পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চালকল মালিক এবং ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট যেন পরিবহন সেক্টরের সিন্ডিকেটের মতো শক্তিশালী হয়ে গেছে। নানান অজুহাতে নিজেদের খেয়ালখুশি মতে চালের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। প্রশাসনকে তোয়াক্কাই করছে না। চালের দাম বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে দফায় দফায়। দাম নিয়ন্ত্রণে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বারবার মিল মালিকদের প্রতি নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং করার জন্য জেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়। এরপরও কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না চালের বাজার। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, চালের দাম বৃদ্ধির জন্য মিল মালিকরাই দায়ী।
জানতে চাইলে খাদ্য অধিদপ্তরের সরবরাহ, বণ্টন ও বিপণন বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত পরিচালক আমজাদ হোসেন বলেন, মিল মালিকরা চাল সংরক্ষণ করছেন। চালের যে পাইকারি দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি তারা তা না মানলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। খাদ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মঙ্গলবারের সভায় পরিষ্কার বলে দেয়া হয়েছে। ঢাকাসহ সারাদেশের মিলগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তর চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বরাবরই তৎপর। এ জন্য অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টাও ছিল শুরু থেকে। খাদ্যমন্ত্রীকে দেখা গেছে চাল ব্যবসায়ী ও মিল মালিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করতে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার এক বৈঠকে চালের দাম কমাতে মিল মালিকদের কড়া নির্দেশনা দেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, চালের দাম ১৫ দিন আগে যা ছিল সে দামেই পুরো অক্টোবর মাস বিক্রি করতে হবে। কোনোভাবেই এ মাসে আর চালের দাম বাড়ানো যাবে না। যাদের ধান মজুত অস্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। একইসঙ্গে গত এক সপ্তাহে যে পরিমাণ দাম বেড়েছে তা কমিয়ে আনারও নির্দেশ দেন খাদ্যমন্ত্রী।
ওই বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী প্রথমে ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা মিনিকেট চালের দাম ২,৬০০ টাকা এবং আটাশ চালের দাম ২,৩০০ টাকা নির্ধারণ করে দেন। কিন্তু চাল ব্যবসায়ীদের আপত্তির মুখে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে খাদ্যমন্ত্রী ১৫ দিন আগের দামে চাল বিক্রির নির্দেশ দেন। এরপরও চালের দাম এখনো চড়া।
টিসিবি ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল ৪২ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হতো। এছাড়াও মাঝারি চাল ৪৭ থেকে ৪৮ টাকা, মিনিকেট ৫২ থেকে ৫৮ টাকা ও নাজিরশাইল ৫৬ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হয়। ওই সময় পাইকারিতে মোটা চাল ৪০ থেকে ৪২ টাকা, মাঝারি ৪৩ থেকে ৪৫ টাকা, মিনিকেট ৪৮ থেকে ৫২ টাকা ও নাজিরশাইল ৫৩ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের চালের দর সব পর্যায়ে কেজিতে গড়ে ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
খাদ্য অধিদপ্তর বলছে, চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় মিটিং করে নির্দেশ দেয়া হয়েছে কোনোভাবেই যেন চালের দাম বৃদ্ধি না পায়। একদিকে ব্যবসায়ীদের চালের দাম বৃদ্ধি না করতে নির্দেশ; অপরদিকে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরকে চালের বাজারে নজর রাখতে বলা হয়। এ জন্য অধিদপ্তর ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বাজার মনিটরিংয়ের জন্য বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মনিটরিংয়ের জন্য কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নির্দেশও দেয়া হয়। কোথাও অতিরিক্ত চালের মজুত পাওয়া গেলে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনাও রয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, সুপার কোয়ালিফাই মিনিকেট চাল প্রতি ৫০ কেজি ওজনের বস্তা ২,৫৭৫ টাকায় ও মিডিয়াম কোয়ালিফাই মিনিকেট ২,২৫০ টাকায় বিক্রির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কোনোভাবে ব্যত্যয় ঘটলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা রয়েছে।
মিল মালিকদের দাবি, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পূর্বের মূল্যের চেয়ে কমমূল্যে চাল বিক্রি করছেন তারা। তবে খুচরা বাজারে কেন দাম কমছে না? এর কারণ হিসেবে তারা বলছেন, মিলারদের কাছ থেকে কম মূল্যে ক্রয় করে রিটেইলার এবং পাইকারি বিক্রেতারা বেশি মূল্যে বিক্রি করছে। ফলে খুচরা বাজারে চালের দাম কমেনি বরং বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই সরকারকে বাজার মনিটরিংয়ে জোর দিতে হবে।
কাওরান বাজারের জনতা রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী আবু ওসমান অভিযোগ করে বলেন, দাম বৃদ্ধির জন্য মিল মালিকরাই দায়ী। সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও তারা মানছেন না। ফলে বাজার আগের মতোই চড়া রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।