়মিত বা দৈনন্দিন আয়ের সম্ভাবনা, শেয়ারবাজার ও জীবনযাত্রার মান। শূন্য থেকে ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে এই সূচকের পয়েন্ট হিসাব করা হয়। এর মধ্যে শূন্য হলো একেবারে নিরাশার বা চরম হতাশাপূর্ণ, ১০০ হলো সর্বোচ্চ আশাবাদে পরিপূর্ণ এবং ৫০ হলো নিরপেক্ষ অবস্থান। মাস্টারকার্ড অ্যাডভাইজারসের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এরিক স্নাইডার এ প্রসঙ্গে বলেন, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কয়েকটি দেশ কিছু সমস্যার মধ্যে থাকলেও সার্বিকভাবে কনজ্যুমার কনফিডেন্স বা ভোক্তা আস্থা সূচক কিঞ্চিৎ বেড়েছে। তবে চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, মায়ানমার ও ফিলিপাইন প্রভৃতি উদীয়মান অর্থনীতির সহন ক্ষমতা স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। সেজন্য এসব দেশের আগামী ছয় মাসের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা নিয়ে জনগণও বেশ আশাবাদী। এশিয়ার উদীয়মান দেশগুলোর সুবাদে সার্বিকভাবে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত থাকলেও সরকার ও ব্যবসায়িক খাতের আরো স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হওয়া দরকার। সেই সঙ্গে বাইরের
আঘাত বা অভিঘাত মোকাবিলায়ও জোর দিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।