পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নাটোর উপজেলা সংবাদদাতা : সউদী আরবে একটি সোফা তৈরির কারখানায় আগুনে পুড়ে নাটোরের চার শ্রমিকের মৃত্যুতে নলডাঙ্গার খাজুরা গ্রামে চলছে শোকের মাতম।
বুধবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে আটটার দিকে সউদী আরবের হারাজ বিন কাশেম মানফুহা এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ দুর্ঘটনায় নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা শ্রীপুরপাড়া গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে শামিউল ইসলাম ওরফে সাদ্দাম হোসেন (২০), খাজুরা জনার্দনবাটি গ্রামের গফুর মোল্লার ছেলে জামাল হোসেন মোল্লা (৩৮), আজাহার আলীর ছেলে ওহিদুর রহমান অসীম (৩০) ও খাজুরা ভাটোপাড়া গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে আমিনুর রহমান (৩০)। নিহতদের পরিবারের লোকজন জানান, সউদী আরবের রাজধানী রিয়াদের পুরাতন শহর হারাজ বিন কাশেম মানফুহা এলাকার একটি সোফা তৈরির কারখানায় কাজ করতেন খাজুরার ওই চার ব্যক্তি। বুধবার কাজ করার সময় এয়ারকুলারে বৈদ্যুতিক শটসার্কিটে আগুন ধরে তাদের মৃত্যু হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে মৃতদের গ্রামের বাড়ি নলডাঙ্গা এলাকার খাজুরা গ্রামে মোবাইলে তাদের মৃত্যুর খবর পৌঁছলে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃত অসীমের বাবা আজাহার আলী জানান, তার ছেলেটিকে হারিয়ে পরিবারের সবাই ভেঙে পড়েছে। কাউকেই সান্ত¦না দিয়ে রাখা যাচ্ছে না। খাজুরা গ্রামের অধিবাসী বকুল মাস্টার জানান, চারজনের মৃত্যুর খবর পৌঁছার সাথে সাথেই খাজুরা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। সরকারের কাছে হতদরিদ্র এসব নিহত পরিবারের সদস্যরা লাশ জরুরিভাবে গ্রামে আনার ব্যবস্থা করতে জোর দাবি জানিয়েছেন। খাজুরার ইউপি চেয়ারম্যান মো: খলিলুর রহমান জানান, রাতে এই দুঃসংবাদ জানার পরপরই তিনি ওই সব নিহতের পরিবারের খোঁজ-খবর নিয়েছেন। নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জাহান বলেন, সউদী আরব থেকে লাশ যত দ্রুত সম্ভব দেশে তাদের স্বজনদের কাছে পৌঁছানোর জন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।