পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্র্টার : বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধে ভারত সব ধরনের সহযোগিতা করবে। এ বিষয়ে উভয় দেশ পরস্পরকে সহযোগিতা করতে একমত বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভারতের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। পাটসহ কিছু পণ্য ভারতে রফতানির ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা রয়েছে। এ জটিলতা দূর করে রফতানি বৃদ্ধির বিষয়ে উভয় দেশ একমত হয়েছে। ভারতের বাজারে বাংলাদেশের রফতানি আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। গত নয় মাসে রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩১ শতাংশ। চলমান বর্ডারহাট ভারত ও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান চারটি বর্ডারহাট চালু রয়েছে, ২টি হাটের নির্মাণ কাজ প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। আরো সাতটি হাট স্থাপনের বিষয় বিবেচনাধীন আছে। মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি থাকলেও তা বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর নয়। কারণ ভারত থেকে বাংলাদেশ কাঁচামাল আমদানি করে তা বিদেশে রফতানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে। সে দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশে বাণিজ্য পজেটিভ। তবে ভারত থেকে শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে যাতে অতিরিক্ত কোন ধরনের শুল্ক আরোপ করা না হয়, সে বিষয়ে উভয় দেশ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ভারতের আন্তরিকতার কারণে দীর্ঘদিন পর হলেও ছিটমহল সমস্যার সমাধান হয়েছে। এ অঞ্চলে বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধি করতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ, ভুটান, ইন্ডিয়া, নেপাল (বিবিআইএন) প্রকল্প বাস্তবায়নে ভারত সহযোগিতা করছে।
ভারতের রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ভারতের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের রফতানি আগের তুলনায় বেড়েছে। ভারতে বাংলাদেশে যে কোনো ধরনের বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো হবে। বর্ডারহাট ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর মাধ্যমে উভয় দেশের মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্ডারহাটের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হলে উভয় দেশের মানুষ আরও উপকৃত হবে। ভারত সন্ত্রাসবিরোধী কাজের বিরুদ্ধে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করছে। ব্যবসা ও বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করা হবে। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মনোজ কুমার রায় ও যুগ্মসচিব (এফটিএ) মুনীর চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।